ইংরেজি ‘Epic’ এর বাংলা প্রতিশব্দ মহাকাব্য। ‘Epic’ শব্দটি এসেছে গ্রীক ‘Epices’ বা ‘Epos’ থেকে। ‘Epic’ হচ্ছে দীর্ঘ বীরগাথা। এখানে বীরত্বব্যঞ্জক কাহিনী থাকে, যে ভাষাতেই লেখা হোক, তা বিষয় ও ভাষায় মহত্বের ব্যঞ্জনায় সমৃদ্ধ।

মহাকাব্য রচনায় একটা বিশালতা, বিস্তৃতি, ঔদার্য ও সর্বজনীনতা থাকে। এই বিরাটর ও বিস্তৃতি পাঠক হ্রদয়ে এক মহিমান্বিত ভাবের সঞ্চার করে। মহাকাব্যে কবির বাক্তিলােত প্রকাশের পরিবর্তে ব্যাপকতর সমাজ, গোষ্ঠী, জাতির ঐতিহ্য ও চিন্তাভাবনা পরিচয় পাওয়া যায়।

মহাকাব্য কি বা কাকে বলে :-

গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল মহাকাব্য কি সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন তাঁর “Poctics” নামক গ্রন্থে তেইশ ও চব্বিশ আধ্যায়ে। সেখানে তিনি বলেছেন-

“They should be based on a single action, one that is complete whole in itself, with a beginning, a middle, and an end so as to enable the work to produce its own proper pleaser with all the organic unity of a living creature ….. As for its metre, the heroic has been assigned to it from experience.”

ড্রাইডেন মহাকাব্য কাকে বলে তা বলতে গিয়ে বলেছেন-

“ A heroic poem which epitomises the feeling of many ages and voices the aspirations and imagination of all people.”

জিওফ্রে হারফাম এবং এম এইচ আব্রামস মহাকাব্যে কি আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন –

“In its strict sense the term epic or heroic poem is applied to a work that meets at least the following criteria; it is a long verse narrative on a serious subject, told in a formula and elevated style, and centered on a heroic or quasi divine figure on whose actions depends the fate of a tribe, a nation, or the human race.”

মহাকাব্য কয় প্রকার ও কি কি :-

মহাকাব্যকে দুভাগে ভাগ করা হয় যথা –

১ – ধ্রুপদী মহাকাব্য বা Classical Epic এবং

২ – সাহিত্যিক বা আলংকারিক মহাকাব্য বা Literary Epic

আদি মহাকাব্য কাকে বলে :-

যে কোন মহাকাব্যকে যদি পৌরাণিক বা প্রাচীন মহাকাব্য বলে, তাহলে সেটিকে আদি মহাকাব্য বলা হয়।

আদি মহাকাব্য কয়টি ও কি কি :-

সারা বিশ্বে চারটি ধ্রুপদী মহাকাব্য আছে। এগুলো হলো-

গ্রীকভাষায় লেখা লেখা দুটি ধ্রুপদী মহাকাব্য বা Classical Epic হলো –

  1. হোমারের ইলিয়ড় এবং
  2. ওডিসি

সংস্কৃত ভাষায় লেখা দুটি ধ্রুপদী মহাকাব্য বা Classical Epic হলো –

  1. বাল্মীকির রামায়ণ ও
  2. ব্যাসদেবের মহাভারতের।

ব্যাসদেব লিখিত মহাভারত সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে ‘যা নেই মহাভারতে তানেই ভারতে’। অর্থাৎ ভারতবর্ষকে ধারণ করে থাকে মহাভারত একটি যথাযথ অর্থে মহাকাব্য হয়ে উঠেছে।

আঠারো পর্বের বিস্তৃত মহাকাব্য মহাভারত হোমারের ইলিয়ড ও ওডিসি-র মিলিত আকারের থেকেও আটগুণ বড়।

আদি মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য :-

আদি মহাকাব্য বা প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

• সম্পূর্ণ কল্পিত ঘটনা ও চরিত্রগুলি তথা অতীতের সাথে যুক্ত।
• প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন।
• বীর ও বীরত্বের প্রশংসাপত্র।
• নৈতিক ও ধার্মিক শিক্ষার উপস্থাপনা।
• দেবতা ও অস্ত্র-শস্ত্র জড়িত অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা।
• বিস্তৃত পরিসর, বহু চরিত্র এবং বিরাট যুদ্ধের বর্ণনা।
• উচ্চারিত করে শ্রোতাদের কাছে উপস্থাপন।
• গীত, গান, প্রসঙ্গ এবং ছন্দের ব্যবহার।

