টিক টক ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হয়েছিল। টিক টক এর প্রতিষ্ঠাতা
চীনের ঝাং ইয়ামিং। টিকটক চীনে দৌয়িন নামে পরিচিত। চীনা ফিনিন যার আক্ষরিক
অর্থ হলো “গলা কম্পন ছোট ভিডিও”। টিক টক হল সামাজিক নেটওয়ার্ক ও একটি সংগীত
ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ।বর্তমানে টিক টক বিশ্ব ব্যাপী সবচেয়ে বড় সংগীত ভিডিও
সম্প্রদায়িক হিসেবে এবং এশিয়া মহাদেশের নেতৃ স্থানীয় ছোট ভিডিওর
প্ল্যাটফর্ম যা বিষের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে নিজেকে
বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই tiktok অ্যাপটি ২০১৮ সালের জুন মাসের ১৫০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী
রয়েছে। ২০১৮ সালে এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডকৃত অ্যাপ্লিকেশন
যার আনুমানিক হিসেব ধরা হয় ৪৫.৮ মিলিয়ন। এই অ্যাপে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ডের
বিভিন্ন শিক্ষা, কৌতুক নাচ সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট ভিডিও তৈরি করার
সামাজিক মাধ্যম হিসেবে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত।
বাংলাদেশের সেরা ১0 জন টিক টকার (tiktoker)
বাংলাদেশের সেরা ১0 জন টিক টকার (tiktoker) সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো-
শামীমা আফরিন ওমি
বাংলাদেশের টিক টক জগতের সর্বাধিক জনপ্রিয় নামটি হল শামীমা আফরিন ওমি।
তিনি ১৯৯৮ সালের ৩ জানুয়ারি খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শামীমা আফরিন
ওমি বাংলাদেশের একজন সর্বাধিক জনপ্রিয় টিকটক তারকা। এখন তিনি
সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন। তার বয়স ২৪ বছর। বর্তমানে তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। তিনি একজন সফল ইউটিউব তারকা এবং সামাজিক
প্রভাবক।
আরো পড়ুনঃকম দামে ভালো মানের মোবাইল কিনুন
বর্তমানে তিনি সুন্দর হাসি ও স্টাইলের অধিকারী হিসাবে
টিকটক জগতে সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তিনি নিয়মিত টিকটক, টিক টক
ভিডিও,ইউটিউব, ফেইসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও
প্রকাশ করেন। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফলোয়ার রয়েছে ৬.৬
মিলিয়ন
আর সর্বাধিক ফলোয়ারের জন্য এখন তাকে বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টিকটকার দের
মধ্যে প্রথম হিসাবে বিবেচনা করা। তিনি টিক টক ভিডিওতে
জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি বর্তমানে একজন জনপ্রিয় তারকা হিসেবে ও
পরিচিতি লাভ করেছেন।
অনামিকা ঐশী
অনামিকা ঐশী একজন টিকটক তারকা হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি টিকটকার হিসেবেই পরিচিত।
তিনি ইউটিউবের একজন প্রভাবশালী স্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ঐশী ২০০৩
সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ
করেন। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর। তিনি তার পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তার ভিডিও অনেক জনপ্রিয়। তিনি ২০২০ সালের
অক্টোবর মাসে টিকটক জগতে পা রাখেন। তিনি টিকটক ভিডিওতে নাচের
ছন্দে ছোট ছোট ভিডিও করে থাকেন। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪.৫ মিলিয়ন। এছাড়াও
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তার অনেক ফলোয়ার রয়েছে। ফেসবুকে তার ফলোয়ার
সংখ্যা হল ৩৬০ K এবং ইনস্ট্রাগ্রাম এ তার ফলোয়ারের সংখ্যা হলো ১০৮
K।
অনামিকা ঐশী মূলত মডেলিং, ব্লগিং, নাচ, অভিনয় ও ভ্রমণ ইত্যাদি বিষয়ক
টিকটক করে থাকেন। বর্তমান সময়ে তাকে টিকটকার হিসাবে বাঙ্গালীদের নতুন
ক্রাশ বলা হয়। অনামিকা ঐশী কে এখন আপনারা তাওহীদ হিরন পরিচালিত
সংশয় সিনেমার নায়িকা দিবা হিসেবে দেখতে পাবেন।
জেনসি মুন
জেনসি মুন একজন সফল টিকটক তারকা হিসেবে পরিচিত। তার পুরো নাম জান্নাতুল
