প্রিয় সুধী আপনারা ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখে আসতে পারেন। নিচে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস আলোচনা করা হলো –
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
বাংলাদেশের পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার পাকশী থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা পর্যন্ত পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ হল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। এই ব্রিজটি পাকশি থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়া মারা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। আসলে এটা একটি রেল সেতু। এর উপর দিয়ে শুধু রেলগাড়ি যাতায়াত করতে পারে। এই ব্রিজে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। শুধু মানুষ নয় একমাত্র রেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহনও চলতে পারে না এ সেতু দিয়ে।
১৯০৫ সাল থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত এ সেতুর নির্মাণকাল। বাংলার ইতিহাস তথা এই উপমহাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অপূর্ব সৃষ্টি এই হার্ডিং ব্রিজ।দেশ এবং বিদেশের অনেকেই আগ্রহী আছে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক দীর্ঘতম ব্রিজ রয়েছে এই হার্ডডিস্ক ব্রিজ এর চাইতেও।
যদিও অনেক দীর্ঘতম ব্রিজ রয়েছে তবুও আজ পর্যন্ত এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি পাবনা জেলার পাকশিতে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর বুকে বিখ্যাত হিসাবে। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি উত্তর অঞ্চলের সাথে দক্ষিণ অঞ্চলের এক অন্যতম সেতুবন্ধন। আপনি পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর নামকরণ
এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশরা। এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ এর নাম অনুসারে। শ্যামলী পদ্মার বুকের উপর তৈরি হয়েছে এই ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। পাবনা জেলার পাকশীতে পদ্মা তীরে সারাঘাট ছিল আর অপর পাড়ে ছিল দামুক দিয়া রায়টা ঘাট যেটা ভেড়া মারাই অবস্থিত। প্রশস্ত পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজএই উপমহাদেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে ব্রিজ লালনশা সেতু এই ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১.৮ কিলোমিটার বা ৫৮৯৪ ফুট বা ১৭ ৯৮.৩২ মিটার এই বিদেশটি অমর কীর্তি হয়ে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে আজও দাঁড়িয়ে আছে
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস
তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৯ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। কলকাতার সঙ্গে উত্তর অঞ্চল সহ আসাম ও ত্রিপুরার যোগাযোগের জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত পদ্মা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত সারাঘাট ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ নদী বন্দর। সারা বন্দরে ১৬ টি ঘাট রয়েছে। মোট ১৬ টি ঘাট ছিল এই ১৬ টি সারাঘাটে অনেক নৌকা, বড় বড় স্টিমার ও বর্জ্য এসে ভিড়তো।
বিভিন্ন বিদেশী পর্যটক সহ সর্বসাধারণের আসাম ও দার্জিলিং যেতে অসুবিধা হতো আর এ কারণে সেই সময়ে রেলপথ আমিন গা আমনুরা থেকে কাটিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের অসুবিধার কারণে তখন পদ্মার ওপর ব্রিজ তৈরির প্রস্তাব পেশ করেন। তখন পদ্মা নদী ভীষণ খর শ্রোতা ছিল। ১৮৮৯ সালে ব্রিজ তৈরির প্রস্তাব পেশ করা হয় আর এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে ১৯০২ সাল থেকে ১৯০৫ সাল ধরে করেছিলেন একটি প্রতিবেদন এবং এই ব্রিজ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা সরকারের কাছে পেশ করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ জানুয়ারি অর্থ কি – ১লা জানুয়ারি (থার্টি ফাস্ট) এর ইতিহাস জেনে নিন
আর এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই পাকশিতে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। সেটির গাইড ব্যাঙ্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯১২ সালে। ১৯০৮ সালে সেতুটি নির্মাণের মঞ্জুরী পাস হয়। সেতুটি মঞ্জুরী লাভের পর ১৯১০ থেকে ১১ সাল পর্যন্ত পদ্মা সেতুর বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়। কূপ খনন করা হয় গার্ডার নির্মাণের জন্য। দীর্ঘ পাঁচ ৫ বছর ধরে ৪ হাজার শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
সেতুটি র ওপরে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯১৫ সালে। লর্ড হার্ডিঞ্জ ছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয়। এবং এর নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৬৪ টাকা। এই ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ভারতীয় হিসেবে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি। ব্রিজে রয়েছে দুইটি ব্রডগেজ রেললাইন । তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নকশা প্রণয়ন
১৯০৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের মঞ্জুরী লাভ করে। আর এই মঞ্জুরী লাভের পর এ হার্ডডিস্ক ব্রিজের নকশা প্রণয়ন করেন আলেকজান্ডার মেয়া ডোস নামক একজন প্রকৌশলী। রবার্ট উইলিয়াম গেলস ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার। সার এস এম বেন্ডেলেগ ব্রিজের মূল নকশা প্রণয়ন করেন। এই ব্রীজটি স্যার ফ্রান্সিস স্প্রিং প্রশস্ততার ওপর প্রথম প্রকল্প প্রণয়ন করেছিলেন। ব্রেইথ ওয়াইট এন্ড কার্ক সিলিং ছিলেন ব্রীজের ঠিকাদার হিসাবে।
১৯১৫ সালের ৪ মার্চ এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু করা হয়েছিল। এই ব্রিজের স্প্যান সংখ্যা ১৫ টি এবং প্রত্যেকটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার। ১৯৭১ সালে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ট্যাংক সহ সকল যুদ্ধ সরঞ্জাম পারাপার করতো যার কারণে মিত্র বাহিনী এই ব্রিজের ওপর বিমান থেকে বোমা ফেলেছিল। এতে করে ১২ নম্বর স্পেন ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং এর সাথে ব্রিজের ৯ ও ১৫ নং স্পেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এই ব্রিজ পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় মেরামত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এই ব্রিজের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ১৯১২ সালে ১২ই অক্টোবর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
গাইড ব্যাংক নির্মাণ
হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণ জরিপ শুরু হয় ১৯০৯ সাল থেকে। এরপর ১৯১০ – ১১ সালে পদ্মার দুই পাড় বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। কারণ পদ্মার পাড়ে বাধা না হলে এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যিনি দক্ষতার সাথে এই ব্রিজ তৈরির ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি আজও বাঙ্গালীদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর গাইড ব্যাংক শুরু হয় ১৯১২ সালে উজান থেকে ৪ থেকে ৫ মাইল দূরে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সমূহ
বর্তমানে ব্রিজ যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে জিকে সেচ প্রকল্প। আর এই প্রকল্পের সামনে পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণের বেশ কিছু কাজ হয়ে যাওয়ার পরে উক্ত স্থান থেকে অজ্ঞাত কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে উত্তর দিকে একটু সরিয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বর্তমানে এখানেই রয়েছে।
কুপ খনন
পদ্মা নদী খর স্রোতা এরপরেও এই নদীতে ১৯১২ সালে পাঁচ ৫টি কুপ খনন করা হয় আরো সাত ৭টি কুপ ১৯১৩ সালে খনন করা হয়। তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
স্প্যান তৈরি
প্রথমে কুপ খনন করা হয় এবং এরপর ১৫ টি স্প্যান গড়ে তোলা হয়। স্প্যান গড়ে তোলা হয় এই ১৫ টি স্প্যাননের মধ্যে প্রত্যেকটি স্প্যানের বিয়ারিং এর মধ্যবর্তী দৈর্ঘ্য ছিল ১৪৫ ফুট ১ ইঞ্চি ৫২ ফুট ছাড়াও এর দুই পাশে অতিরিক্ত ল্যান্ড স্পেন্ড রয়েছে তিন ৩টি করে। এছাড়াও পরস্পর দুইটি বিয়ারিং এর ৭৫ ফুট ছিল এর মধ্যবর্তী দৈর্ঘ্য। অর্থাৎ ৫৮৯৪ ফুট হলো ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য যা ছিল এক মাইলেরও কিছুটা বেশি।
ব্রীজ নির্মাণের শ্রমিকের সংখ্যা
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪০০০। এই ৪ হাজার শ্রমিক দীর্ঘ পাঁচ বছর পরিশ্রম করে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন ১৯১৫ সালে। এই ব্রিজটি নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ছিল রেইথ ওয়ালটি এন্ড ক্রিক। এই প্রতিষ্ঠানটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য আজও ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ব্রিজ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী
ব্রিজ নির্মাণের জন্য খরস্রোতা এই ভয়াল নদীর দুই পাড়ে বাধার প্রয়োজন হয়েছিল আর এই বাঁধার জন্য মাটির প্রয়োজন হয়েছিল ১৬ কোটি ২ লক্ষ ৯৯ হাজার। ইটের গাঁথুনি ছিল এই গাথুনি সাথে পাথর ছিল তিন ৩ কোটি আসি ৮০ লক্ষ ঘনফুট রেললাইনের মোট ওজন ১৩০০ টন। ৩০ লাখ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। ১ এক লাখ ৭০ হাজার ড্রাম সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়েছিল ১২ লাখ গ্রাম কিলড সিমেন্ট লাগানো হয়েছিল।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজে টাকা ব্যয়ের পরিমাণ
এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল স্প্যানের জন্য এক ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৬ হাজার ৭৯৬ টাকা। নদীর গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যয় হয়েছিল ৯৩ লাখ ৮৩৪৬ টাকা। লান্ড স্প্যান স্থাপনের জন্য ব্যয় হয়েছিল পাঁচ ৫ লাখ উনিশ ১৯ হাজার ৮৪৯ টাকা। ব্রীজে রেল লাইনের জন্য ব্যয় হয়েছিল ৭১৫ হাজার ১৭৩ টাকা ব্রিজটি নির্মাণ করতে সর্বমোট ব্যয় হয়েছিল তিন ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১ ৬৪ টাকা।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে যাদের অবদান ছিল
হান্ডিজ বীজ নির্মাণে যারা জড়িত ছিলেন তারা হলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার শ্রী আর কেএস কে সিংহ রয়, ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার, সি টি পি সি মাঝি, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ভারতের পূর্ব রেলওয়ে শ্রী এইচকে ব্যানার্জি। এছাড়াও বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ব্রীজ পূর্ণ গঠনের সময় চিপ ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ আলী, ডিভিশনাল সুপার রহমান এম এ মুনাফ আলী, মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন আহমেদ।
যে কারণে ব্রিজ টি বিখ্যাত
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর চেয়েও অনেক লম্বা সেতু রয়েছে কিন্তু প্রকৌশল জগতে দুইটি কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বিখ্যাত। প্রথম কারণ হলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোয়াই স্থাপিত হয়েছে পানির নিম্ন সীমা থেকে একশত ৫৯.৬0 ফুট নিচে এবং সর্বোচ্চ সীমা থেকে ১৯০.৬০ ফুট বা ১৯২ এসএমএল মারলির নিচে। বাকি ১৪ কুয়া বসানো হয়েছে ১৫০ ফুট পানির নিচে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এই ব্রিজের জন্য রিভার ট্রেনিং ব্যবস্থা আছে এটা ও পৃথিবীতে অদ্বিতীয় হিসাবে এই ব্রিজের নির্মাণে অপূর্ব সাফল্য দেখান আর এ কারণেই তাকে ভূষিত করা হয় স্যার উপাধিতে।
ব্রিজে বোমা নিক্ষেপ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী এই ব্রিজের ওপর বিমান থেকে বোমা ফেলে। এই বোমা ফেলার কারণে ব্রিজের ১২ নং স্প্যান ভেঙ্গে যায় এবং ৯ নং ও ১৫ নং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম যে রেল চলাচল করে তা এখনো পাকশি আমতলা রেল ভবনে সামনে সংরক্ষিত আছে এবং বোমার কিছু অংশ এখনো সংরক্ষিত আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের মেরামত
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ব্রিটিশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশ্ব সংস্থার মাধ্যমে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ মেরামত করেন। এই ব্রিজের উদ্ধার কাজ করানো হয় সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত জাহাজ উদ্ধারকারী কোম্পানি শিল্প দিয়ে তবে বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের ইচ্ছা অনুযায়ী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ মেরামত করা হয় আর এই মেরামতের ফলে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে আবার রেল চলাচল শুরু হয়।
পাকশী ব্রিজ কত কিলোমিটার
হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৫৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার বা ১৭৯৮.৩২ মিতার বা এক মাইলের কিছুটা বেশি।।তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোন জেলায় অবস্থিত
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে এবং ভেড়ামারা জেলার কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারায় অবস্থিত। বাংলাদেশে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই হান্ডিক্স দৃষ্টি রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাশে ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার দামুগদিয়া ঘাটের ওপর এবং পদ্মা নদীর বুকের ওপর এই ব্রিজটি অবস্থিত তথা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এই বিদেশী পাবনা জেলার হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং ভেড়ামারা উপজেলা হতে প্রায় ৮.৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই বিদেশটি পদ্মার ওপর অবস্থিত
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কবে নির্মাণ করা হয়
বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা পর্যন্ত যুক্ত কারী একটি রেল সেতু হল হার্ডডিস্ক ব্রিজ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। এই ব্রিজটি এখনো বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল সেতু হিসেবেই পরিচিত। আর এই রেল সেতুটি নির্মিত হয়েছে পাবনা জেলার পাকসি রেল স্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর ওপর। ১৯০৫ সাল থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত ব্রিজ এর নির্মাণকাল। বাংলার ইতিহাস তথা এই উপমহাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অপূর্ব সৃষ্টি এই হার্ডিং ব্রিজ। তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর দৈর্ঘ্য
