‘পলাশীর যুদ্ধ’ একটি ঐতিহাসিক গাঁথাকাব্য আলোচনা কর।
উত্তর: নবীনচন্দ্র সেনের (১৮৪৭-১৯০৯) একটি ঐতিহাসিক গাঁথাকাব্য ‘পলাশীর যুদ্ধ’। এ কাব্যটি রচিত হয়েছে পলাশী যুদ্ধের কাহিনি ও ভয়াবহতা নিয়ে। পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের কিভাবে পরাজয় সূচিত হয়েছে তা এ কাব্যে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
‘পলাশীর যুদ্ধ’ ঐতিহাসিক গাঁথাকাব্য। দেশপ্রেমমূলক এ কাব্যের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কাব্যটি কবির জন্য যথেষ্ট খ্যাতি এনে দিয়েছিল। একথাও বলা হয়, পলাশীর যুদ্ধ প্রকাশের ফলে বঙ্গ সাহিত্য জগতে একটা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। প্রকাশের পর পরই তা ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষায় নব্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত হয়েছিল। পরাধীনতার বেদনাবোধ এবং স্বাধীনতা লাভের উন্মাদনায় কাব্যটি সমৃদ্ধ। এতে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করে ইংরেজদের বিজয় দেখানোর মাধ্যমে কবি দেশপ্রেমের বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংরেজদের মধ্যে সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধের কাহিনি কাব্যটির উপজীব্য। তবে এতে সিরাজদ্দৌলাকে গুরুত্বহীন করে সেনাপতি মোহনলালকে কাব্যের নায়ক হিসেবে স্থান দিয়েছেন এবং মোহনলালের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমেই কবির দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে। কবি এ কাব্যে ইতিহাসের বস্তু সত্য ও কল্পনার কাব্য সত্য যথার্থ রূপে মিশাতে পারেননি, আবেগের অসংযত প্রকাশও এতে বিদ্যমান।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment