আজকের দিনের একটি বড় সমস্যা হল ওজন বৃদ্ধির সমস্যা। অনেকেই মনে করেন ব্যায়াম না
করলে ওজন কমানো যায় না। আমি ব্যায়াম – না করে – ওজন কমানোর ২৬ টি
উপায় নিয়ে আমার আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। তাই ব্যায়াম – না করে – ওজন
কমানোর ২৬ টি উপায় জানতে আমার পোস্টটি আপনার জন্য।
আমরা ইচ্ছে করলে ঘরে বসে নানা ভাবে ঘরোয়া ও পায়ের মাধ্যমে আমাদের বাড়তি ওজন
কমাতে পারি। তাই আমি ব্যায়াম – না করে – ওজন কমানোর ২৬ টি
উপায় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্যায়াম – না করে – ওজন কমানোর ২৬ টি উপায়
ওজন কমানোর উপায়
প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দর জীবন যাপন করতে চাই, আর এই সুন্দর জীবন পেতে হলে সবাই
ফিটনেস থাকতে চাই। মেদ কমানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর
জীবন যাপন ওজন ঠিক রাখে। ওজন বেড়ে গেলে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়
ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সময়ে একটি বড় সমস্যা হলো
স্থূলতা ।
আরো পড়ুনঃহিমোফিলিয়া – রোগের কারণ – লক্ষণ – চিকিৎসা জেনে নিন
বিভিন্ন কারণে ওজন বাড়তে পারে যেমন, বেশি জাঙ্ক ফুড ও ফাস্ট ফুডে যারা অভ্যস্ত
তাদের ওজন বেড়ে যায়। ওজন পরিমাপের উপায় হলো ক্যালরি। ওজন কমাতে হলে প্রতিদিন
যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তার চেয়ে কম পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের জানতে হবে কোন খাবারে ক্যালরি কম রয়েছে।
এবং সেই অনুপাতে আমাদের খাবার খেতে হবে। পেটে ক্ষুধা লাগলে অনেকেই ওজন কমানোর কথা
ভুলে যান। তাই ওজন কমানোর কিছু কার্যকারী উপায় আলোচনা করা হলো।
ওজন বাড়ার কারণ
ওজন কমানোর আগে আমাদের ওজন বাড়ার কারণগুলো জানতে হবে। নিচে এগুলো আলোচনা করা হলো
–
- তেল চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
- অতিরিক্ত ফাস্টফুড বা কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া
- পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
- হরমোনের জটিলতা
- যথেষ্ট পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম না করা
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
- বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন
- জিনগত সমস্যা
- প্রতিদিন স্বাভাবিক মাত্রা্র চেয়ে অধিক পরিমাণে খাওয়া
এইসব অভ্যাসগুলো ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ। ওজন বৃদ্ধি পেলে মানুষ বিভিন্ন
রোগে আক্রান্ত হয় যেমন – ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার,উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।
গবেষকদের মতে, ওজন বৃদ্ধির জন্য বা কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে শতকরা ৭৭
শতাংশ মহিলা এবং চৌষট্টি ৬৪ শতাংশ পুরুষ আক্রান্ত হয়।
ব্যায়াম – না করে – ওজন কমানোর ২৬ টি উপায়
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় গুলো নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো –
খাদ্য তালিকা
ওজন কমানো শুরু করার আগে সঠিকভাবে খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত। যেদিন থেকে ওজন
কমানো শুরু করবেন সেদিন থেকেই আপনাকে সঠিকভাবে খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হবে। তাই
আপনি কখন খাবেন, কি কি খাবেন তার একটি সঠিক খাদ্য তালিকা অবশ্যই তৈরি করে
নিবেন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রিনটিতে থাকে
এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি ওজন কমানোর সাথে সাথে
গ্লুকোজের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গবেষকদের মতে,
প্রতিদিন ৪ কাপ গ্রিন টি পান করলে আমাদের শরীরে যে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকে
তার থেকে কমপক্ষে ৪০০ ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। গ্রিন টি ওজন কমানোর সাথে সাথে
গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি নিয়মিত পান করতে
পারেন।
মধু
বাড়তি ওজন কমাতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি
পেটে এক কাপ কুসুম গরম পানির মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার ওজন
কমবে। তবে মনে রাখবেন, মধু কখনোই অতিরিক্ত গরম পানিতে মেশাবেন না বা আগুনে
ফুটাবেন না, এতে মধুর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। মধু হলো এক প্রকার প্রকার
বিষ আর এই বিষ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই ওজন কমাতে মধু পান
করুন।
শসা
শসা আমাদের খুবই পরিচিত একটি সবজি। শসাতে শতকরা ৯০ ভাগ পানি থাকে। শসা আপনার ওজন
কমাতে সাহায্য করে থাকে। শসা কাঁচা এবং রান্না করে খাওয়া যায়। শসা খেলে ওজন
কমার সাথে সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
লেবু