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার পাকশিতে হান্ডিং ব্রিজ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু হিসেবেই পরিচিত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপরে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল ১৯ ০৯ সাল থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে পাকিয়ে হান্টিস ব্রিজ যেহেতু বাংলাদেশের বড় রেল সেতু তাই আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এই সেতুর দৈর্ঘ্য কত তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৫৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার বা ১৭৯৮.৩২ মিটার বা এক মাইলের কিছুটা বেশি। তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভ্রমণ
আপনি যদি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ট্রেনে করে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভ্রমণ করতে হবে। এর কারণ হলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এ সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। তাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর ইতিহাস জেনে নিন
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোন নদীর উপর এবং কোথায় অবস্থিত
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার পাকশি রেলস্টেশনের দক্ষিণ এ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অবস্থিত এবং এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ১৯০৯ সাল থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে। এই ব্রীজটি নির্মাণের পর তৎকালীন ব্রিটিশ ভাইসরয় হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু এবং পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৫৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার বা ১৭৯৮.৩২ মিটার বা এক মাইলের কিছুটা বেশি।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কবে নির্মাণ করা হয়
ব্রিটিশ আমলেই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ১৯০৮ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের মঞ্জুরীর পাওয়া যায় এবং মঞ্জুরী পাওয়ার পর ব্রিটিশ প্রকৌশলী সার রবার্ট উইলিয়াম গেইলস দায়িত্ব গ্রহণ করেন এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের। তবে সার রবার্ট উইলিয়াম গেইলস ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী যার কারণে তিনি শুধু এই ব্রিজের নকশা প্রণয়ন করেন।
তবে সার এস এম রেলডলস হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রথম প্রকল্প প্রণয়ন করেন। আর ১৫টি মূল স্প্যান বসানো রয়েছে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজে। প্রায় ৫ বছর দীর্ঘ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ২৪ হাজার শ্রমিক তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করে ১৯১৫ সালে। ব্রিটিশ আমলে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর প্রস্থ কত
বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী নামক রেলস্টেশনের অদূরেই পাকশী ব্রীজ বা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অবস্থিত। এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেল সেতু হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রস্থ কত! তাই আমাদের যাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রস্থ কত আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এই হার্ডডিস্ক ব্রিজের প্রস্থ হলো ১৮.১০মিটার।পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মোট দৈর্ঘ্য ৫৮৯৪ ফুট বা ১.৮ কিলোমিটার বা ১৭৯৮.৩২ মিটার বা এক মাইলের কিছুটা বেশি।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভ্রমণ