সাহিত্যিক মহাকাব্য কাকে বলে :-

যে কোন মহাকাব্য যদি কেবলমাত্র সাহিত্যিক চিন্তা-ভাবনা এবং সাহিত্যিক দক্ষতার ফসল হিসেবে গড়ে উঠে, এমনকি বাস্তবে সেই ঘটনা ঘটেও না থাকতে পারে, তাহলে সেটি সাহিত্যিক মহাকাব্য বলা হয়।

সাহিত্যিক মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য :-

সাহিত্যিক মহাকাব্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলি:

১) এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের চেতনার বৈচিত্র্য তুলে ধরা।

২) বাস্তব ঘটনার সাথে এর কোন সম্পর্ক থাকতে হয় না।

৩) শুধু সাহিত্যিক দক্ষতার দ্বারা গড়ে ওঠে।

৪) ইতিহাস, সংস্কৃতি, মানব-চরিত্র তুলে ধরা এবং নৈতিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রচেতনা জাগ্রত করা।

সুতরাং, সাহিত্যিক মহাকাব্যকে বলা হল যে মহাকাব্যটি কেবলমাত্র সাহিত্যিক দক্ষতার ফসল হিসেবেই গড়ে উঠেছে।

সাহিত্যিক মহাকাব্য কয়টি :-

নীচে কয়েকটি সাহিত্যিক মহাকাব্য সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে:
১. পরশুরাম বিজয়:

  • – কাব্যেন্দ্র বাণীকান্ত চট্টোপাধ্যায় রচিত
  • – ১৮৬০ সালে প্রকাশিত
  • – পরশুরামের জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে রচিত
  • – বঙ্কিমরত্নের প্রভাব প্রদর্শিত

২. মেঘনাদবধ:

  • – মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত
  • – বাংলা সাহিত্যে প্রথম আধুনিক মহাকাব্য
  • – মেঘনাদের বীরত্ব ও বিজয় বর্ণনা

৩. তিলোত্তমা:

  • – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক উপন্যাস
  • – বিপ্লববাদী চিন্তার পরিচয় দেয়

৪. প্রথম পুরুষ:

  • – বুদ্ধদেব বসু রচিত
  • – মানব সভ্যতার উৎপত্তি নিয়ে রচিত
  • – প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা বলে

আরও কিছু সাহিত্যিক বা আলংকারিক মহাকাব্যের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে :

১. শপথ পালন: মধুসূদন দত্ত রচিত এই মহাকাব্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের জীবনের ঘটনাবলি তুলে ধরা হয়েছে।

২. জগতীক্ষু: দ্বিজেন চন্দ্র সেন রচিত এই মহাকাব্যে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জীবন ও সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে।

৩. পদ্মাবতী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এই মহাকাব্যটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

৪. মীরাবাঈ: কৃষ্ণচন্দ্র সেন রচিত এই মহাকাব্যে মীরাবাঈর জীবনের কথা বলা হয়েছে।

সাহিত্যিক মহাকাব্যের আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেমন মমতা, চন্ডীদাস, দ্বিজেন প্রভৃতি।

এসব মহাকাব্য বাংলা সাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আদি মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্য পার্থক্য :-

আদি মহাকাব্য ও সাহিত্যিক মহাকাব্যের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো নিম্নরূপ:

আদি মহাকাব্য:

১. পৌরাণিক/ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি।

২. নায়কের ক্ষমতা অতিমানব ও অলৌকিক।

৩. দেবদেবী ও দানবরাজির উপস্থিতি।৪. নৈতিকতা ও ধর্মীয়তার জোর দেওয়া।

সাহিত্যিক মহাকাব্য:

১. কাহিনি কল্পিত, বাস্তব ঘটনার সাথে সম্পর্ক থাকতে হয় না।

২. নায়কের ক্ষমতা মানবীয়, বৈজ্ঞানিকভাবে সম্ভবপর।

৩. দৈবীয় চরিত্র থাকে না, শুধু মানবিক চরিত্র ও ঘটনাই তুলে ধরা হয়।

৪. মূলত সাহিত্যিকতা ও কল্পনাশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়।

মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য :-

মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নীচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে:

১. সর্গবিভাগ: মহাকাব্যে অবশ্যই সর্গবিভাগ থাকবে। সর্গের সংখ্যা অষ্টাধিক, সাধারণত ১০-৩০ সর্গ।