অতিরিক্ত ওজন কমাতে লেবুর জুড়িমেলা ভার। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়াও লেবুতে রয়েছে লিমটিন
ও পেকটিন যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নাচ
অতিরিক্ত ওজন কমাতে আপনি বাসায় নাচের অভ্যাস করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি
নৃত্যের শিল্পী নাও হয়ে থাকেন তাহলেও বাড়িতে অন্তত ১০ মিনিট নাচের সঙ্গে নিজেকে
সমৃক্ত রাখুন। নাচের অভ্যাস করতে পারলে আপনি অন্তত শতকরা ৫৮ শতাংশ ওজন কমাতে
পারবেন।
পানি পান করুন
ওজন কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি আপনার শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয়
টক্সিন বের করে দিবে আর এতে আপনার শরীরের ওজন কমবে। এছাড়াও খাওয়ার আগে এক গ্লাস
পানি পান করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। কারণ পানি পান করার কারণে আপনার ক্ষুধা
কমে যাবে যার কারণে আপনি অল্প খাবার খাবেন। তাই ওজন কমাতে পানি পান করুন।
মসলাদার খাবার
ওজন কমাতে কখনোই শুধু সেদ্ধ করা খাবার খাবেন না। খাবার রান্নার মসলা যেমন – জিরা
গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও হলুদ এগুলো আপনার খাদ্য তালিকা থেকে কখনোই বাদ দেবেন না।
কারণ এগুলো আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত মসলা খাওয়া
কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ফোনে কথা বলার সময় ঘুরে ঘুরে কথা বলুন
আপনি যখন ফোনে কারো সাথে কথা বলবেন তখন বসে থেকে কথা না বলে একটু এক জায়গা থেকে
অন্য জায়গায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে কথা বলুন। আপনি যদি ১০ মিনিট কথা বলেন তাহলে আপনার
দশ ১০ মিনিট হাঁটার কাজ হয়ে যাবে। আর এতে করে আপনি প্রতি ১০ মিনিটে শতকরা ৩৬
শতাংশ ওজন কমাতে পারবেন।
তোকমার বীজ
বাড়তি ওজন কমাতে তোকমার বীজ অনেক উপকারী। তোকমার বীজ দিয়ে তৈরী
করা শরবত আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে বিপাক ক্রিয়ার হার কমায় এবং রক্তে ভালো
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই বাড়তি ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে।
চিনি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করুন
বাড়তি ওজন কমাতে চিনি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করুন। এক চা চামচ চিনিতে শতকরা ১৬
ভাগ ক্যালরি থাকে। তাই ওজন কমাতে হলে চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি
চা খাওয়ার সময়ও আপনাকে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।
ঘর মুছুন
ওজন কমাতে কাজ করুন। যেমন – আপনি ঘর মুছতে পারেন। কারণ যতগুলো সাংসারিক কাজ আছে
তার মধ্যে ঘর মুছলে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। নিয়মিত ঘর
মুছলে শতকরা ৪২ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট হয়। তাই আপনি ওজন কমাতে ঘর মুছতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাত জ্বর কেন হয় – বাত জ্বর হলে করণীয় জেনে নিন
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার বদহজম দূর করতে এবং উচ্চ
কোলেস্টরেলের মাথা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। পুদিনা পাতায় ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই
আপনি ওজন কমাতে পুদিনা পাতা খেতে পারেন।
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করুন
তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া উচিৎ। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া বা
রাত্রে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া কারনে রাতে আপনার ক্ষিদা পেলে আপনি
একটু ফল বা একগ্লাস দুধ খেতে পারেন।
কাঁচা কলা
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে সহজে
ক্ষুধা লাগে না। আর এতে করে খাবার খাবার পরিমান কমে যায়। তাই ওজন কমাতে কাঁচা
কলা খান।
জগিং করুন
ওজন কমাতে জগিং করুন। এক্ষেত্রে আপনাকে জগিং করতে ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো
প্রয়োজন নেই। আপনি ওজন কমাতে ঘরোয়া ভাবে জগিং করতে পারেন।
দিনে ঘুম বাদ দিন
ওজন কমাতে চাইলে দিনের বেলা কখনই ঘুমাবেন না। যদিও একজন মানুষ সুস্থ থাকতে হলে ২৪
ঘন্টায় অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তাই আট ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনি রাত্রে ঘুমানোর
চেষ্টা করুন। দিনের বেলা ঘুমালে ওজন বাড়ার সাথে সাথে আপনি অনেক মোটা হয়ে যেতে
পারেন।
আস্তে আস্তে খাবার খান
আপনি যখন খাবার খাবেন তখন তাড়াতাড়ি করে খাবার না খেয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে
খাবার খান। আস্তে আস্তে খাবার খেলে সহজেই অল্প খাবারের পেট ভরে যাবে। আর এতে করে
আপনার ওজন কমবে।
টক দই
টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ টক দই খেতে পারেন
এতে উপকার পাবেন।
ছোট প্লেটে খাবার খান