ভ্রমণ পিপাসু লোকদের জন্য হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ভ্রমণ একটি আনন্দময় ভ্রমণ হিসেবে আপনার স্মৃতি পটে জায়গা করে নিতে পারে। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসেন এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি দেখার জন্য। এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজটির নান্দনিক নকশার জন্য ব্রিটিশ চিফ ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট উইলিয়াম গেইলস কে সম্মানসূচক স্যার উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী নামক রেলস্টেশনের অদূরেই পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু হিসেবেই পরিচিত। এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯০৫ সালে এবং প্রায় ২৪ হাজার শ্রমিক পাঁচ ৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। লর্ড হাঞ্জিজের নাম অনুসারে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নামকরণ করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১৮৮৯ সালে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ করার জন্যই এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু লোক হয়ে থাকেন তাহলে অনায়াসেই এই সেতুটি ঘুরে দেখতে পারেন।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ছাড়া আপনি আর কি দেখতে পাবেন
আপনি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখার সাথে সাথে সেখানে লালন শাহ ব্রিজ আছে সেটা দেখতে পারবেন এবং আমতলা নামক একটি স্থান আছে যেখানে বাংলাদেশের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আপনি সেগুলো দেখতে পারেন। কারণ সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম রেল বা ট্রেন এর একটি বগি যেখানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বোমা নিক্ষেপ করেছিল। আর এই পাকশি ব্রিজ বা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কে কেন্দ্র করে পদ্মা নদীর চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রিসোর্ট এবং পিকনিক স্পট যা আপনি উপভোগ করতে পারেন।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কিভাবে আসবেন বা যাওয়ার উপায়
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এখানে আপনি ট্রেনযোগে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে আসতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বাস বা অন্য কোন যানবাহনে করেও আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশের পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার পাকশী নামক স্থানে যেতে হবে। আপনি যদি ট্রেনে করে আসেন তাহলে পাকশী নামক রেলস্টেশনে নেমে আপনি এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে পাবেন।
আর যদি বাসে করে আসেন তাহলে আপনাকে বাসস্ট্যান্ড হতে রিকশা, বা টেম্পু অথবা সিএনজি নিয়ে পাকসি রেলস্টেশনে আসতে হবে এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাকশী রেলস্টেশনের সংলগ্ন তাই আপনি দেখতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
আপনি যদি দূর থেকে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে আসেন তাহলে আপনার অবশ্যই থাকা খাওয়ার প্রয়োজন হবে সেক্ষেত্রে আপনি হোটেলে থাকতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করলে পাবনায় থাকতে পারেন সেখানে আপনি অনেক ভাল মনের হোটেল পাবেন। এ ছাড়া আপনি ঈশ্বর দিতেও থাকতে পারেন আর আপনি যদি পাকশীতে থাকতে চান তাহলে সেখানেও আপনি থাকতে পারবেন তবে আপনার সবচেয়ে থাকার ব্যবস্থা ভালো পাবেন ঈশ্বরদী এবং পাবনাতে।
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য – জিনিস সম্পর্কে জেনে নিন
এখানে আপনি এসি, নন এসি অনেক ধরনের হোটেল পাবেন। আপনি আপনার আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আপনার থাকার স্থান নির্বাচন করে নিতে পারেন। আপনি যদি সেখানে থাকতে চান তাহলে নিচের এই ফোন নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করে হোটেলের সিট বুক করতে পারেন –
স্বাগতম হোটেল এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, ফোন নাম্বারঃ ০৭৩১ ৬৪০২৯ অথবা ০৭৩১ ৬৫৮৬১।
হোটেল পার্ক, ফোন নম্বরঃ ০৭৩১ ৬৪০৯৬।
প্রাইম গেস্ট হাউস, ফোন নম্বরঃ ০৭৩১ ৬৫৭০১ অথবা ০৭৩১ ৬৬৯০১।
হোটেল প্রবাসী ইন্টারন্যাশনাল, ফোন নম্বরঃ ০১৭৪৯-১৪৮৬৮৫। তবে আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে ফোন করেন তাহলে অবশ্যই 0 এর পূর্বে ৮৮ যোগ করে নিবেন।
মিডনাইট মুন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, ফোন নম্বরঃ ০৭৩১ ৬৫৭৮৭।
হোটেল ছায়ানীড়, ফোন নম্বরঃ ০৭৩১ ৬৬১০০ অথবা ০৭৩১ ৬৫৩৯০।
শিলটন হোটেল, ফোন নম্বরঃ ০৭৩১ ৬২ ০০৬ অথবা ০১৭১২ ৪৩৩২৪৯।
শেষ কথা
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাঙালির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে এই ব্রিজ দেখতে। আবার সে কেউ আসে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে এর প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ব্রিজের নিচ দিয়ে চলে পদ্মার বুকে অনেক নৌকা। এখনো সেখানে ঘুরতে গেলে নৌকায় ভ্রমণ করতে পারা যায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ব্রিজের ওপর পাশে আছে লালন শাহ সেতু। এই সেতুর নিচ দিয়ে বয়ে চলে নৌকা অনেকেই নৌকা করে পদ্মার বুকে মাছ ধরে বেড়াই কেউ বা ব্রিজের স্পেনের উপরে বসে মাছ ধরে সত্যিই অপরূপ দৃশ্য।
Leave a comment