অথবা, অর্থনৈতিক সাম্য কী?
ভূমিকাঃ প্রাচীনকালে গ্রিক দার্শনিক থেকে শুরু করে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ পর্যন্ত সকলেই সাম্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করেছেন। যােগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের নারী-পুরুষ সকলকে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাম্য প্রকাশিত হয়।
অর্থনৈতিক সাম্যঃ অর্থনৈতিক সাম্য বলতে আমরা বুঝি, অর্থ উপার্জন ও বণ্টন বিষয়ে বৈষম্য দূর করে সকলকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমান সুযােগ-সুবিধা প্রদান করা। অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত রাজনৈতিক সাম্য অর্থহীন। নিঃস্ব ও নিরাশ্রয়দের নিকট রাজনৈতিক সাম্য ও স্বাধীনতার কোনাে মূল্য নেই। অর্থনৈতিক সাম্য বলতে এটা বুঝায় না যে দেশের সম্পদকে সমানভাবে সকলের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। দার্শনিক হিউম বলেন, “যদি প্রত্যেককে সমান সম্পদ বণ্টন করে দেয়া হয়, তাহলে বিভিন্নজনের শিল্পকর্মের দ্বারা-পরিশ্রমের মাধ্যমে, যত্ন ও কলাকৌশলে তা পুনরায় বৈষম্য রূপ লাভ করবে।” অর্থনৈতিক অসাম্য থাকলে সমাজে সম্পদশালী একটি শ্রেণির সৃষ্টি হয় এই শ্রেণিই বিশেষ সুযােগ-সুবিধা ও স্বাধীনতা ভগ করে।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায়, অর্থনৈতিক সাম্য মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতিত অন্যান্য সাম্য অর্থহীন।
Leave a comment