প্রশ্নমালা

  • অভিযোগ থেকে অব্যাহতি(discharge)  ও বেকসুর খালাস (Acquittal) বলতে কি বুঝেন এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করুন।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আসামি খালাস পেতে পারেন– আলোচনা করুন। 
  • ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২৪১ এর ক ধারার বিধান মধ্যে আসামিকে অব্যাহতি দানের বিষয়ে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট কি কি বিষয়ে বিবেচনা করে থাকেন– আলোচনা করুন। 
  • চূড়ান্ত বিচারের পর বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামিকে কি পুনরায় একই অপরাধের অভিযোগে বিচার করা যায় আলোচনা করুন।
  • কী কী কারণে একজন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন না করে তাকে অব্যাহতি দেয়া যায়-আলোচনা করুন।


অব্যাহতি কি

 (What is  discharge) 

যদি কোন মামলার নথিপত্র এবং প্রাথমিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আসামীর বিরুদ্ধে মোকদ্দমায় অগ্রসর হওয়ার মতো পর্যাপ্ত কোন কারন নেই, তবে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মামলার দায় হতে যে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে অব্যাহতি (Discharge) বলে।  অভিযোগ গঠনের পূর্বে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। তাই অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুনরায় একই অপরাধের জন্য অভিযোগ আনা যায় বা বিচারে সোপর্দ করা যায়।

ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১-ক ধারার অধীনে এবং দায়রা আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫-গ ধারার অধীনে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করেন।


খালাস কি

(What is Acquittal) 

খালাস (Acquittal) হলো আদালতের চূড়ান্ত রায়। আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর অভিযোগকারী পক্ষের সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ, অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে জেরা এবং উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শ্রবণ ইত্যাদির পর আদালত যদি মনে করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করেছে– মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি, তবে আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মামলার দায় হতে মুক্তি দেওয়ার যে  আদেশ দিবেন, তাকে খালাস (Acquittal) বলা হয়। মোটকথা, অভিযোগ গঠনের পর বিচারিক কার্যক্রমে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলে খালাস প্রদান করা হয়। কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৫ ধারার অধীনে এবং ‘দায়রা আদালত’ ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫(জ) ও ২৬৫(ট) ধারার অধীনে খালাস প্রদান করেন।

ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৫ ধারায় বর্ণিত আছে যে, ম্যাজিষ্টেট যদি ২৪৪ ধারায় উল্লেখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যে অতিরিক্ত সাক্ষ্য হাজির করতে বলেন তা গ্রহণ করে এবং তিনি যদি উপযুক্ত মনে করেন তবে আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ করে  তিনি যদি আসামীকে নির্দোষী বলে সাব্যস্ত করেন তবে তিনি খালাসের আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০৩ ধারা মোতাবেক, খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুনরায় একই অপরাধের জন্য অভিযোগ আনা যায় না। মনে রাখা উচিত যে, খালাসের আদেশ হওয়ার ৬০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ফরিয়াদী কর্তৃক দায়েরকৃত আপিল হাইকোর্ট বিভাগ গ্রাহ্য করবেন না।

আরেকটি কথা, মোকদ্দমায় উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগকারী পক্ষ বা ফরিয়াদী আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন— মর্মে আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫ (ট) ধারা অনুসারে রায় প্রকাশের মাধ্যমে আসামীকে খালাস প্রদান করেন তখন সেই  খালাসকে Acquittal on merits খালাস বলে।

যেসব ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (Discharge)পেতে পারেন

(In cases where the accused person can be discharged from the charge)

অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ থেকে  যেসব ক্ষেত্রে অব্যাহতি (Discharge) পেতে পারেন তা নিচে আলোচনা করা হলো—

১.ইনকোয়ারির ফলাফলের ভিত্তিতে অব্যাহতি

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১১৯ অনুযায়ী ১১৭ ধারয় নালিশ ইনকোয়ারীর পর যথার্থ বলে প্রতীয়মান না অর্থাৎ ইনকোয়ারি ফল যদি অভিযুক্তির পক্ষে যায় তবে যার বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে তিনি অব্যাহতি পাবেন।

২. রিপোর্ট গ্রহণের ভিত্তিতে অব্যাহতি

ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ২০২-২(খ) এর বিধান অনুযায়ী পুলিশ কোন মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে এবং ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত রিপোর্ট গ্রহণ করলে অভিযুক্ত অব্যহতি পাবে।(Where the police submits the final report, the Magistrate shall be competent to accept such report and discharge the accused.)

