(iv) উপরের কোনটি আপীলযোগ্য হলে আপীল নিষ্পত্তির ৩ মাসের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করতে হবে।
এই নিয়মের ব্যতিক্ৰম কিঃ
২৩ ধারা অনুযায়ী- ২৪, ২৫ ও ২৬ ধারার শর্তসাপেক্ষে উইল ব্যতীত অন্য দলিল সম্পাদনের মাসের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করতে হবে। এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম আছে । উক্ত ব্যতিক্রমগুলি অত্র আইনের ২৩(এ) থেকে ২৭ ধারায় বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে সেগুলি উল্লেখ করা হলো-
(১) ভিন্ন ব্যক্তি দলিল উপস্থাপন করলে : ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক দলিল উপস্থাপিত ও রেজিষ্ট্রি হলে দলিলের দাবিদার উক্ত সংবাদ পাওয়ার ৪ মাসের মধ্যে দলিলটি রেজিষ্ট্রি করিয়ে তা বৈধ করতে পারেন। [ধারা-২৩(এ)]
(২) একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হলে : একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে দলিল সম্পাদন করলে প্রত্যেক সম্পাদনের তারিখ থেকে ৪ মাসের মধ্যে দলিলটি রেজিষ্ট্রি ও পুন:রেজিষ্ট্রির জন্য দাখিল করতে হবে। [ধারা-২৪]
(৩) দলিল নিবন্ধন বিলম্বের বিধান : কোন করণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দলিল দাখিল করতে না পারলে, বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দরখাস্ত করতে হবে। সাব-রেজিষ্ট্রার সাথে সাথে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পৌঁছবেন। ঊর্ধ্বতন রেজিষ্ট্রার বিলম্বের কারণ অনুন্ধানে সন্তুষ্ট হলে যদি তা ৪ মাসের বেশি বিলম্ব না হয় তাহলে নিবন্ধন ফি এর সর্বোচ্চ ১০ গুণ টাকা জরিমানা করে নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করার আদেশ দিতে পারেন। রেজিষ্ট্রারের এই ধরনের আদেশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। [ধারা-২৫]
(৪) বিদেশে সম্পাদিত দলিল : দলিল সম্পাদনের সময়ে সকলে অথবা যে কোন একজন বিদেশে থাকা অবস্থায় দলিল সম্পাদন হলে এবং দলিলটি সম্পাদনের ৪ মাসের মধ্যে রেজিষ্ট্রির জন্য দাখিল করা না হলে নিবন্ধন অফিসার যদি সন্তুষ্ট হন যে-
(i) দলিলটি উত্তমরূপে সম্পাদিত হয়েছে, এবং
(ii) দলিল সম্পাদনকারী বাংলাদেশে পৌঁছার ৪ মাসের মধ্যেই রেজিষ্ট্রির জন্য দাখিল করা হয়েছে তাহলে-
নিবন্ধন অফিসার নির্ধারিত ফিস গ্রহণ করে দলিলটি রেজিষ্ট্রির জন্য গ্রহণ করতে পারেন। [ধারা-২৬]
(৫) উইলের বিধান : উইলসমূহ নিবন্ধনের জন্য কোন সময়-সীমা নেই। অর্থাৎ যে কোন সময় উইল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা যায়। [ধারা-২৭]
উপসংহারঃ দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব না করা ভাল। শুধু দলিল নয় যে কোন কিছুতেই অতিরিক্ত বিলম্ব অব্যশই ক্ষতির কারণ । নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলিল নিবন্ধন না করলে রেজিষ্ট্রি অফিসার বা নিবন্ধন কর্মকর্তা তা গ্রহণ করতে বা রেজিষ্ট্রি করতে অস্বীকার করতে পারেন। কোন কোন নজীর অনুযায়ী এই ধরনের অস্বীকার করা হলে তা প্রত্যাখ্যান বলে গণ্য হবে।
Leave a comment