অথবা, আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যা সম্পর্কে লিখ।
ভূমিকাঃ বিজ্ঞান হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুশৃঙ্খল জ্ঞান। নীতিবিদ্যা হচ্ছে আচরণ সম্পৰ্কীয় বিজ্ঞান। বিজ্ঞান হিসেবে নীতিবিদ্যাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়। এটি ‘আদর্শ’ এর অনুসন্ধান করে। নীতিবিদ্যাকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। তন্মধ্যে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান একটি।
আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যাঃ আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যার প্রধান কাজ হচ্ছে নৈতিক নিয়মাবলি ও নৈতিক মানদণ্ডসমূহ অনুসন্ধান, অনুশীলন, ব্যাখ্যা ও চিহ্নিত করা আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যা বলতে বুঝায় তা হলাে আদর্শ এর অনুসন্ধান করা। আদর্শের আলােকে কোনাে কিছু মূল্যায়ন করাও এর লক্ষ্য। নৈতিক আদর্শের মানদণ্ডের আলােকে নীতিবিদ্যা মানুষের আচরণের মূল্যায়ন করে থাকে। নৈতিকবিদ্যা মানুষের আচরণের মূল্যায়ন করে থাকে। নৈতিক নিয়মাবলি ও মানদণ্ডসমূহকে যথাযথভাবে অনুসরণ করে ব্যক্তি নিজের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। এটি নৈতিকতার, মূল্যায়ন বিষয়ক কাজ। এটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে অবধারণের মূল্যায়নমূলক ও পরামর্শমূলক কাজ করা। আমাদের মানব অভিজ্ঞতার জগতে তিন ধরনের আদর্শ কাজ করে থাকে। যথা-
১. সত্যঃ আমাদের জ্ঞানমূলক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
২. সােন্দর্যঃ আমাদের অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। নিয়মিত।
৩. শুভ বা ভালােঃ আমাদের ইচ্ছার সঙ্গে জড়িত।
সুতরাং নীতিবিদ্যাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা হয়। ভালােত্বের আদর্শ নিয়ে কাজ বা আচরণের মূল্যবিচার করাই এর লক্ষ্য।
উপসংহারঃ বিজ্ঞান হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান হিসেবে নীতিবিদ্যা হচ্ছে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান কিন্তু নীতিবিদ্যা বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান নয়। নীতিবিদ্যা হচ্ছে আচরণ সম্পৰ্কীয় বিজ্ঞান। নৈতিক আদর্শের মানদণ্ডের আলােকে নীতিবিদ্যা সমাজে বসবাসরত মানুষের আচরণের মূল্যায়ন করে থাকে। সুতরাং নীতিবিদ্যা হচ্ছে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান।
Leave a comment