আমরা ছোট বড় সবাই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আইসক্রিম –  রেসিপি
ধামাকা  আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আমরা দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধ্বগতিতে ও বাজার
থেকে চড়া দামে আইসক্রিম কিনে খাই। আমরা যদি আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা
জানতে পারি তাহলে নিজেরাই আইসক্রিম তৈরি করতে পারব। তাই আইসক্রিম –  রেসিপি
ধামাকা জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।

আপনারা ইচ্ছে করলে সব ধরনের আইসক্রিম বাসায় তৈরি করতে পারেন। আর আইসক্রিম তৈরি
করার জন্য আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করা
হলো।-

 পোস্ট সূচী পত্রঃ আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা

দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানানোর রেসিপি

আইসক্রিম নামটা শুনলেই যেন মনটা ভরে যায়। আর যদি তা হয় প্রচণ্ড গরমে কোন
দুপুরে। আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রচন্ড গরমে
মনটা সতেজ আর ঠান্ডা করতে আইসক্রিমের বিকল্প যেন আর কিছুই ভাবা যায় না।
দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতিতে যদি বাজার থেকে আইসক্রিম কিনে খেতে হয় তাহলে তো
বুঝতেই পারছেন মাস শেষে অবস্থা ! তাই আসুন খুব অল্প উপকরণ দিয়ে অল্প খরচে তৈরি
করে ফেলি সবার পছন্দের আইসক্রিম।

উপকরণ

  • দুধ (গরুর দুধ অথবা গুড়া দুধ ! তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ফুল ক্রিম গুড়াদুধ
    ব্যবহার করতে হবে। কারণ ফুল ক্রিম গুড়া দুধে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম। আর তাই
    ফুল ক্রিম দুধ দিয়ে আইসক্রিম বানালে স্বাদটা পুরোপুরি পাবেন) । 
  • চিনি পরিমাণ মতো
  •  এলাচ দুই থেকে তিনটি
  • মালাইয়ের ছাঁচ বা পাত্র বা বাটি

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে চুলাতে একটি প্যান বা কড়ায় দিন। এবার দুধগুলো দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
এরপর দুধে বলক চলে আসলে দুই থেকে তিনটি এলাচ দিয়ে দিন ( এলাচ ২ টির মুখ ফাটিয়ে
তারপর দিবেন)।  আপনার স্বাদ মতো চিনি যোগ করুন।  এরপর অল্প আঁচে বা
তাপে দুধগুলো ভালোভাবে জ্বাল করতে থাকুন।  এরপর দুধগুলো যখন ঘন হয়ে
আসতে থাকবে তখন  দুধের কালার পরিবর্তন হয়ে যাবে।

এবং দুধের ওপর স্বর বা মালাই জমতে থাকবে। দুধ গুলো দেখলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন
দুধগুলো বাদামি রঙের হবে এবং ঘন হয়ে আসবে।তবে আপনি যদি এই আইসক্রিমে কোন ফ্লেভার
যোগ করতে চান তাহলে দুধগুলো যখন ঘন হয়ে আসবে তখন আপনার পছন্দের ভ্যানিলা এসেন্স
বা কোন ফলের ফ্লেভার যোগ করতে পারেন। দুধগুলো ঘন হয়ে আসলে কড়াইটি চুলা থেকে
নামিয়ে ফেলুন। 

আরো  পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

এরপর আইসক্রিমের ছাঁচ বা বাটিতে দুধগুলো পরিমাণ মতো ঢেলে ফেলুন। এবার বাটিগুলো
ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। বাটি গুলো পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে আইসক্রিম সেট
হওয়ার জন্য বাটিগুলো কয়েক ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বাটিগুলো
পুরোপুরি সেট হয়ে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন। 

দেখলেন তো কত সহজে তৈরি হয়ে গেল আপনাদের পছন্দের দুধ মালাই আইসক্রিম। আমরা যদি
আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা জানতে পারি তাহলে নিজেরাই আইসক্রিম তৈরি করতে
পারব।

