তাপদাহ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর কর্মব্যস্ত মানুষ সারাদিন পরে বাসায় ফিরে একটু শান্তির আশায় এসি কিনতে চান। আর যারা এসি কিনতে চান তাদের জানা উচিত ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয়। তাই যারা এসি কিনতে চান ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় তাদের জন্য। ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় আলোচনা করা হলো।

বাজারে আপনি অনেক ধরনের এসি কিনতে পাবেন তবে এসি কেনার আগে ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় আপনার অবশ্যই জানা উচিত। আপনি যদি সঠিকভাবে ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় না জানেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই নিচে ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

  • এসি কি বা কাকে বলে
  • এসি আবিষ্কারের ইতিহাস
  • ভালো ব্র্যান্ডের এসি চেনার ১০টি উপায়
  • এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয়
  • ভালো ব্রান্ডের এসির দাম
  • শেষ কথা

এসি কি বা কাকে বলে

এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলার যা সবার কাছে এসি নামেই পরিচিত। এসি হলো সেই ডিভাইস যার মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়, যার মাধ্যমে ঘর ঠান্ডা হয় তাকেই বলা হয় এসি বা এয়ারকন্ডিশনার। তবে জনসাধারণের কাছে এয়ার কুলার বা ইয়ার কন্ডিশনার নয়, এসি নামেই ব্যাপক পরিচিত। এসি বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে। যেমন – প্রোটেবল এসি, উইন্ডো এসি, স্পিলিট এসি ইত্যাদি। 

আর এসব এসি তৈরি করেছে বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন, এল জি, স্যামস্যাং,জেনারেল,গ্রি, জেনারেল, মিডিয়া ইত্যাদির মতো স্বনামধন্য কোম্পানি।

এসি আবিষ্কারের ইতিহাস

শিকাগোর স্বনামধন্য প্রকৌশলী ডাব্লিউ এইচ কেরিয়ার বা উইলসন হ্যাবিলিয়ান ১৯০২ সালে এসি আবিষ্কার করেন। এসি তৈরির প্রথম পর্যায়ে এটি শুধু শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য এসি তৈরি করা হয়েছিল। তখন এসি তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল কর্ম ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এরপর ১৯১৫ সালে ৬ জন প্রকৌশলীর সহযোগিতায় ৩২ হাজার ৬০০ ডলার পেয়ে কেরিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

এবং এই ক্যারিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ ডলার।১৯১৬ সালে সর্বপ্রথম শিকাগোর একটি গরুর খামারে এসি পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো হয়েছিল। আর  ১৯২৬ সাল থেকে মানুষ বসতবাড়িতে এসির ব্যবহার শুরু করেন। তার আবিষ্কারটি ডিজাইন করেছিলেন কাগজের অপচয় এবং কাগজের সাপার কালি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ভালো ছবি তোলার ২৬ টি নিয়ম/টিপস জানুন

এসি তৈরির প্রথম দিকে এসিতে প্রোপেন, মিথাইল, ক্লোরাইড ও এমেনিয়ার মত বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহৃত হতো। এরপর ১৯২৮ সালে থমাস মিডগল স্নিগ্ধ পদার্থ দিয়ে আবাসিক কাজের জন্য এসি তৈরি করেন। এই আশ্চর্যজনক ডিভাইস এসি তৈরির জনক হেবিল্যান্ড ক্যারিয়ার ১৯৫৩ সালের ৭ই অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্রান্ডের এবং বিভিন্ন কোম্পানির এসি পাওয়া যায়। যেমন – প্রোটেবল এসি, উইন্ডো এসি, স্পিরিট এসি ইত্যাদি। আর এই এসি তৈরির অন্যতম কোম্পানিগুলো হলো ওয়ালটন, এল জি, স্যামস্যাং,জেনারেল,গ্রি, জেনারেল, মিডিয়া ইত্যাদির মতো স্বনামধন্য কোম্পানি। ১৯০২ সালে এসি আবিষ্কারের পরে ১০০ বছরে যত বেশি এসি বসানো হয়েছে তার সমান এসি আগামী ১০ বছরে যোগ হবে। আর এর প্রধান কারণ হলো গরমের তীব্রতা।