২. ছন্দ: প্রতিটি সর্গের একই ছন্দ থাকলেও সর্গান্তে ছন্দ পরিবর্তন হতে পারে।

৩. কাহিনীর উৎস: ইতিহাস, পুরাণ বা সত্যঘটনা থেকে কাহিনী নেওয়া হয়।

৪. শাখাকাহিনী ও নাটকীয়তা: মূলকাহিনীর পাশাপাশি থাকে শাখাকাহিনী। নাটকীয়তাও থাকে।

৫. আনুষ্ঠানিক শৈলী: ভাষা মর্যাদাপূর্ণ, সমুন্নত।

৬. বর্ণনা পদ্ধতি: তৃতীয় ব্যক্তি এবং সর্বজ্ঞ বর্ণনাকারীর বর্ণনা থাকে।

৭. ভাষাশৈলী: ওজস্বী, প্রসাদময় এবং অনুপ্রাস অলংকারযুক্ত ভাষা।

৮. নায়কচরিত্র: সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন্দ্রীয় নায়ক থাকে।

৯. অসাধারণ বাধা: জঘন্য বিপদ বা অন্যকথায় অলৌকিক বাধা থাকে নায়কের বিরুদ্ধে।

১০. সংস্কৃতির প্রতিফলন: সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ উদ্বেগ প্রকাশ পায়।

১১. সমাপ্তিতে নায়কের বিজয়: নায়কের জয়ের মাধ্যমেই মহাকাব্য সমাপ্তি লাভ করে।

সাহিত্যিক মহাকাব্য মেঘনাদবধ :-

মেঘনাদবধ‘ কাব্যই বাংলার প্রথম সাহিত্যিক মহাকাব্য। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মহাকাব্যটি হল মধুসূদন দত্তের“মেঘনাদবধ” কাব্য। আমরা কিছু আলোচনার মাধ্যমে দেখতে পারি ‘মেঘনাদবধ’ কতটা সার্থক মহাকাব্য হয়ে উঠেছে।১ – ‘মেঘনাদ বধ মহাকাব্যে’ রয়েছে নয়টি সর্গ। অর্থাৎ সাহিত্যিক মহাকাব্য অনুযায়ী এটি মহাকাব্য হওয়ার যোগ্য।

২ – মধুসূদন দত্ত প্রতিটি সর্গের সমাপ্তিতে সর্গের একটি করে শিরোনাম দিয়েছেন। যেমন অভিষেক নামঃ প্রথম সর্গ সমাপ্ত। এরকমভাবে দ্বিতীয় সর্গ ‘উদ্যোগ’, তৃতীয় সর্গ ‘সমাগম’ ইত্যাদি নামকরণ করেছেন যা লক্ষণ সম্মত । নামকরণগুলি করা হয়েছে সর্গের বিষয় বস্তুভিত্তিক।

৩ – ‘মেঘনাদ বধ’ এর শুরুতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত সরস্বতী দেবীর বন্দনা করেছেন, বাল্মীকিকে প্রণাম জানিয়েছেন।

৪ – ‘মেঘনাদ বধ’ এর আখ্যানবস্তু নেওয়া হয়েছে মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ থেকে। রামায়ণের লঙ্কাকান্ডের তিনদিন দু রাত্রি কাহিনী এখানে স্থান পেয়েছে। রাবণ- চিত্রাঙ্গদার পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু বর্ণনা থেকে মেঘনাদের চিতায় স্বর্ণমঠ তৈরীর কাহিনি। দ্রুতগতিতে ধাবমান আখ্যান কাহিনী পুরাণকেন্দ্রিক।

৫ – ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের পটভূমি স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল বিস্তৃত মর্তলোকে ঘটেছে মূল কাহিনী। ঘটনার প্রয়োজনে দ্বিতীয় সর্গে এসেছে স্বর্গ, অষ্টম সর্গে নরক এবং প্রথম সর্গে পাতাল এর প্রেক্ষাপট। অর্থাৎ প্রাচ্যালংকারিকদের স্বর্গ-মর্ত্য পাতালের পটভূমির শর্ত রক্ষিত হয়েছে।

৬ – ‘মেঘনাদ বধ মহাকাব্যে’ কেবল যুদ্ধ বিধ্বংসীর বর্ণনা নেই, এতে আছে রূপ-প্রকৃতির বর্ণনা, আরও আছে মানবের চিত্রকল্প এবং মানব জীবন চর্যার বিভিন্ন দিক।