মালাই আইসক্রিম রেসিপি

যদি বলা হয় আইসক্রিম কে পছন্দ করেনা হাত উঠান তো দেখি ! আমার মনে হয় শতকরা ২
একটি হাত উপরের দিকে উঠবে কিনা সন্দেহ আছে। এমন কিছু মানুষ আছে যাদের ঠান্ডা খেতে
দাঁতের সমস্যা হয় তারাও আইসক্রিম খাওয়ার চেষ্টা করেন। ছোট থেকে বড় সবাই
আইসক্রিম পছন্দ করে। আমরা ছোটবেলাতে মজার একটি ছন্দ বলতাম আর আইসক্রিম খেতাম।

নিশ্চয়ই ছন্দটি আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে তাই না ! তাহলে আসুন এবার বলেই ফেলি
সেই স্মৃতি জড়ানো ছন্দ।

🙎 
    আইসক্রিম খাবি আয়

🙎 
     আরো দুধ মালাই

🙎 
    চানাচুর ভাজা

🙎   
   দেবো তিলের খাজা

তাহলে আসুন এবার আমরা মালাই আইসক্রিমের রেসিপি ও প্রস্তুত প্রণালী জেনে নিই

উপকরণ

  • গরুর দুধ ১ কেজি
  •  কনডেন্স মিল্ক এক কাপ
  • মিষ্টি দই দুই দুই থেকে তিন চামচ
  • গুঁড়ো দুধ ফুল ক্রিম
  • স্বাদমতো চিনি
  • হরলিক্স হাফ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে চুলাতে একটি কড়াই বা প্যান দিন। এবার কড়াইয়ে এক কাপ কনডেন্স মিল্ক দিন।
অল্পতাপে নাড়তে থাকুন। এক সময় এই কনডেন্স  মিল্ক গুলো ঘন এবং
একটু শক্ত হয়ে আসবে এবং এর রং পরিবর্তন হবে। এবার দুধগুলো কনডেন্স মিল্ক এর
মধ্যে ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন। যখন কনডেন্স মিল্ক গুলো দুধের সাথে একেবারে
মিশে যাবে তখন দুটি এলাজ এবং দুই টুকরো দারুচিনি দিন।

মাঝারি তাপে দুধগুলো  জ্বাল করে ঘন করে নিন।দুধগুলো যখন ঘন হয়ে আসবে তখন এর
সাথে দুই চামচ মিষ্টি দই মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। অল্পতাপে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট
ভালোভাবে নেড়ে  কড়াইটা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এবার দুধগুলো একটু ঠান্ডা
হলে আইসক্রিমের ছাঁচে বা বাটিতে দুধগুলো ঢেলে পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন। এবার দুধগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে ডিপ ফ্রিজে আইসক্রিম সেট হওয়ার
জন্য কমপক্ষে আট ঘন্টা রেখে দিন।

আপনি আরেকটি পদ্ধতিতে এই মালাই আইসক্রিম বানাতে পারেন। আর তা হলো –

প্রথমে চুলাতে একটি কড়াই বা প্যান দিন। এবার কড়াইয়ে এক কেজি দুধ  দুধ
দিন। এর সঙ্গে এক কাপ ফুল ক্রিম গুঁড়ো দুধ মেশান। দুধ গুলো চুলায় নাড়তে থাকুন
যখন গরম হয়ে আসবে বা  ফুটবে তখন দুই টুকরা দারুচিনি এবং দুইটা সাদা এলাচ
দিন।যখন দুধগুলো পরিমাণে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন পরিমাণ মতো চিনি দিন। চিনি গুলো
একেবারে মিশে যাওয়ার পর এর সাথে হাফ কাপ হরলিক্স মেশাতে পারেন।

আরো  পড়ুনঃমধু কি – মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময় জেনে নিন

তবে মনে রাখবেন দুধগুলো বারে বারে নেড়ে দিতে হবে তা না হলে পাতিলের তলায় সেটা
লেগে যাবে। তখন আর আইসক্রিম খেতে ভালো লাগবে না। এবার দুধ গুলো পুরো ঘন হয়ে গেলে
কড়ায় চুলা থেকে নামিয়ে নিন এবং দুধগুলো ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যখন
দুধগুলো ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আইসক্রিম বল বা ছাঁচে এগুলো সেট হওয়ার জন্য রেখে
দিন।

এবার ডিপ ফ্রিজে আইসক্রিম সেট হওয়ার জন্য বেশ কিছু সময় রেখে দিন। কমপক্ষে ৮
থেকে ১0 ঘন্টা রেখে দিন। এরপর বের করে পরিবেশন করুন আপনার স্বাদের মালাই
আইসক্রিম।আমরা যদি আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা জানতে পারি তাহলে নিজেরাই
আইসক্রিম তৈরি করতে পারব।