ভালো ব্র্যান্ডের এসি চেনার ১০টি উপায়

আপনি যদি এসি কিনতে চান তাহলে বাজারে অনেক ভালো ব্রান্ডের এসি পেয়ে যাবেন যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন যেমন -ওয়ালটন, এল জি, স্যামস্যাং,জেনারেল,গ্রি, জেনারেল, মিডিয়া ইত্যাদির মতো স্বনামধন্য কোম্পানি। তবে আপনি দিয়ে ব্রান্ডের এসি কেনন না কেন এসি কেনার আগে আপনাকে এসি সম্পর্কে ১০ টি বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।নিচে  ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ব্যবসায় – ক্রিপটো কারেন্সি – সম্পর্কে জানুন

  • ঘরে সহজে হস্তান্তরের জন্য একটা পোর্টেবল এসির ব্যবহার ক্রয় করুন।
  • বাজেট যদি একটু বেশি হয় তাহলে ঠান্ডা, গরম, রিভার্স সাইকেল মোড এসি কিনুন।
  • এনার্জি  স্টার মার্ক করা বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী এসি কিনা তা জেনে কিনুন।
  • এসি ইনস্টেলেশন, রি- ইন্সটলেশন খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
  • ঘরের সাথে এসির বাতাসের টনের সঠিক পরিমাণ জেনে তারপর এসি কিনুন।
  • আপনার অঞ্চলের বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ জেনে তারপর এসি কিনুন।
  • যে কোম্পানির এসি কয় করবেন তার সার্ভিস সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন।
  • আপনি যে এসি কিনবেন তাতে বাতাস নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় আছে কিনা তা জেনে কিনুন।
  • এসিতে দূষিত বাতাস ফিল্টার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে তারপর এসি কিনুন।
  • আপনি যে কোম্পানির এসি কিনবেন আপনার নাগালের মধ্যে সেই কোম্পানির সার্ভিসিং সেন্টার আছে কিনা তা দেখে এসি কিনুন।

এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয়

গরমের এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এসির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এসি কেনার আগে অবশ্যই  ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় জেনে তারপর এসি কেনা উচিত। আপনি যদি এসি কেনার সময় এসির ব্র্যান্ড মুগ্ধতা না হয়ে কিছু বিষয় বিবেচনা করে এসি কিনেন তাহলে আপনাকে আর পরবর্তীতে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। তাই আপনি যদি এসি কিনতে চান তাহলে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে মাথায় রেখে তারপর এসি কিনবেন। তাহলে আসুন আমরা  ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয়সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী এসি

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই বিদ্যুৎবিলের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। কারণ আপনি যদি বিদ্যুৎ বিলের কথা না ভেবেই এসি কিনে ফেলেন তাহলে মাস শেষে আপনাকে অনেক টাকা বিলের জন্য গুনতে হবে আর এক্ষেত্রে আপনি বিপাকে পড়ে যেতে পারেন। আর এই জন্য যে এসিতে বিল কম আসে অর্থাৎ স্টার মার্ক করা আপনি সেই এসি ক্রয় করুন।

আরো পড়ুনঃ কম দামে ভালো মানের মোবাইল কিনুন 

যেটা আপনি বুঝতে পারবেন এসির গায়ে স্টার মার্ক দেখে। মনে রাখবেন, যে এসির গায়ে যত বেশি স্টার থাকবে সেই এসিতে সবচেয়ে কম বিল আসবে। সাধারণত ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিং  বেশি থাকে। ১ স্টার রেটিং কি সেটাও আপনাকে জানতে হবে। যদি এক ১ ইস্টার রেটিং হয় তার মানে এই এসি ১ বছর ব্যবহার করলে আপনার বিদ্যুৎ খরচ হবে ৮৪৩ ইউনিট। অপরদিকে ৫ স্টার বিশিষ্ট যদি এসি কিনেন তাহলে বছর শেষে আপনার বিদ্যুৎ খরচ হবে ৫৫৪ ইউনিট।