জেনসি মুন।তবে তিনি মুন নামেই বেশি পরিচিত।তার পরিবারের লোকজন তাকে
মুন বলে ডাকে, আর টিকটক tiktok জগতে তিনি জেনসি নামে পরিচিত।
তিনি ২০০০ সালের ১ লা মে বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় এক মুসলিম পরিবারে
জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৩ বছর।
তিনি টিকটক tiktok জগতে একজন হিজাবী নারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
তার রয়েছে সুন্দর ভয়েস আর এই সুন্দর কন্ঠের মাধ্যমেই তিনি বিভিন্ন ধরনের
সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তার দর্শকদের মন জয় করেছেন। ইউটিউবে তার
ফলোয়ারের সংখ্যা ৩.৯ মিলিয়ন। তিনি সুন্দর গানের মধ্যে দিয়ে টিক টক
জগতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন।
নওরিন আফরোজ পিয়া
নওরিন আফরোজ পিয়া ২০১৮ সালে টিকটক এর মাধ্যমে প্রথম ভিডিও তৈরি করেন এবং
এতে সফলতা অর্জন করেন। তিনি একজন ইউটিউব তারকা, মডেল ও স্টার। তিনি
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের দিনাজপুর জেলায় ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসের এক
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এবং দিনাজপুরে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে
বসবাস করেন। তার পরিবারের তার বাবা-মা সহ আরো একজন বোন রয়েছেন।
তিনি দিনাজপুর ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার
বর্তমান বয়স ২১ বছর।প্রিয়া একজন সফল টিক টক তারকা। তার মিষ্টি হাসি ও
লম্বা চুলের জন্য তিনি খুব সহজে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার লম্বা
চুলের জন্য তাকে লং হেয়ার কুইন নামেও তার ফলোয়াররা চিনেন। ছোটবেলা থেকে
তার মডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা হয়ে
ওঠেনি।
এরপর তিনি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত করেছেন।তিনি নিজেকে
আত্ম নির্ভরশীল মেয়ে বলে দাবি করেন। তিনি একজন সফল টিকটক এর হওয়ার
পাশাপাশি তৈরি করেন বিভিন্ন অর্গানিক প্রোডাক্ট দিয়ে হারবাল প্রসাধনী।
মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “আর্টস অফ পিয়া” নামে অনলাইন
ফ্যাশন ব্রান্ড আর এই ব্রান্ডে তিনি নিজেই মডেল হিসেবে কাজ করেন।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সব চেয়ে দামী ১০ টি ঘড়ি- বিস্তারিত জেনে নিন
আর এই tiktok তারকা তার শৈশবের মডেল হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সফল হয়েছেন।
এছাড়া ও তার ইউটিউব youtube এ “নওরিন আফরোজ” ও “আর্টস অফ পিয়া” নামে
দুইটি পেজ রয়েছে। সেখানে তিনি ক্লোথিং ব্র্যান্ডের ফটোশুট, স্বাস্থ্য
বিষয়ক ভিডিও ও বিভিন্ন মেকআপ টিপস দিয়ে থাকেন। তার মাসিক আয় প্রায় এক
থেকে দেড় লক্ষ টাকা। তার জীবনে লক্ষ্য হলো নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
কিন্তু তিনি একজন কনটেন্ট নির্মাতা ও একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি উদ্যোক্তা
হিসেবে তার যাত্রা শুরু করেন। প্রিয়া তার নিজের বানানো হারবাল প্রসাধনী
দিয়ে তার প্রথম যাত্রা শুরু করেন এর মাধ্যমেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে
চান।
নুসরাত জাহান অন্তরা
নুসরাত জাহান অন্তরা বাংলাদেশের একজন সফল টিকটক তারকা ও মডেল। তাকে
টিক টক কুইন হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় ২০০১
সালের ২২ শে জুলাই একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবারসহ
ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। টিকটক tiktok এ তার ফলোয়ার
সংখ্যা রয়েছে তিন ৩ মিলিয়নেরও বেশি। টিক টক এর মাধ্যমেই তিনি সুপারস্টার
হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বর্তমানে তিনি বিভিন্ন নাটক, মিউজিক ভিডিও সহ ওয়েব সিরিজে কাজ করেন।
তিনি ইউটিউবেও কাজ করে থাকেন। “নুসরাত জাহান অন্তরা” নামে তার একটি
ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নুসরাত জাহান বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও সম্প্রদায় টিক
টক তারকাদের একজন অন্যতম সদস্য। টিক টক এর পাশাপাশি তিনি ইনস্টাগ্রামে ও
কাজ করে থাকেন।
শাকিলা পারভীন
শাকিলা পারভিন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় টিকটকার। বর্তমান
সময়ে যারা অভিনয়ও মিউজিক ভিডিও সহ মডেল হিসেবে কাজ করেন শাকিলা পারভিন
তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের কাছে তিনি মিউজিক ভিডিওর
মডেল হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। সব সময় যারা মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেন
শাকিলা পারভীন তাদের কাছে সবার চাইতে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকেন।
শাকিলা পারভিন ১৯৯৫ সালে ৯ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের সবাই
তাকে “মুক্তি” বলে ডাকে। তিনি বাংলাদেশের একজন মডেল, নৃত্যশিল্পী ও
অভিনেত্রী। তিনি সামাজিক দিক থেকেও বেশ প্রভাবশালী।তিনি নিয়মিতভাবে মডেলিং
ও নাটকে কাজ করেন। তিনি তার পড়াশোনা শেষ করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ
বিজনেস ও টেকনোলজি থেকে।
আরো পড়ুনঃ
দুর্ভিক্ষ কি – ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ জেনে নিন
বিস্তারিত
তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ন্যান্সির গানের প্রথম মডেল
হিসেবে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারপর আরেকটি জনপ্রিয় গান
বুক চিন চিন করছে হায় এর মডেল হিসেবে কাজ করেন। টিক টক জগতে তার 2.9
মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে অভিনয় জগতে তার প্রধান অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের
স্বনামধন্য চিত্র নায়িকা শাবনুর। তিনি অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নিজেকে অনেক
দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।
সামিরা খান মাহি
সামিরা খান মাহি একজন বাংলাদেশী টিভি অভিনেত্রী, মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া
ব্যক্তিত্ব। তার আসল নাম ফারজানা ইয়াসমিন কলি। তিনি ১৯৯৫ সালে ৭
ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলার লক্ষীপুরে একটি মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।
বর্তমানে তার বয়স ২৭ বছর। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং ওজন ৫০ কেজি।
তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মাহি সবার ছোট। তিনি ২০১৪ সাল থেকে মিডিয়ায়
কাজ করা শুরু করেন এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে
কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সিস্কিং আপ
টিক টক এর মাধ্যমে। তিনি বাংলা মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন
ব্র্যান্ড এবং প্রকাশনার সাথে কাজ করেন। তার ফলোয়ার রয়েছে ২ .৬
মিলিয়ন।
আরোহী মিম
আরোহী মিম একজন বাংলাদেশের tiktok স্টার youtube মডেল ও অভিনেত্রী এবং
ইনস্টাগ্রাম তারকা। মিম ২০০৪ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে এক
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার পরিবারের সাথে সেখানে বসবাস করেন।
তিনি ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক ভিডিও শর্ট ফিল্ম ও তীর্থক শর্ট ভিডিওতে কাজ
করে থাকেন।
গত বছর প্রাঙ্ক লিংক ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হওয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্র “টিনেজ লাভ” দিয়ে তিনি পরিচিতি লাভ করেন তার এই অভিনয়ের
মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। “পালাই পালাই”
নামে একটি নাটক তিনি সম্প্রতি শেষ করেছেন। তার ফলোয়ারের সংখ্যা ২.৫
মিলিয়ন।
তৌহিদ আফ্রিদি
তৌহিদ আফ্রিদি একজন বাংলাদেশী ইউটিউবার এবং tiktoker। তিনি তাওহিদ আফ্রিদি
নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ৩ জানুয়ারি
