আগস্ট ২০, ২০২২
প্রশ্নঃ পূর্ণতাবাদ কি নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে সন্তোষজনক?
ভূমিকাঃ মানুষের কাজের বিচার পরম কল্যাণের আলােকে নিরূপিত হয়। মানুষের মধ্যেমে জীববৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তি আছে তার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের জীবনের পরম কল্যাণ নিহিত রয়েছে তার আত্মপলব্ধিতে। আত্মপলব্ধি বলতে মানুষের জীবনের পূর্ণ প্রকাশকে বােঝায়।
পূর্ণবাদের সন্তোষ যােগ্যতাঃ পূর্ণতাবাদ মনে করে যে, পূর্ণতালাভ বা আত্মােপলব্ধি হলাে মানব জীবনের পরম কল্যাণ। আত্মােপলব্ধি বলতে মানুষের জীবনের পূর্ণ বিকাশকে বােঝায়। মানুষের ব্যক্তিত্বকে পূর্ণভাবে প্রকাশ করার মাঝেই পূর্ণতাবাদের মূল আদর্শ। মানুষের নিজস্ব স্বকীয়তার মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্বের পূর্ণবিকাশ সম্ভব। পূর্ণতাবাদ সুখবাদ ও বুদ্ধিবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। আত্মবাদ ও পরার্থদের মধ্যে সমন্বয় ঘটে পূর্ণতাবাদের মাধ্যমে। সমাজে বাস করতে হলে নিজের সুখের পাশাপাশি অপর মানুষের কল্যাণের দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত। এর ফলে সমাজ ও ব্যক্তিত্বের মধ্যে একটা সেতু বন্ধন সৃষ্টি হয়। পূর্ণতাবাদ সুখ ও শান্তির মধ্যে একটা পার্থক্যের রেখা সৃষ্টি করে এবং মানুষের ইন্দ্রিয় সুখকে বিচার বুদ্ধির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকে।
মূল্যায়নঃ পূর্ণতাবাদ আলােচনা করলে দেখা যায় যে, এটি সুখবাদ ও বুদ্ধিবাদ, আত্মসুখবাদ ও পরসুখবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে এবং ব্যক্তির ইন্দ্রিয় সুখকে বিচার শক্তির সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব কিছু মূল্যায়ন করলে দেখা যায় পূর্ণতাবাদ একটি সন্তোষজনক মতবাদ।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, নৈতিক বিচারের মানদণ্ড হিসেবে যে, কয়টি মানদণ্ড রয়েছে তার মধ্যে পূর্ণতাবাদ একটি সন্তোষজনক মতবাদ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। কারণ পূর্ণতাবাদের নিজস্ব একটি স্বকীয়তা রয়েছে। যার সাহায্যে সে সমাজের মানুষের চলাফেরাকে নীতিগত দিক থেকে মূল্যায়ন করে থাকে।
Leave a comment