কবি কাজেম আল কোরেশী কায়কোবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য ‘অশ্রুমালা’ (১৮৯৪)। কায়কোবাদের ‘অশ্রুমালা’ কাব্যের কবিতাগুলোতে মুসলমানদের প্রাচীন সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের কথা স্মরণ করে কবিকে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখি। মুসলমানদের বর্তমান দুরবস্থা কবিকে বেদনার্ত করেছে। তাই তিনি মুসলমানদের অতীতের সমৃদ্ধমান যুগকে অবলম্বন করতে চেয়েছেন।

গীতিকবি হিসেবে কায়কোবাদের অশ্রুমালা কাব্যটি প্রতিভার সার্থক পরিচয় বাহক। এ কারণে কাব্যটি তৎকালীন সুধীবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিল। কাব্যটিতে জীবন জিজ্ঞাসা, স্নেহ, প্রেম ভালোবাসা প্রভৃতি হৃদয়ানুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। কায়কোবাদের ‘অশ্রুমালা’ কাব্য প্রকাশকালে বাংলা সাহিত্যে মুসলমান কবি-সাহিত্যিকদের একান্ত অভাব ছিল বলে সহজে তার উপর সকলের সপ্রশংস দৃষ্টি নিপতিত হয়েছিল। সে সময়কার হিন্দু কবি-সাহিত্যিকরাও এ কাব্যের প্রশংসা করেছিলেন। ‘অশ্রুমালা’ সম্পর্কে বঙ্গবাসী পত্রিকা লিখেছিল- “মুসলমান হইয়া এরূপ সুন্দর কবিতা লিখতে পারেন, দেশে এমন কেহ কেহ আছেন, আমাদের জানা ছিল না।” কায়কোবাদের অশ্রুমালার ভাষা প্রাঞ্জল এবং বিশুদ্ধ। এর আত্মগত ভাব উচ্ছ্বাস যথার্থ আন্তরিক। এতে বিরহের বিষয় অত্যন্ত লক্ষণীয়। তাই বলা যায়, সমকালীন প্রেক্ষাপটে কায়কোবাদের ‘অশ্রুমালা’ গীতিকাব্য খানি এক অমূল্য সম্পদ বলে বিবেচিত।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।