আমরা যারা বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়াশোনা করি তাদেরকে অবশ্যই একটি রচনা লিখতে হয়।
সেক্ষেত্রে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা পড়ার প্রয়োজন হয়। দৈনন্দিন
জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে লিখতে হলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
রচনা সম্পর্কে জানতে হবে।

আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। তাই  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে জানতে আমার
আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা

ভূমিকা

প্রাচীনকালে মানুষ বর্বর জীবন যাপন করতো। তারা ছিল গুহা বাসি  এবং
অরণ্যচারী। কাল ক্রমে মানুষ হিংস্র পশুর হাত থেকে বাঁচতে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক
দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে বুদ্ধি বলে সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। পরবর্তীতে উদ্ভাসিত হয়
জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানব চেতনার কল্যাণে। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, কুসংস্কার থেকে
মুক্তি দিয়েছে। আগের দিনের মানুষ ভাগের উপর নির্ভর করে বসে থাকতো।

কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষ আর ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প
কোন পথ অনুসন্ধান করতে লাগলো। আর এই অনুসন্ধানের ফলে মানুষ আবিষ্কার করে বিজ্ঞান।
আর বর্তমান সময়ে এসে বিজ্ঞানকে আর এড়িয়ে চলার সম্ভব নয়, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে
মানুষ জয় করেছে পৃথিবীর সব কিছুকে। আর এই সকল অবদান আমাদের প্রত্যহিক জীবনের
সাথে বিজ্ঞান ও তপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

বিজ্ঞান কি

বি শব্দের অর্থ হলো বিশেষ এবং জ্ঞান শব্দের অর্থ হলো ধারণা । সুতরাং বিজ্ঞান
শব্দের অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান বা বিশেষ ধারণা। কিন্তু বিজ্ঞান কে আর বিশেষ জ্ঞান
হিসেবে ধরা যায় না কারণ এখন বিজ্ঞান মানে সার্বিক জ্ঞান।  আবার বলা যায়
বিমূর্ত জ্ঞান হল বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের প্রসার ও প্রচার ঘটে বিভিন্ন প্রযুক্তির
মাধ্যমে। বর্তমান সভ্যতার উন্নতির চাবিকাঠি হল বিজ্ঞান।

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা

যখন মানুষ গণনার কাজে ০ শূন্য আবিষ্কার করেছে, আগুনের ব্যবহার শিখেছে, চাকা
আবিষ্কার করেছে সেদিন থেকে শুরু হয়েছে বিজ্ঞানের জয় যাত্রার।  সুমেরীয় ও
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা আবিষ্কার করে গণনার কাজে ৬0 ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি।
মিশরীয়দের আশ্চর্য আবিষ্কার হল পিরামিড এবং হায়ারোগ্লোফিকস সংখ্যা পদ্ধতি।
গ্রিক সভ্যতার পতনের পরে রোমানরা আবিষ্কার করে তাদের রোমান সংখ্যা।

সময়ের প্রয়োজনে মানুষ আবিষ্কার করে বাষ্প শক্তি, এর পরে আবিষ্কৃত হয় বিদ্যুৎ
শক্তি। আর এই সব আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে মানুষের বুদ্ধি তথা বিজ্ঞানের অবদানের
কারণে। বর্তমানে মানুষ আবিষ্কার করছে পারমাণবিক শক্তি আর এ সকল কিছুই হয়েছে
বিজ্ঞানের জয়যাত্রার কারণে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান

বিজ্ঞান আমাদের জীবনের সাথে অপপ্রতভাবে জড়িত। আমাদের প্রত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান
যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে আবার ঘুমাতে
যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সকল কাজে বিজ্ঞানের সাহায্য ব্যবহার করি। আমাদের
প্রতিদিনের জীবন থেকে বিজ্ঞানের অস্তিত্বকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন অবকাশ
নেই।প্রতিদিন ভোরে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে ঘড়ির এলার্ম শুনে।