ভ্যানিলা আইসক্রিম রেসিপি

গরমের সময় একটা আইসক্রিম যেন দেহ মনে প্রশান্তির পরশ। অতিরিক্ত গরমে আইসক্রিমের
মতো আর অন্য কোন খাবার হয় না। ব্যক্তিগত পছন্দ আলাদা হয় তাই কেউ পছন্দ করেন
চকোলেট আইসক্রিম, কেউবা কুলফি আবার কেউবা অরেঞ্জ সুইট আইসক্রিম। যে নামেরই হোক না
কেন পছন্দ কিন্তু আইসক্রিম। আইসক্রিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে।

ছোট থেকে বড় সবাই ভ্যানিলা আইসক্রিম পছন্দ করে থাকে। তবে খুব অল্প উপকরণে তৈরি
করা যায় এই ভ্যানিলা আইসক্রিম। তো আসুন এই আইসক্রিমের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী
জেনে নেয়া যাক-

উপকরণ

  • ঘন দুধ এক কাপ
  • হুইপ ক্রিম এক কাপ
  • কনডেন্স মিল্ক ১ টেবিল চামচ
  • ভ্যানিলা এসেন্স এক চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

একটা বাটি নেই এবার বাটিতে ঘন করে জাল দেওয়া এক কাপ দুধ অথবা এক কাপ হুইপ ক্রিম
নিন। এরপর একটি হ্যান্ড বিটার দিয়ে বিট করতে থাকুন যতক্ষণ ভালো মতো ফোম তৈরি না
হয়। এবার এর মধ্যে এক চামচ ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবার বিট করতে হবে যতক্ষণ না
একটি শক্ত ফোম তৈরি হয়। এবার এগুলো একটি এয়ারটাইট বক্সে করে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা
ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। 

আবার আপনারা ইচ্ছা করলে এইভাবে ও ভ্যানিলা আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। আর তা হল –
এক চামচ কন ফ্লাওয়ার, এক কাপ চিনি এবং হাফ কাপ দুধ জাল করা ঘন দুধ দিয়ে
ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার একটি কড়ায়ে করে চুলাতে দিয়ে মাঝারি আঁচে নেড়ে
চেড়ে ঘন করে নিন। তবে পাঁচ মিনিট সময় লাগতে পারে সঠিকভাবে ঘন হতে। উপকরণটি ঘন
হওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে নিন ।এবার অনবরত নেড়ে এটি ঠান্ডা করে এক সাইডে রেখে
দিন।

আরো  পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিত

এবার এক কাপ হুইপ ক্রিম নিন। একটি ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ক্রিমটি বিট করুন যতক্ষণ
না এটি শক্ত ফোমে পরিণত হয়। এবার ফোমের সাথে আগে থেকে তৈরি করে রাখা মিশ্রণটি
ঢেলে দিন। আবার বিট করুন। বিট করা হয়ে গেলে একটি এয়ার টাইট  বক্সে করে ৮
থেকে ১০ ঘণ্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।

তবে মাঝে দুই ঘন্টা পর বের করে আবার ভালোভাবে নেড়ে ফ্রিজে রেখে দিন। আইসক্রিমটা
পুরো সেট হওয়ার জন্য ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। আইসক্রিম পুরো সেট হয়ে
গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন আপনার পছন্দের ভ্যানিলা আইসক্রিম। আমরা যদি
আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা জানতে পারি তাহলে নিজেরাই আইসক্রিম তৈরি করতে
পারব।

কোন আইসক্রিম রেসিপি

বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে কোন আইসক্রিম। এ কোন আইসক্রিম তৈরি করা হয় একটু
ভিন্ন পদ্ধতিতে যা বাচ্ছাদের মন বেশি আকৃষ্ট করে থাকে। তবে চলুন কোন আইসক্রিম
তৈরির উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী জেনে নেই।

উপকরণ

  • ময়দা ১ থেকে দেড় কাপ
  •  লবণ স্বাদ  মতো
  •  চিনি হাফ কাপ
  •  তেল দুই থেকে তিন টেবিল চামচ
  •  ভ্যানিলা এসেন্স হাফ কাপ 
  • পানি পরিমাণ মতো

