বর্তমান যুগ-প্রযুক্তির যুগ আর এই যুগে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায়ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা যারা পরীক্ষায় ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

নিচে তোমাদের জন্য বিস্তারিতভাবে ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ লিখা হলো। আমি আশা করি তোমরা যদি পরীক্ষায় এই ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ লিখো তাহলে বেশ ভালো করবে।

ই – মেইল (E-Mail) অনুচ্ছেদ 

ইমেইল বলতে সাধারণত ইলেকট্রনিক মেল বা পদ্ধতি বোঝানো হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ওয়েব বা ইন্টারনেটের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। ১৯৭১ সালে রে ট্রমলি সন সর্বপ্রথম ইমেইল চালু করেন এবং তিনি এই ইমেইল চালু করার জন্য প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে নিজের কাছে নিজেই ই – মেইল প্রেরণ করেন এবং ই – মেইলের মাঝখানে তিনি এট দা রেট @ চিহ্ন প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেন যার কারণে তাকে ই – মেইলের জনক বলা হয়।

ই – মেইল (E-Mail) সাধারণত কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। ই – মেইল সাধারণত ব্যক্তিগত বক্সে বা কম্পিউটারে রক্ষিত থাকে। ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট প্রযুক্তি প্রথম চালু হওয়ার পর এর এত ব্যবহার ছিল না কিন্তু বর্তমানে ই – মেইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে যার কারণে ডাক বিভাগের ওপর মানুষের নির্ভরতা নেই বললেই চলে। ই – মেইল (E-Mail) একটি সহজ ব্যবহারিক ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যেকোনো সংবাদ প্রেরণ করা যায়।

যার কারণে মানুষ আজকাল ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে যে কোন দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থায় ই – মেইল (E-Mail) এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ই – মেলের মাধ্যমে শুধু যে খবর দেওয়া যায় তা নয়, টেক্সট,অডিও audio,ভিডিও video এছাড়া বিভিন্ন ডকুমেন্টস অতি দ্রুততার সহ সঙ্গে পৌঁছানো যায়। ইমেইল সাধারণত তিনটি বার্তা বা অংশ নিয়ে গঠিত এক বার্তার মোড়ক বা ব্যক্তির ঠিকানা যাকে হেডার বলা হয়, দুই বার্তা অর্থাৎ মূল খবর এবং তিন যে ব্যক্তির কাছ থেকে পাঠানো হয়।

ই – মেইল (E-Mail) ঠিকানায় ইংরেজি ছোট হাতের অক্ষর গুলো ব্যবহার করা হয় এবং ইমেইল ঠিকানায় দুইটি অংশ থাকে। প্রথম অংশে থাকে ব্যবহারকারী বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নাম এবং মাঝখানে থাকে@ চিহ্ন এবং শেষে থাকে ব্যবহারকারীর বা সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা যেমন – com,bd,org,info ইত্যাদি। ই – মেইল (E-Mail) বার্তা প্রেরনের যেমন সহজ মাধ্যম তেমনি অনেক হ্যাকারেরা এই ঠিকানায় হ্যাক করে অনেক সময় ঝামেলায় ফেলে তাই ইমেইল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

শেষ কথা

প্রযুক্তির এই যুগে ই – মেইল (E-Mail) যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ই – মেইল সরাসরি প্রাপকের ব্যক্তিগত মেইলে প্রেরণ করা হয় বলে গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয় যার কারণে এটি একটি সুবিধাজনক যোগাযোগ ব্যবস্থা।