৩. ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে অব্যাহতি

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ২৪১(ক) অনুযায়ী কোন মামলায় আসামী হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবী করলে ম্যাজিস্ট্রেট চার্জ গঠনের পূর্বে ফরিয়াদী বা রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামী পক্ষের বক্তব্য শুনে যদি মনে করেন যে, অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং চার্জ গঠনের মত উপাদান নেই তবে ম্যাজিস্ট্রেট কারণ উল্লেখ করে আসামীকে মামলা হতে অব্যাহতি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ফরিয়াদী উক্ত অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ কোর্টে রিভিশন দায়ের করতে পারেন এবং দায়রা জজ ম্যাজিস্ট্রেটের ডিসচার্জের(অব্যাহতি) আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। যাহোক, মামলার শুরুতে মামলার নথি, পুলিশ রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট (যদি থাকে) ও অন্যান্য কাগজপত্র বিবেচনার পর যদি আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ না থাকে তবে আসামী অব্যহতি পাবে (আসামীর দাখিল করা কোন কাগজ বিবেচনায় আসবে না)।

৪. আত্মসমর্পণ কিংবা ক্ষমাপ্রার্থনা পূর্বক অব্যাহতি

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ২৬৫(গ) অনুযায়ী মামলার নথি, দাখিল দলিলাদি এবং এ বিষয়ে আসামী ও অভিযোগকারীর বক্তব্য শুনার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার যথেষ্ট কারণ নেই, তবে আদালত আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিবেন এবং তার কারণ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। তবে ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারার আসামীকে অব্যাহতি প্রদান করতে আইনগত কারণ উল্লেখ করতে হবে সেই কারণ যুক্তি সঙ্গত হতে হবে।[ফেরদৌসী ইসলাম বনাম নূর মোহাম্মদ খান ও অন্যান্য;৫৪ ডিএলআর(এইচ)৪১৮]

৫. আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে অব্যাহতি

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮৪ ধারাতে বলা আছে যে, আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে আদালত কার্যবিধি ৪৮০ ও ৪৮২ ধারা অনুসারে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিলে এবং উক্ত ব্যক্তি আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত তাকে ক্ষমা করতে পারেন, এরূপ ক্ষমা করা হলে আদালত আসামীকে অব্যাহতি দিতে পারেন। ৪৮০ ধারায় অপরাধ মার্জনীয় হতে পারে যদি অপরাধী সন্তোষজনকভাবে নিজ দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৮০ ও ৪৮২ ধারায় রায়ের পরও অব্যাহতি পেতে পারে এবং সে হিসেবে  এ এক বিশেষ বিধান।

৬. চার্জ গঠনের পূর্বে মামলা প্রত্যাহার 

ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৪(ক) ধারাতে বলা আছে যে,  রাষ্ট্রের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং এরূপ প্রত্যাহার যদি চার্জ গঠনের পূর্বে করা হয় তবে আসামী অব্যাহতি পাবে। অন্য ভাবে বলা যায়, পুলিশি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ চার্জ গঠনের পূর্বে মামলা প্রত্যাহার প্রত্যাহার করলে আসামী অব্যহতি পাবে।

যেসব ক্ষেত্রে আসামী খালাস (Acquittal)পেতে পারেন 

আসামী যেসব ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী খালাস (Acquittal) পেতে পারেন তা নিচে আলোচনা করা হলো—

১.নির্দোষ প্রমাণের ভিত্তিতে খালাস

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৫(১) ধারার বিধান অনুযায়ী শুনানিতে আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলে আসামী খালাস পাবে। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের পর আদালত যদি আসামীকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করেন তবে আদালত কারন উল্লেখ করে আসামিকে খালাস দিতে পারেন। এ ধারায় হয় খালাস, না হয় শাস্তির আদেশ হবে। ম্যাজিস্ট্রেট যদি আসামিকে ডিসচার্জের আদেশ প্রদান করেন তাহলেও খালাস বলে গণ্য হবে। (পিএল ডি ১৯৫১ পেশোয়ার)

২. ফরিয়াদির অনুপস্থিতির কারণে খালাস

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারাতে বলা আছে যে, নালিশি মামলায় শুনানির তারিখে ফরিয়াদি(বাদী) অনুপস্থিত থাকলে আসামী খালাস পাবেন। ফরিয়াদীর নালিশক্রমে সমন জারির পর পরবর্তী শুনানীর তারিখে ফরিয়াদী হাজির না হলে (যৌক্তিক সময় পর্যন্ত দেখা উচিত) ম্যাজিষ্ট্রেট আসামীকে খালাস দিতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী একজন সরকারি কর্মচারী এবং তার ব্যক্তিগত উপস্থিতি প্রয়োজন হয় না, ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন, এবং এই মামলার সাথে এগিয়ে যেতে পারেন।

৩. অভিযোগ প্রত্যাহারের কারণে খালাস

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা অনুযায়ি নালিশি মামলায় ফরিয়াদি যদি মামলা বা নালিশ প্রত্যাহার করে তবে আসামী খালাস পাবে। কোন মামলায় চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার পূর্বে ফরিয়াদী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশ প্রত্যাহারের আবেদন দেয় এবং ম্যাজিষ্ট্রেট যদি মনে করেন আবেদন যথার্থ তবে তিনি আবেদন গ্রহণ করবেন এবং আসামীকে খালাস দিবেন।

৪. নিরপরাধের ক্ষেত্রে খালাস

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(জ) ধারা মোতাবেক অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগকারী পক্ষ ও আসামী পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী অপরাধ করেছে বলে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ  নেই, তবে আদালত আসামীকে খালাস দেবেন এবং তা লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। (If, after taking the evidence for the prosecution, examining the accused and hearing the prosecution and the defence on the point, the Court considers that there is no evidence that the accused committed the offence, the Court shall record an order of acquittal.)