বিজ্ঞানের অবদানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খবর আমরা পেয়ে যাই মুহূর্তের মধ্যে।
প্রত্যহিক জীবন চর্চা, অফিস, আদালত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি সকল ক্ষেত্রে
রয়েছে বিজ্ঞানের অবদান। আমরা প্রতিদিনের ব্যবহার্য কাজে বিজ্ঞানের সাহায্য
ব্যবহার করি যেমন – টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, রান্নার জিনিসপত্র, বাসন , ঔষধ এবং
যাতায়াতের কাজে যেসব গাড়ি ব্যবহার করি তা সবই বিজ্ঞানের দান।

বিজ্ঞানের দানে আমরা কাজ করি রোবট দিয়ে, ঘরে বসে অফিস করি, দেশে বসে বিদেশের
মানুষের সাথে কথা বলি, তাদের ছবি দেখি, ঘরে বসে ডাক্তারের সেবা গ্রহণ করি
টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে, ওয়াশিং মেশিন, এসি, ওভেন প্রভৃতির উপস্থিতিতে আমাদের
প্রত্যেকটা ঘর যেন এক একটি ছোটখাট বিজ্ঞান কক্ষ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ইমেইল
প্রভৃতি বিজ্ঞানের অবদান। আর এই বিজ্ঞানের অবদানের কারণে আমাদের জীবন হয়ে উঠেছে
সুন্দর ও সাবলীল।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

আমরা দৈনন্দিন জীবনে কাজ কর্মকে যদি কয়েকটি ভাগে ভাগ করি তাহলে দেখতে পাবো
আমাদের প্রতিটা কাজে কিভাবে আমরা বিজ্ঞানকে গ্রহণ করেছি। আমরা প্রতিদিন – প্রতিটি
মুহূর্তে বিজ্ঞান কে গ্রহণ করেছি সেটা জেনে হোক বা না জেনেই হোক। প্রতিদিনের
গৃহকর্ম থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প,
স্বাস্থ্য, বিনোদন, সহিক জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করতে আমরা বিজ্ঞান ব্যবহার করি।
নিচে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

দৈনন্দিন জীবনে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আধুনিক
বিজ্ঞানের  অবদানে কৃষি ক্ষেত্রে সবুজের বিপ্লব ঘটেছে। কৃষিকাজে বিজ্ঞান কে
ব্যবহার করে উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে যার ফলে কৃষকেরা অধিক
পরিমাণে ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে। আমাদের এই ছোট্ট দেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখে
খাদ্য তুলে দিতে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের প্রয়োজন ছিল।

আমাদের দেশে আগে যে খাদ্যের অভাব ছিল এখন তা অনেকাংশে কমে গেছে। আগে যখন এক বিঘা
জমিতে ধান ফলতো তিন থেকে পাঁচ মন আর এখন বিজ্ঞানের অবদানের কারণে সেই একই জমিতে
ধান ফলে এক বিঘা জমিতে প্রায় ২0 মন। বিজ্ঞানের অবদানে জমিতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক
কীটপতঙ্গ, রোগ জীবাণু সবকিছু দমন করা সম্ভব হচ্ছে।

জমি চাষ বীজ বপন, পানি সেচ, ফসল কাটা এবং মাড়াই করা, সর্বক্ষেত্রে বিজ্ঞানের
প্রয়োগ রয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানে বেশি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে বলেই মানুষের ক্ষুধা
মিটছে এবং মানুষের জীবন যাপন হয়ে উঠেছে সুন্দর ও সাবলীল।

গৃহ কাজে বিজ্ঞান

এখন গৃহের কাজে ও বিজ্ঞান ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আগের দিনের মেয়েদের ঘর
ঝাড়ু দিতে হতো, পাটায় মশলা বাটতে হতো, কাপড় কাচতে হতো, উনুনে খড়িতে আগুন
জ্বালিয়ে রান্না করতে হতো কিন্তু এখন বিজ্ঞানের অবদানে এইসব কাজ হয়ে উঠেছে সহজ।
কাপড় ধুতে আর পুকুরে যেতে হয় না, ওয়াশিং মেশিন দ্বারা কাপড় পরিষ্কার করে,
গ্যাসের চুলায় রান্না করে আর এই সব কিছুই হয়েছে বিজ্ঞানের অবদানে।