ওজন কমাতে আপনার খাবারের অভ্যাসের সাথে সাথে আপনার খাবারের প্লেট বদলে ফেলুন।
আপনি যদি ছোট প্লেটে খাবার খান তাহলে আপনার মনে হবে অনেক খাবার খেয়ে ফেলেছেন। আর
এতে করে আপনার কম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে এবং এতে আপনার অপ্রয়োজনীয় ওজন
কমবে।
পপকর্ন খান
পপকর্ন একটি ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই খিদে পেলে আপনি পপকর্ন খেতে
পারেন। পপকর্ন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
মুড়ি
প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে মুড়ি খেলে আপনার ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করবে। মুড়ি একটি মুখরোচক খাবার হলেও এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস তাই ওজন
কমাতে আপনি মুড়ি খেতে পারেন।
রঙিন শালাদ
বাড়তি ওজন কমাতে বিভিন্ন সবজি এবং ফল দিয়ে তৈরি সলাত খান। এই শালাদের উপকার পেতে
এর সাথে আপনি টক দই মেশাতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করুন
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মোটা হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়। এ কথা জেনে হয়তো
আপনি অবাক হবেন যে, মানুষ যখন দুশ্চিন্তায় থাকে তখন মানুষ বেশি খাবার খায় আর এর
ফলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। তাই ওজন কমাতে আপনাকে অবশ্যই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে
হবে।
সুষম খাবার গ্রহণ
ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই সুষম খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। ওজন কমাতে শুরু
করলে শরীর একটু দুর্বল অনুভূত হয় তাই এই সময় অবশ্যই সুষম খাবারের প্রতি আপনাকে
যত্নশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে তেল চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করে সুষম খাবার
বেশি পরিমাণ খেতে হবে।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন
ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে
মনে রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবার সময় যেন একই সময়ে থাকে। আপনাকে অতিরিক্ত শর্করা
জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। সকালে ভারী নাস্তা, দুপুরে পরিমাণ মতো ভাত, আর
রাতে রুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর মাঝের সময়গুলোতে আপনি সালাত বা ফল খেতে
পারেন। খাদ্যাভ্যাস ঠিক থাকলে আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
ওজন কমানোর আরো কিছু উপায়
ওজন কমানোর আরো কিছু উপায় তুলে ধরা হলো –
- ওজন কমানোর প্রথম শর্ত হলো সঠিকভাবে খাদ্য তালিকা তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী
খাবার খাওয়া - ওজন কমাতে হলে মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে এবং শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য মনের
ইচ্ছাকে দৃঢ়ভাবে মনে প্রানে ধারণ করতে হবে - বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ক্ষুধা কমানো বা চর্বি শোষণ রোধ করে এমন ওষুধ
সেবন করা যেতে পারে - ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে
হবে - নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও ক্রায়িক পরিশ্রম করতে হবে
- খাদ্য গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
- অতিরিক্ত লবণ, মিষ্টি এবং চর্বি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে
- প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
শেষ কথা
অতিরিক্ত ওজন সবাই পছন্দ করেন না। তাই অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই টাকা
পয়সা খরচ করে ও নিজেদের ওজন সঠিকভাবে কমাতে পারেন না। এমন অনেক সময় আসে যখন ওজন
কমানো অতি জরুরি হয়ে যায়। যেমন – অনেকের চাকরির জন্য ওজন কমানোর প্রয়োজন হয়,
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে পদন্নতির জন্য ওজন কমানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, আবার অনেক
সময় দেখা যায় শরীরে বিভিন্ন সমস্যার কারণে অস্ত্রপ্রচারের প্রয়োজন হলেও ওজন
কমানোর প্রয়োজন পড়ে।
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে সঠিক ওজন একান্ত প্রয়োজন। এমন অনেক মেয়ে আছেন যারা
অতিরিক্ত ওজনের কারণে মা হতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ওজন কমানো জরুরী হয়ে পড়ে।
আবার অনেক সময় আছে বাইরে গিয়ে মেয়েদের জগিং করে ওজন কমানো সম্ভব হয় না তাই
আমি ব্যায়াম – না করে – ওজন কমানোর ২৬ টি উপায় নিয়ে আলোচোনা করেছি।
আমি আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। ব্যায়াম – না করে –
ওজন কমানোর ২৬ টি উপায় যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে
আমাকে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Leave a comment