৫. আপোষ মীমাংসায় খালাস

কার্যবিধির ৩৪৫(৬) ধারা অনুযায়ী মামলার বাদী- বিবাদি উভয় পক্ষের আপোষমীমাংসায়  মামলা মীমাংসা হলে আসামী খালাস পাবে, তবে শর্ত থাকে মামলাটি মীমাংসাযোগ্য হতে হবে।

৬. ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪(বি)) ধারা মোতাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদালতের অনুমতি নিয়ে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করতে পারবেন তবে এ ধরনের মামলা সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত হতে হবে এবং এরূপ প্রত্যাহার যদি চার্জ গঠনের পরে করা হয় তবে আসামী খালাস পাবে।

যাহোক, অব্যাহতির ক্ষেত্রে শুধু অনুসন্ধান করা হয়, বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয় না। যদি অব্যাহতির পর নতুন সাক্ষ্য প্রমাণ উদঘাটিত হয়, তবে আসামীর বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করা যায়। অন্যদিকে কোন আসামীকে বিচারে খালাস প্রদান করলে, পুনরায় তার বিরুদ্ধে একই অপরাধের অভিযোগ গঠন করা যায় না। অব্যাহতির আদেশ আদালতের কোন রায় নয়। কিন্তু খালাসের আদেশ আদালতের একটি রায় |


খালাস ও অব্যাহতির মধ্যে পার্থক্য ( পুরোটা  দেখা না  গেলে desktop view ওপেন করুন)

(difference between acquittal and discharge)

খালাস (Acquittal)

অব্যাহতি(Discharg)

১.সংশ্লিষ্ট মামলার সাক্ষ্য প্রমাণাদি গ্রহনের পর আসামী নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে মামলা বাঅভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়াকে খালাস বলে।

২.সাক্ষ্য প্রমাণের  অভাবে বিচারের পূর্বেই আসামীকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হলে, তাকে অব্যাহতি বলে।

২.The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ২৪৫ এবং ২৬৫জ ধারায় খালাস সংক্রান্ত বিধি-বিধান রয়েছে।


২.The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ২৪১(ক) এবং ২৬৫(গ) উপধারায় অব্যাহতির বিধি-বিধান রয়েছে।

৩.খালাসের ক্ষেত্রে আসামীর নির্দোষতা প্রমাণ করতে হয়।


৩.অব্যাহতির ক্ষেত্রে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই-এটি প্রমাণ করতে হয়। আসামীর নির্দোষতা প্রমাণ করতে হয় না।

৪.খালাসের ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক আসামীর পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণ রেকর্ড করা হয় যার ভিত্তিতে  আসামী নির্দোষ প্রমাণিত হয়।

৪.অব্যাহতির ক্ষেত্রে আসামীর পক্ষে-বিপক্ষে আদালত কর্তৃক সাক্ষ্য প্রমাণ রেকর্ড করা হয় না।


৫.কার্যবিধির ৪০৩ ধারা অনুযায়ী কোন মামলা হতে খালাস পাওয়ার পর আসামীকে একই অপরাধের জন্য আবার বিচার করা যায় না।


৫.অব্যাহতির আদেশ দিলেও তা আসামীকে একই বিষয়ে আদালতে হাজির করার ক্ষেত্রে আইনগত বাঁধা সৃষ্টি করে না। অর্থাৎ কার্যবিধির ৪০৩ ধারা অনুযায়ী একই অপরাধের জন্য পুনঃবিচার করা যায়।

৬.খালাসের আদেশকে মামলার চূড়ান্ত রায়  হিসাবে গণ্য করা হয়।

৬.অব্যাহতির আদেশকে মামলার চূড়ান্ত রায় হিসেবে গণ্য করা হয় না।

৭.আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর চূড়ান্ত শুনানী হয়ে গেলে খালাস দেওয়া হয়

৭. চার্জ গঠনের আগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

৮.ফরিয়াদী নালিশ প্রত্যাহার করলে বা শুনানীতে অনুপস্থিত থাকলেই খালাস দেওয়া যায় না।

৮.ফরিয়াদী নালিশ প্রত্যাহার করলে বা শুনানীতে অনুপস্থিত থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে অব্যাহতি দিতে পারেন।

৯.খালাসেই বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যায়।

৯. কিন্তু অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায়।