জন্মগ্রহণ করেন। প্লে থেকে তার নিজ শহরের স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং
পরে ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি সাত বছর ইংল্যান্ডের ছিলেন এবং
লেখাপড়া করেছেন “ক্যান বুক ইস্কুল” থেকে। বর্তমানে তিনি .৮ বছর মেয়াদী
পিএইচডি কোর্স করছেন নিউইয়র্ক শিল্প একাডেমী থেকে।
২০২৫ সালে তার পড়াশোনা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কর্মজীবনে তাওহীদ আফ্রিদি
কাজ করেন মাই টিভিতে এখানে তিনি কমেডি কিং এবং প্র্যাঙ্কে অভিনয়
করছেন। এছাড়াও তিনি ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করছেন।২০১৫ সালে ২ ফেব্রুয়ারি
ইউটিউবে তৌহিদ আফ্রিদি নামের চ্যানেলটি যাত্রা শুরু হলেও এর কার্যক্রম শুরু
হয় ২০১৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সেরা বাইক – বিশ্বের সেরা ১0 টি
সুপারফাস্ট বাইক জেনে নিন
বর্তমানে তার ফলোয়ার রয়েছে ২.১ মিলিয়ন তার চ্যানেলটি হলো নন স্টপ
কমেডিয়ান ধাঁচের এবং এখন পর্যন্ত এই চ্যানেলটি ভিউ হয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ
৫৪ হাজারের বেশি এবং ফলোয়ার রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬০০ এর বেশি। এই
চ্যানেলের ৬৬ টি র বেশি ভিডিও আপলোড করে খুব কম সময়ে সাবস্ক্রাইবার
ছড়িয়েছে। দিন দিন এই চ্যানেলের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও তৌহিদ আফ্রিদি (TAWHID AFRIDI) নামক তার ইউটিউব চ্যানেলে
গ্রাহক রয়েছে ১.৫ মিলিয়ন এবং ভিউয়ার রয়েছে ১০০ মিলিয়নের বেশি।
অপু ভাই
অপু একজন সফল টিক টকার। তার পুরো নাম ইয়াসিন আরাফাত অপু। তবে টিকটক জগতে
অপু ভাই নামেই পরিচিত। অপু নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর
ইউনিয়নের জন্মগ্রহণ করেন। অপু ছোটবেলায় তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে
যাওয়ার কারণে হতে হয় তার নানার বাড়ি সোনাইমুড়ি পৌরসভার কৈশোর বাগ
গ্রামে। নানার বাড়ি থেকে তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।কৈশোর বাগ
তালিমুল কুরআন নুরানী কাওমি মাদ্রাসা থেকে।
সংসারের অভাবের কারণে সে তার লেখাপড়া আর আগাতে পারেনি এরপর ওপর টিভি ও
মোবাইল মেকানিক এর কাজ শিখে এবং কিছুদিন সার্ভিসিং এর কাজ করেন। এরপর তিনি
সেলুনের কাজ শুরু করেন সোনাইমুড়ির বাজার ও জেলার বিভিন্ন শহরে।তবে অপু
সেলুনের কাজ খুব ভালো করতো। সেলুনের কাজ করার একপর্যায়ে অপু টিক টক
লাইকিতে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং ভিডিও বানানোর কাজ শুরু করে।
এরপর টিক টক লাইকী কর্তৃপক্ষ আরো সুন্দরভাবে ভিডিও বানানোর জন্য তাকে
ফ্ল্যাশ লাইট ও বিভিন্ন উপকরণ উপহার দেয়। এরপর শুরু হয় অপুর দল বেঁধে
মোবাইলে ভিডিও বানানোর কাজ।অপুর সঙ্গে ভিডিও বানানোর জন্য আশেপাশের বিভিন্ন
গ্রাম থেকে তরুণেরা চলে আসতো এমনকি অপুর সঙ্গে ভিডিও বানাতে ঢাকা থেকে অনেক
তরুন আসত গাড়ি রিজার্ভ করে। কথিত আছে তিনি এক পর্যায়ে বিভিন্ন টিকটকাদের
সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি বিমানবন্দর সম্পর্কে জেনে নিন
অপু ঢাকা এসেও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আলোচনা
শীর্ষে অবস্থান করেন তার বলা সংলাপের ও চুলের কালার এর কারণে।
একের পর এক তিনি বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তাকে
হাজতবাস করতে হয়। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি নিয়ে নিজেকে শুধরে নেন এবং তখন
থেকে ইউটিউবে নিয়মিত কাজ করা শুরু করেন।
শেষ কথা
আমি বাংলাদেশের সেরা ১0 জন টিক টকার (tiktoker) সম্পর্কে আমার
পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আমার মনে হয় আমার পোষ্ট যদি
আপনারা পড়েন তাহলে বাংলাদেশের সেরা ১0 জন টিক টকার (tiktoker)
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
যদি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার
করবেন এবং আমাকে একটি লাইক কমেন্টস করতে ভুলবেন না।
Leave a comment