৭ – বাংলা কাব্যকে মধুসূদন দত্ত নতুন ছন্দ উপহার দিয়েছেন- অমুত্রাক্ষর ছন্দ। ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যে ভাবানুসারী এই ছন্দ প্রথম থেকে শেষ অবধি ব্যবহৃত। মিলটনের ‘Blank verse’ হন্দের আদলে বাংলা পয়ারে ছন্দকে ভেঙে অমিত্রাক্ষর করলেন মধুসূদন । এই ছন্দ যথেষ্ট ভাবগম্ভীর।।

৮ – মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যের নায়ক বা হিরো মহাকাব্য রামায়ণের নায়ক বা হিরো রামচন্দ্র নন। বরং তথাকথিত ভিলেন লঙ্কেশ্বর রাবণ এ মহাকাব্যের নায়ক বা হিরো। বরাবণ ছিলেন স্বর্ণলঙ্কার রাজাধীপতি। যে শুধু উচ্চবংশীয়ই ছিলেন না, ছিলেন বীর যোদ্ধাও। সবমিলিয়ে যেন তিনি ছিলেন রুচিমান জাতির নায়ক। তাই তাঁর নায়ক হতে এই কাব্যে কোনো বাধা নেই।৯ – পৌরাণিক কাহিনীর মধ্য দিয়ে মধুসূদন সমকালীন যুগজীবনকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। উনিশ শতকের পরাধীন দেশের অন্তরের স্বর এখানে প্রতিফলিত।

উপরোক্ত এই লক্ষণগুলি বিচার করে আমরা বলতে পারি মাইকেলের মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্যটি যথার্থ সাহিত্যিক মহাকাব্য। এটাই বাংলার শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য

মহাকাব্যের নায়কের বৈশিষ্ট্য :-

মহাকাব্যের নায়কের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হল:

১. অসাধারণ শক্তিশালী: মহাকাব্যের নায়কের অসাধারণ ক্ষমতা ও শক্তি থাকে। সাহস, দক্ষতা ও পরাক্রমে তার কোনও প্রতিদ্বন্দি থাকে না।

২. আদর্শ মানুষ: নায়ক হয় আদর্শ মানুষ। তার আচরণ, মূল্যবোধ ও চরিত্র অনুকরণীয়।

৩. সৎ ও ন্যায়পরায়ণ: সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে স্বচ্ছ সংগ্রামী মনোভাব নায়কের থাকে।

৪. দৃঢ় সংকল্প: লক্ষ্য অর্জনে নায়কের অটল প্রত্যয় ও দৃঢ় সংকল্পের পরিচয় পাওয়া যায়।

৫. জনপ্রিয়তা: নায়কের বীরত্ব, সাহস ও সত্যনিষ্ঠার জন্য তাকে সাধারণ মানুষ ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে।

৬. বুদ্ধিমান ও দক্ষ: নায়ক অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং যুদ্ধ, রাজনীতি, কৌশল ইত্যাদিতে দক্ষ।

৭. সুন্দর বর্ণনা: নায়কের বাহিরি সৌন্দর্য এবং আভ্যন্তরিক মহত্ত্বাকাঙ্খা উভয়ই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়।

৮. মানবিক দুর্বলতাও থাকে: ক্ষমতার পাশাপাশি মানবিক দুর্বলতা বা ব্যথাও নায়কের থাকে।

৯. নৈতিক মূল্যবোধ: নায়ক নৈতিকতা ও মূল্যবোধে অটল থাকে। সে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সবসময় সংগ্রামরত থাকে।

বিশেষ কিছু মহাকাব্যের নাম :-

মহাকাব্যের নাম লেখকের নাম
রামায়ণ বাল্মীকির
মহাভারতের ব্যাসদেবের
ইলিয়ড় হোমার
ওডিসি হোমার
মেঘনাদবধ মাইকেল মধুসুদন দত্ত
বৃত্র সংহার হেমচন্দ্র বন্দ্যোপধ্যায়
রৈবতক নবীন নবীন চন্দ্র সেন
কুরুক্ষেত্র নবীন চন্দ্র সেন
প্রভাস নবীন চন্দ্র সেন
পৃথ্বীরাজ যোগীন্দ্রনাথ বসু
শিবাজী যোগীন্দ্রনাথ বসু
মহাশ্মশান কায়কোবাদ
কাসেমবধ কাব্যয়হামিদ আলী
হেলেনা কাব্য আনন্দ চন্দ্র মিত্র