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে একটি বাটি নিন। এবার বাটিতে উপকরণ গুলো দিয়ে একটি মিশ্রণ বা
ব্যাটার তৈরি করে নিন। মনে রাখবেন ব্যাটারটি যেন একটু পাতলা হয়। এবার এই
ব্যাটারটি ঢেকে রেস্টে রেখে দিন দুই ঘন্টার জন্য। দুই ঘন্টা পর ব্যাটাটি আবার
ভালোভাবে নেড়ে নিন। এবার চুলাতে একটি প্যান বসিয়ে দিন। প্যা্ন গরম হয়ে গেলে
তাতে অল্প পরিমাণ ব্যাটার ঢেলে দিয়ে চারপাশে ঘুরিয়ে বেটারটি ছড়িয়ে নিন। 

এভাবে পাতলা করে রুটি তৈরি করে নিন। এবার রুটির একপাশ ছেঁকে নেওয়া হয়ে গেলে আর
এক পাশ ছেঁকে নিন। এবার কোন আইসক্রিমের সাথে রুটি সেট হওয়ার জন্য রেখে দিন
এবং কোন আইসক্রিম ছাঁচে আইসক্রিম লাগিয়ে পরিবেশন করুন আপনার পছন্দের আইসক্রিম
কোন আইসক্রিম। 

কুলফি আইসক্রিম রেসিপি

আইসক্রিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। বিশেষ করে মেয়েরা সবচেয়ে
বেশি আইসক্রিম পছন্দ করে। এই আইসক্রিমের দাম একটু বেশি। আপনি ইচ্ছে করলে বেশি
দামে বাজার থেকে আইসক্রিম না কিনে বাসায় তৈরি করে আপনার বাচ্ছাকে  খাওয়াতে
পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কুলফি আইসক্রিম বানাতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন
হয় এবং এর প্রস্তুত প্রণালী।

উপকরণ

  • দুধ (গরুর বা মিলভিটা) দেড় থেকে দুই কেজি
  • চিনি ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম
  • সাদা এলা  পাঁচ থেকে ছয়টি
  • দারুচিনি তিন থেকে চার টুকরা (মাঝারি সাইজ)
  • তেজপাতা দুইটি
  • মাওয়া ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে দুধগুলো একটি হাড়িতে বা পাতিলে দিয়ে জ্বাল দিতে শুরু করুন। দুধে বলক
আসলে বা দুধ পুরোপুরি গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে একে একে এলাচ, দারুচিনি এবং তেজপাতা
দিয়ে  জ্বাল করতে থাকুন (এলাচএর মুখগুলো ফাটিয়ে দিবেন)। দুধের
পরিমাণ যখন অর্ধেক হবে তখন এর সাথে চিনি যোগ করুন। চিনি পুরোপুরি মিশে
গেলে এবার মাওয়া গ্রেট করে দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে বা অল্প আঁচে দুধ জাল করতে থাকুন। দুধ একটু ঘন হয়ে আসতে
থাকলে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা গুলো তুলে ফেলে দিন। এরপর দুধ যখন পুরো ঘন হয়ে
আসবে তখন দুধ ঠান্ডা করে দুধগুলো কুলফি ছাঁচে ঢেলে নিন। এরপর কুলফি বাটি গুলো
পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। 

আরো  পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা – খেজুর খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

কুলফি পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার জন্য অন্তত একদিন ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর কুলপি
গুলো তৈরি হয়ে যাবে। আপনি আপনার বাচ্চাকে এটা পরিবেশন করুন। এবার দেখলেন তো
কুলপি আইসক্রিম তৈরি করা কতটা সহজ।আমরা যদি আইসক্রিম –  রেসিপি ধামাকা জানতে
পারি তাহলে নিজেরাই আইসক্রিম তৈরি করতে পারব।

শেষ কথা

আমরা সবাই আইসক্রিম খেতে পছন্দ করি কিন্তু আমরা সবাই আইসক্রিম তৈরি করতে পারি না।
তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে আমাদের এই পছন্দের জিনিসটি তৈরি করার কিছু উপকরণ
শেয়ার করেছি। আমি আশা করি আমার এই লিখাগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে এবং আপনারা
বাসায় তৈরি করবেন আপনাদের পছন্দের আইসক্রিম।