প্রশ্নঃ এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা কী?

অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলতে কী বুঝ?

অথবা, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা কাকে বলে।

ভূমিকাঃ আইনসভায় সরকারের ভূমিকা বা আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের আচার আচরণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মান বা মাত্রাকে চিহ্নিত করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত দু’ধরনের আইনসভা লক্ষ্য করা যায়। যথাঃ এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। নিম্নে এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে-

এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাঃ আইনসভার একটি কক্ষ থাকলে তাকে আমরা এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলি। অন্যভাবে বলা যায়, সরকারের আইন প্রণয়নের কাজটি যখন আইনসভার এক কক্ষই সম্পাদন করে তখন তাকে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক প্রভৃতি দেশে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা লক্ষ্য করা যায়। এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রবক্তা হলেন বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন। ১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে আমেরিকার সংবিধান প্রণয়ন কালে তিনি এককক্ষের জন্য জোর যুক্তি প্রদর্শন করেন। তার প্রভাবেই স্বীয় অঙ্গরাষ্ট্র পেনসাল ভানিয়াতে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়। এ চুক্তিবাদী দার্শনিক এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার কথা বলেছেন। তিনি বলেন প্রতিনিধিত্বশীল সংস্থা এক ছাড়া অদ্বিতীয় হতে পারে না। সার্বভৌম অবিভাজ্য আর জাতি হলাে সার্বভৌম। তাই আইনসভা দুটি হতে পারে না। তার মতে, ১৯৭১ ও ১৭৯৩ সালে ফ্রান্সের শাসনতন্ত্রে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ব্যবস্থা হয়েছিল।

উপসংহারঃ আলােচনার শেষ প্রান্তে এসে আমরা বলতে পারি যে, সরকারের আইন প্রণয়নের কাজটি যখন আইনসভার এককক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন হয় তখন তাকে আমরা এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলে থাকি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দ্রুত আইন প্রণয়নে এককক্ষ বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।