প্রশ্নঃ ই-গভর্নেন্স-এর কার্যক্রম বর্ণনা কর।
ভূমিকাঃ বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন ও মান পাল্টে দিয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনের ওপরও প্রযুক্তির প্রভাব পড়েছে বহুলভাবে। এ প্রেক্ষাপটে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ‘ই-গভর্নেন্স’ নামক এক নতুন ধারণার উদ্ভব ঘটেছে। সরকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখন ‘ই-গভর্নেন্স’-এর বিকল্প নেই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে ‘ই-গভর্নেন্স’ এখন সময়ের জোরালো দাবিতে পরিণত হয়েছে।
ই-গভর্নেন্স-এর কার্যক্রমঃ ই-সরকার বা ই-গভর্নেন্স-এর পারস্পরিক লেনদেন সরকার ও জনগণ বা সেবাগ্রহণকারী, সরকার ও ব্যবসায়ী, এক সরকারের সাথে অন্য সরকারের কিংবা সরকার ও তার কর্মকর্তাদের মধ্যে হতে পারে। এরূপ লেনদেনের ক্ষেত্রে চার ধরনের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়ঃ
১. বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানোঃ যেমন নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম, সাধারণ ছুটি, জনগণের জন্য বিভিন্ন ঘটনার দিন তারিখ, বিভিন্ন ইস্যুর ব্যাখ্যা, নোটিশ ইত্যাদি।
২. সরকার ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগঃ এই প্রক্রিয়ায় যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে ইন্টারনেট সংলাপে বসতে পারে এবং তাদের সমস্যা, মন্তব্য ও অনুরোধ প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারে।
৩. বিভিন্ন ধরনের লেনদেন পরিচালনাঃ যেমন আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া, চাকরির জন্য আবেদন চাওয়া ও তা জমা দেয়া এবং অনুদান চাওয়া ও তা প্রদান করা।
৪. সরকার পরিচালনায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণঃ জনগণ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থার সাহায্য গ্রহণ করে, তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে সরকার পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।
উপসংহারঃ পরিশেষে উল্লেখ্য, ই-গভর্নেন্স-এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি দক্ষ ও সাশ্রয়ী পন্থায় জনগণের নিকট সেবা পৌঁছানো। রকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখন ‘ই-গভর্নেন্স’-এর বিকল্প নেই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে ‘ই-গভর্নেন্স’ এখন সময়ের জোরালো দাবিতে পরিণত হয়েছে।
Leave a comment