শিল্প ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

বিজ্ঞান শিল্প ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিজ্ঞান চালিত বিভিন্ন
যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানুষ শিল্প ক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে উন্নতি। কলকারখানা,
শিল্প, সংস্থা, ফ্যাক্টরি সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আজ তার অবদান রেখেছে। কম্পিউটার,
রোবট আবিষ্কার করার মাধ্যমে শিল্প ক্ষেত্রে অতি দ্রুত কাজ সম্পাদন করা যায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত করেছে। বিজ্ঞানের
অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন ঘরে বসে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সেবা নিতে পারছে যাকে বলা হয়
টেলিমেডিসিন। বিজ্ঞানের কল্যাণে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধির প্রতিষেধক ও টিকা
আবিষ্কারের  ফলে মৃত্যুহার অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে। বৈজ্ঞানিকদের
গবেষণার সাহায্যে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক যেমন এরিস্ট্রোমাইসিন, এসিথ্রোমাইসিন,
অরিওমাইসিন, ক্লোরোমাইসিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, পেনিসিলিন প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রাণীদের কামড়ে যে রোগ হয় তার প্রতিষেধক যেমন – পাগলা কুকুরের
কামরে যে জলাতঙ্ক রোগ হয় তার প্রতিশোধ হাইড্রোফবিনাম, সাপের বিষ থেকে
অ্যান্টিভেনোম সিরাম, ল্যাকসিস  ইত্যাদি এছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাস ও
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে।  বিশেষ
করে  দুরারোগ্য ব্যাধি যেমন –

টাইফয়েড, কলেরা, পোলিও, টিটেনাস, ডিসথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি ও সি প্রভৃতি
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে রোগমুক্ত। এছাড়াও ইসিজি,
এক্সরে, ব্রেন অপারেশন ,হৃদপিণ্ড পরিবর্তন এমনকি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়
ক্রায়োসার্জারি পর্যন্ত করা হচ্ছে। আর ক্রায়ো সার্জারি হল বিজ্ঞানের এমন এক
অবদান যা সম্পূর্ণ রক্তপাত  হীন একটি অপারেশন।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

এখন পুথি পড়ার দিন শেষ হয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানে এসেছে ছাপাখানা আর ছাপাখানার
অবদান হলো আমাদের আজকের এই বই। এমনকি অনেক দুষ্প্রাপ্য  বইয়ের পৃষ্ঠা এখন
জেরেক্স এর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারছে। মানুষ গণনার কাজে ব্যবহার করছে কম্পিউটার,
ক্যালকুলেটর। ইন্টারনেট দ্বারা খবর পাছে পৃথিবীর যেকোনো লাইব্রেরীর।

আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোন লাইব্রেরীর বই পড়াকে বলা হয় ই-বুক।
এখন আর শিক্ষার্থীদের হারিকেনের আলোয় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করতে হয় না।
তারা এখন বৈদ্যুতিক আলোতে লেখাপড়া করে, বই খাতা কলম সবকিছুই বিজ্ঞানের অবদান।

খাদ্য

পুষ্টিবিজ্ঞানের প্রভাবে আমাদের খাদ্য সম্পর্কে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেসার কুকারে মানুষ খাদ্য কিভাবে সেদ্ধ করছে তা ও জানতে পারে বিজ্ঞানের অবদানের
কারণে। প্রেসার কুকারে খাদ্য তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয় কারণ খাদ্য সেদ্ধ করতে শুধু
তাপ নয় চাপ ও কাজে লাগে আমরা তা জানতে পারি বিজ্ঞানের কল্যাণে। কিভাবে খাদ্যের
পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে রান্না করা যায় সেটাও আমরা জানতে পারি বিজ্ঞানের কল্যাণে।
কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করা যায়, কিভাবে ফ্রিজে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায় সব কিছুই
জানা যায় বিজ্ঞানের অবদানে।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান

যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে। দূর
হয়েছে এখন অনেক কাছে। যেখান দিয়ে যেতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগতো এখন সেই জায়গাতে
যেতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। বিভিন্ন প্রকার গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাইকেল,নৌকা,
বিমান আমাদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে দেয় খুব সহজে এবং আমাদের জীবনকে কর্মমুখর করে
তুলেছে। আজ মানুষ পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে অসীম আকাশে পাড়ি দিচ্ছে বিজ্ঞানের
অবদানে।

অবসর বিনোদনে বিজ্ঞান

মানুষের কর্মজীবনের ক্লান্তি দূর করতে বিজ্ঞান অশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষ
বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল, সিনেমা, বিভিন্ন
গেমস খেলে মানুষ অবসর সময় সহজেই অতিবাহিত করতে পারছে।

সংবাদ মাধ্যম

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদানে মানুষ ঘরে বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে পৃথিবীর সকল
খবর পেয়ে যাচ্ছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। কম্পিউটার, টিভি ও মোবাইল ছাড়া এখনকার
মানুষের জীবন প্রায় অচল।

প্রযুক্তিবিদ্যায় বিজ্ঞান

প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফেসবুক, ইমেইল,
ম্যাসেঞ্জার , হোয়াট অ্যাপস, ইনিস্ট্রাগ্রাম সহ প্রভৃতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে
মানুষ যে কোন সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে। মোবাইল ফোনের
অবদানের পুরো বিশ্ব চলে এসেছে আপনার হাতের মুঠোয়।

বিজ্ঞানের কুফল

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। মানুষ মনে করছে
বিজ্ঞান ছাড়া জীবন যেন অর্থহীন। জীবনে বিজ্ঞানকে কাজে লাগে মানুষ যতটা উপকৃত
হয়েছে ঠিক ততটাই আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ
করছে কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি। যার ফলে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি বিলুপ্ত হচ্ছে।
মোবাইলের ফলে শিশুরা হয়ে যাচ্ছে ঘরমুখো।

তারা আর বাইরে খেলতে যায় না যার কারণে তাদের সম্মুখীন হতে হতে অনেক সমস্যার।
তাদের চোখের ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইলের ফলে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, মিথ্যাচার
বেড়ে গেছে। মানুষ আগে সামাজিক সম্প্রীতির মাধ্যমে জীবন যাপন করত কিন্তু এখন আর
মানুষ এগুলো করে না। মানুষ সময় কাটায় প্রযুক্তিতে।

বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ আর কেড়ে নিয়েছে তাদের আবেগ। বিজ্ঞানের অগ্রগতির
ফলে মানুষ তৈরি করেছে বিভিন্ন মরণ অস্ত্র। কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ। এর
পরেও বিজ্ঞানের অবদানকে আমরা অস্বীকার করতে পারবো না।

উপসংহার

আমাদের জীবনের যে দিকে আমরা তাকাই না কেন বিজ্ঞানের অবদানকে অস্বীকার করতে পারবো
না। বিজ্ঞানের উন্নতির পাশাপাশি কুসংস্কার আমাদের প্রত্যেক জীবনকে করে তুলেছে
বিষন্ন। তাই আমাদের উচিত বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করা।
অতিরিক্ত যন্ত্রের ব্যবহার মানুষকে করে দিচ্ছে যান্ত্রিক। মানুষের বিবেক, বুদ্ধি,
মমত্ববোধ যেন আজ হারিয়ে গেছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা পুরো পৃথিবীকে গড়তে
পারবো একটি সুন্দর ও স্বপ্নের পৃথিবী হিসেবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী আমি আশা করি আমার এই রচনা তোমাদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি এই
রচনা তোমাদের একটুকুও উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে
ভুলবেনা। আর এই রচনা মুখস্ত করলে তোমরা আর যে রচনা লিখতে পারবে সেগুলো হল –

বিজ্ঞান ও আমাদের দৈনন্দিন জীবন,

 প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞান

 আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান

প্রতিদিন আমরা বিজ্ঞানকে কিভাবে পাই