তবে এসি চালানোর তারতম্যের কারণে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। আবার এসির পাওয়ার যদি আপনি ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখেন তাহলে বিদ্যুৎ খরচ খানিকটা কম আসবে। এছাড়াও আপনি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে ইনভার্টার এসি ব্যবহার করতে পারেন। তাই এসি কেনার সময় এনার্জি সেভিং স্টার মার্ক দেওয়া এসি ক্রয় করুন।

ঘরের সাথে এসির মাপ

এসি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার রুমের মাপ কত এবং আপনার রুমে কত টন এসি প্রয়োজন তা জানতে হবে। আর কত টন এসি লাগালে সঠিক মাত্রায় ঠান্ডা পাওয়া যাবে সেটাও আপনাকে জানতে হবে। কারন আপনি যখন কোন শো রুমে এসি কিনতে যাবেন তখন এসির দোকানদার আপনাকে প্রথমে আপনার রুমের মাপ জিজ্ঞাসা করবেন। তখন আপনি যদি রুমের সঠিক মাপ বলে দিতে পারেন তখন দোকানদার আপনাকে বলে দিবে আপনার কত টন এসি প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ টিভি কার্ড কি – টিভি কার্ড  কিভাবে কাজ করে -জেনে নিন বিস্তারিত

আপনি যদি মনে করে থাকেন যে এসি যত বড় হবে তত বেশি ঠান্ডা পাওয়া যাবে তাহলে আপনি অবশ্যই ভুল করবেন কারণ রুমের আকার জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে আপনার রুম কত তালায় বা কোন ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ আপনার রুমের দেয়ালের কোন পাশে লাগে ,আপনার রুমে কতজন লোক থাকবে, রুমের জানালা, পর্দা, সিলিং এবং সবার উপরে আপনার রুমে কোন হিটিং জিনিসপত্র যেমন আইরন বা ওভেন ব্যবহার করবেন কিনা এসব বিষয়ে মাথায় রেখে আপনাকে এসি কিনতে হবে।

এসির টনের সাথে রুমের মাপের তালিকা

কত স্কয়ার ফিট রুমের জন্য কত টন এসি প্রয়োজন তা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো-

আপনার রুম যদি ১২০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনি ০.৭৫ টন এসি ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনার রুম যদি ১২১ থেকে ১২৯ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনার ১ টন এসি লাগাতে হবে।

আবার আপনার রুম যদি ১৬০ থেকে ২৫০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ১.৫ টন এসি লাগাতে হবে।

আপনার রুম যদি ২৫১ থেকে ৪০০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনি ২ টন এসি লাগাতে পারবেন।

আপনার রুম যদি এইসব পরিমাপের চেয়েও বেশি বড় হয় তাহলে আপনাকে একটি রুমের জন্য অবশ্যই একাধিক এসি লাগাতে হবে।

তবে আরেকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হলো আপনি শুধু এসির টন অর্থাৎ এক টন বা ২ টন হিসাব জানেন তাহলে হবে না। এই এক ১ টন এসির বি টি ইউ বা আওয়ার কত তা আপনাকে জানতে হবে। যেমন এক ১ টন এসি মানে হল ১২০০০ হাজার, ১.৫ বা দেড় টন এসি মানে ১৮০০০ বি টি ইউ বা আওয়ার। আর এসির টনের হিসাব এভাবেই বাড়তে থাকে। এক টনের এসি একটি রুমে ঘন্টায় ১২ হাজার বি টি ইউ তাপ শোষণ করতে পারে। তার মানে যত টন এসি হবে ঠান্ডা তত বেশি হবে বা এর কুলিং ক্ষমতাও তত বেশি হবে।

