ধাতুসমূহ অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতুর অক্সাইড গঠন করে। যেমনঃ ম্যাগনেসিয়াম (Mg) অক্সিজেনের (O₂) সাথে বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO) গঠন করে।



2Mg +  O₂  ———–> 2MgO

এক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম পরমাণু তার বহিঃস্থ কক্ষপথ হতে দুটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে Mg²+ আয়ন গঠন করে। অপরদিকে, অক্সিজেন পরমাণুর দুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে O²- আয়ন গঠন করে।

Mg  ———-> Mg²+    + 2e-

O + 2e-    ———-> O²-

Mg²+ +  O²-   ———>   MgO

 ধাতুর অক্সাইডগুলি পানিতে দ্রবীভূত  করলে  অক্সাইড আয়ন O²- তৈরি হয়। এই অক্সাইড আয়ন  পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোক্সাইড আয়ন(OH-) গঠন করে। যা ক্ষারীয়তার বৈশিষ্ট্য। 

যেমনঃ সোডিয়াম অক্সাইড (Na₂O) পানিতে দ্রবীভূত করলে অক্সাইড আয়ন (O²-) উৎপন্ন হয়। এই অক্সাইড আয়ন পানির সাথে যুক্ত হয়ে হাইড্রোক্সাইড গঠন করে। অর্থাৎ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH)  উৎপন্ন হয়।

Na₂O (aq) ——> 2Na+(aq)     + O²-(aq)

O²-(aq) + H₂O (l) ——-> 2HO- (aq)

2Na+(aq)  + 2HO- (aq) ———> 2NaOH

 আবার, ধাতুর অক্সাইড এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি গঠন করে। যেমনঃ জিংক অক্সাইড (ZnO) হাইড্রোক্লোরিক এসিডের (HCl) সাথে বিক্রিয়া করে জিংক ক্লোরাইড (ZnCl₂)লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।

ZnO + 2HCl  ——–> ZnCl₂ + H₂O

যেহেতু, ধাতুর অক্সাইড এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি গঠন করে এবং পানিতে দ্রবীভূত করলে হাইড্রোক্সাইড গঠন করে। সেহেতু বলা যায়, ধাতুর অক্সাইড সমূহ ক্ষারীয়।