রসায়ন চর্চায় মোল এর গুরুত্ব অপরিসীম। মোল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে অনেক সময় রাসায়নিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়না। 

পূর্বে রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োজনীয় পদার্থকে প্রকাশ করার জন্য তুল্যভর একক বেশি ব্যবহার করা হতো। 

কিন্তু বর্তমানে যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পদার্থ মোল এককে হিসাব করা হয়। 

যেমন: সালফিউরিক অ্যাসিড ও সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম সালফেট ও পানি উৎপন্ন হয়। 

বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ 

H₂SO₄ + 2NaOH —-> Na₂SO₄ + 2H₂O

এই বিক্রিয়া দেখে কেউ বলতে পারবে না কত গ্রাম এসিড, কত গ্রাম ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করেছেন। এমনকি মোলের ধারণা যদি না পাওয়া যেত তবে পরীক্ষা ছাড়া কোনদিনই এর উত্তর দেওয়া সম্ভব হতো না। মোল এক্ষেত্রে দ্রুত উত্তর দিতে সাহায্য করে। 

উপরের সমীকরণ থেকে দেখা যায় একমোল H₂SO₄ ; 2 মোল NaOH এর সাথে বিক্রিয়া করে 1 মোল Na₂SO₄ ; 2মোল H₂O উৎপন্ন করেছে। 

এবার গ্রাম এককে পরিবর্তন করলে দেখা যায়, 98 গ্রাম H₂SO₄ ; 80 গ্রাম NaOH এর সাথে বিক্রিয়া করে 142 Na₂SO₄ গ্রাম এবং 36 গ্রাম পানি উৎপন্ন করেছে। 

বর্তমানে মোল একক আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন এবং অন্যান্য কণার ক্ষেত্রে মোল ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।

যেমন: 1 মোল ইলেকট্রন বলতে 6.023×10²³ টি ইলেকট্রনকে বোঝায়।

এমনকি রাসায়নিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও মোল ব্যবহৃত হয়।

যেমনঃ 1 মোল বন্ধন বলতে 6.023×10²³ টি বন্ধন কে বোঝায়। 

এজন্য বলা হয়, রসায়ন চর্চায় মোলের গুরুত্ব অপরিসীম।