এ সি ইনস্টলেশন বা রি- ইনস্টলেশন খরচ

যেকোনো এসি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে এসির ইনস্টলেশন চার্জ কত এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে ইনস্টলেশন চার্জ ফ্রি আছে কিনা, রি ইনস্টলেশন চার্জ  কেমন লাগে এসব ব্যাপারে ও আপনাকে জানতে হবে। কারণ এসি ইনস্টলেশন থেকে স্পিলিট রি ইনস্টলেশন চার্জ   অনেক বেশি লাগে। এক্ষেত্রে আপনি যদি বারবার বাড়ি পরিবর্তন করেন বা রুম পরিবর্তন করেন তাহলে

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট করার ১৫ টি নিয়ম সম্পর্কে জানুন

আপনি উইন্ডো এসি কিনতে পারেন ।উইন্ডো এসির ইনস্টলেশন খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। তবে মনে রাখবেন আপনার রুম যদি অনেক বড় হয় তাহলে উইন্ডো এসি আপনার কোন কাজে আসবে না।

উইন্ডো এসি বা স্পিলিট এসি

এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করেন তাদের জন্য উপযোগী এসি হলো উইন্ডো এসি। কারণ এ ধরনের এসি সহজে ইন্সটল করা যায়। সাধারণ রুমে ব্যবহারের জন্য বাজারে উইন্ডো পটেবল বা স্পিলিট এসি পাওয়া যায় তবে যে সব রুমে কমপক্ষে দুইটি জানালা রয়েছে সেসব রুমে এ ধরনের এসি ব্যবহার করা যায়। উইন্ডো এসি ব্যবহার করলে এমনিতেই একটি জানালা বন্ধ হয়ে যায় অপরদিকে উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিলিট এসি খানিকটা পাতলা বা স্লিম হয়।

এই সব এসির কম্প্রেসার বা কন্ডেসার থাকে রুমের বাইরে এবং ইভোপারটি থাকে রুমের ভেতরে যার কারণে রুমের ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায় না। এই এসি ঘরের দেয়ালের যে কোন স্থানে ঝুলিয়ে দেয়া যায় এবং দামের দিক থেকেও উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিলিট এসির দাম একটু কম। একটু বেশি থাকে তবে পোর্টেবল এসির দাম অন্যান্য এসির চেয়ে তুলনামূলক কম থাকে এবং এই পোর্টেবল এসে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়।

এসির শব্দ কোয়ালিটি কেমন জেনে এসি কিনুন

আপনি এসি কিনলে বাড়িতে এসি ইন্সটল করার আগে সম্ভব হলে এসি চালিয়ে দেখে নিবেন এসির শব্দ কোয়ালিটি কেমন। কারণ স্পিলিট এসিতে তেমন কোন শব্দ হয় না তাই নিরিবিলি শান্তিতে ঘুমানো যায়। আর যদি আপনার এসিতে শব্দ হয় তাহলে সেটা মোটেও কাম্য নয়। এসিতে বেশি শব্দ হলে কোম্পানির সাথে কথা বলে আপনি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

কম্প্রেসার বা কনডেসার দেখে এসি কিনুন

আপনি যদি এসি কিনেন তাহলে এসি কেনার সময় অবশ্যই কম্প্রেসার কম ব্যাসের কম অর্থাৎ ৪ থেকে ৭ মিলি লিটার পিওর কপারের এবং টিউবের ভেতর ফিন আছে এমন কন্ডিশন দেখে এসি কিনবেন। আপনাকে বুঝতে হবে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কনডেসারের চেয়ে কপারের তৈরি কনডেসার বেশি ভালো। 

আবার মোটা ব্যাসের সাধারণ টিউবের চেয়ে ফিন যুক্ত কম্প্রেসার এর দক্ষতা অনেক বেশি থাকে। কনডেসারের সংখ্যা যত বেশি থাকে সেই কনডেসারের তত বেশি ভালো হয়। আপনি অবশ্যই কম্প্রেসার এর গ্যারান্টি দেখে তারপর এসি কিনবেন।

ঠান্ডা গরম রিভার্স সাইকেল মোড এসি

আপনি এসি কেনার সময় আপনার বাজেট যদি একটু বেশি হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ঠান্ডা গরম রিভার্স সাইকেল মোড এসি কিনবেন। কারণ রিভার্স সাইকেল মোড এসি আপনাকে গরমে সময় ঠান্ডা বাতাস দিবে এবং শীতের সময় গরম বাতাস দিবে। তবে রিভার্স সাইকেল মোড এসির দাম তুলনা মূলকবেশি। বাজারের অন্যান্য এসির তুলনায় এই এসির দাম একটু বেশি।

এসির রেফ্রিজারেন্ট দেখে এসি কিনুন

এসির কুলিং এজেন্ট হিসেবে রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়। যেমন R22, R134a,R1234ze, R32 ইত্যাদি এছাড়াও কিছু রেফ্রিজারেট আছে যেগুলোর গ্লোবাল বা ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল অনেক বেশি থাকে যেমন-R22, R410a,R1234a,  এগুলো মানব ও শরীর এবং পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর। আবার এর গ্লোবাল ওয়ার্মিং পোটেনশিয়াল তুলনামূলক কম।এসব এসিতে পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেট ব্যবহার করা হয়।

ঘরের জন্য পোর্টেবল এসির ব্যবহার

আপনি আপনার ঘরে অনায়াসে পোর্টেবল এসি ব্যবহার করতে পারেন। এই এসি আপনি ইচ্ছে করলে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন এবং তুলনামূলক এর দামও অনেক কম। তাই আপনি পোর্টেবল এসি ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে।

এসিতে দূষিত বাতাস পরিষ্কার

আপনি যদি এসি কিনেন তাহলে সেই এসিতে কেমন বাতাস আসছে তা আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ঘরে যদি ধুলাবালি একটু বেশি প্রবেশ করে তাহলে এসির ফিল্টারিং এর সমস্যা হতে পারে তাই এসি লাগানোর আগে আপনার রুমের সকল রিপেয়ারিং করে তারপর এসি লাগাতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ফিল্টার যুক্ত এসি কিনতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট কি – ফেসবুক পেজ বুস্ট করার যাবতীয় নিয়ম

বর্তমানে বাজারে অনেক হাইটেকনোলজির ফিল্টার যুক্ত এসি পাওয়া যায় যে এসি  দূষিত বাতাস টেনে নিয়ে সেই বাতাস পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে ঘরে ছাড়ে। তাই আপনাকে পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অবশ্যই ভালো ফিল্টার যুক্ত এসি কিনতে হবে।

এসির বাতাস নিয়ন্ত্রণ করা দেখে এসি কিনুন

আপনি এসি কেনার সময় আপনার রুমের বাতাস ও তাপমাত্রা আপনার ইচ্ছামত কম বেশি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি এডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যান্ড, দুইটি কুলিং স্পিড, দুইটি স্পান থাকে। এমন এসি নির্বাচন করতে হবে আপনার এসিতে যদি এগুলো থাকে তাহলে আপনি ইচ্ছা মতো বাতাস কমাতে বাড়াতে পারবেন।

কারণ সব ব্রান্ডের এসিতে কন্ট্রোল প্যানেল থাকে না। তাই এসব এসি কিনলে আপনি ইচ্ছামতো কিছুই কমাতে বা বাড়াতে পারবেন না। তাই আপনি ভালো মানের এসি কিনুন এবং এগুলো চেক করে তারপরে এসি কিনুন।

আদ্রতার পরিমাপ জেনে এসি কিনুন

আপনি এসি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই আর্দ্রতার পরিমাপ ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে। কারণ আপনি যদি বেশি আদ্রতা পূর্ণ অঞ্চলে বসবাস করেন তাহলে আপনি অ্যালুমিনিয়ামের কয়েলের এসি ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি করেন তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কপারের কয়েল যুক্ত এসি ব্যবহার করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ  শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি  ব্যবহার  বিস্তারিত 

এই কপার কয়েল এসি সব ধরনের আবহাওয়াতে সমানভাবে চলে। মনে রাখবেন ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হবে তাই আপনি সস্তায় কোন জিনিস কিনলে হবে সস্তার ১২ অবস্থা। আপনি নিশ্চয়ই সেটা চাইবেন না।

এসি কোম্পানির সার্ভিসিং সুবিধা

আপনি এসি কেনার আগে একটি বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আর তা হল আপনি যে কোম্পানির এসি কিনবেন তার সার্ভিসিং কোন সেন্টার আপনার হাতের নাগালে আছে কিনা। যদি সার্ভিসিং সেন্টার আপনার বাসার পাশে না থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তীতে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ আপনাকে তারা যে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দেবে সে পর্যন্তই আপনি তাদের সাক্ষাৎ পাবেন এর পরবর্তীতে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এসি কেনার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন যে এসি কোম্পানির সার্ভিসিং সুবিধা ভালো নয় ভুলেও সেই কোম্পানির এসি কিনবেন না।

অন্যান্য বিষয়

আপনি যে কোম্পানিরই এসি কিনুন না কেন এসি কেনার আগে দেখে নিবেন এসিতে পিউরিফায়ার আছে কিনা। এটা রুমের ধুলি বালিযুক্ত বাতাস আপনার এসিতে ঢুকতে দিবে না। এসির অপারেটিং সিস্টেম কেমন সেটাও দেখে নেবেন। অবশ্যই এসি কেনার আগে কোম্পানির সার্ভিসিং কতটা ভালো সেই বিষয়ে ভালো করে খোঁজখবর নেবেন।

ভালো ব্রান্ডের এসির দাম

       এসির নাম

     এসির দাম

      ১ টন

     এসির দাম

   ১.৫ টন

এসির দাম

২ টন

 

গ্রী এসি

৫৮,৫০০(ইনভার্টার)

৭৮,৩৯০(ইনভার্টার)

 

ওয়ালটন

৬২,৯০০(ইনভার্টার)

৭২,০০০(ইনভার্টার)

 

ওয়ালটন

৪৬,৯০০(নন-ইনভার্টার)

 

৪২হাজার থেকে ৬৫হাজার

ট্রান্সটেক

৫৯,৭০৮(ইনভার্টার)

৭৯,৯৪৮(ইনভার্টার)

৯৩,২৮৮(ইনভার্টার)

মিনস্টার

 

৭২,৯০০(ইনভার্টার)

৮০,৯০০(ইনভার্টার)

যমুনা

৪৫,৭২০

৫৯,০০০

৬৮,০০০

ভিশন

৩৯,৫১০

৫৯,৩১০

৬৮,০০০

মিডিয়া

৪৩,০০০

৫৯,০০০

৬৮,০০০

স্যামস্যাং

৭৩,৯০০(ইনভার্টার)

৯৫,৯০০(ইনভার্টার)

১লক্ষ৭৯০০০(ইনভার্টার)

ওয়ার্লপুল

৭৫,৬৩০(ইনভার্টার)

৯৪,৭৪৩(ইনভার্টার)

 

হিটাচি

৮২,০০(ইনভার্টার)

৭৫,০০০হাজার

(ইনভার্টার)

১লক্ষ৩৩হাজার৯৫০

(ইনভার্টার)

জেনারেল

৮১,৪০০(ইনভার্টার)

১৫,৯০০(ইনভার্টার)

৯৯,৯০০০

শার্প

 

৭৩,০০০

 

উইন্ডো(জনারেল)

 

৫২-৫৫ হাজার

৬৫ – ৬৯ হজার

উইন্ডো(ক্যারিয়ার)

৪৫-৬০ হাজার

 

 

শেষ কথা

বর্তমানের এই গরমে সবাই এসি ব্যবহার করতে চান। তাই যারা এসি কিনতে চান তাদের অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। আমি আপনাদের সুবিধার্থে  ভালো ব্রান্ডের- এসির- দাম সহ এসি সম্পর্কে দশ ১০ টি বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই লেখা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।