স্ববিজারণঃ  কোন ধাতু তার আকরিক থেকে যখন নিজেই যে পদ্ধতিতে বিজারিত হয়ে মুক্ত ধাতুতে পরিণত হয় তখন ওই পদ্ধতিকে স্ববিজারন বলে।

আমরা জানি, সক্রিয়তা সিরিজের উপরের দিকে অধিক সক্রিয় ধাতু গুলিকে তার আকরিক থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে মুক্তধাতুতে রূপান্তর করা হয়। সক্রিয়তা সিরিজে মধ্যম সক্রিয় ধাতু গুলিকে তার আকরিক থেকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে মুক্ত ধাতু পাওয়া যায়। আর সক্রিয়তা সিরিজে যেসব ধাতু গুলির সক্রিয়তা হাইড্রোজেন এর থেকে কম ওইসব ধাতু স্ববিজারন পদ্ধতিতে তার আকরিক থেকে নিষ্কাশিত হয়। 

যেমনঃ কপার, সিলভার, মার্কারি ইত্যাদি ধাতুর সক্রিয়তা হাইড্রোজেন এর থেকে কম। এই ধাতু গুলি এদের আকরিক থেকে স্ববিজারন পদ্ধতিতে নিষ্কাশিত হয়।

যেমনঃ কপারের আকরিক চালকোসাইট (Cu₂S) প্রথমে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন দ্বারা জারিত করে কিউপ্রাস অক্সাইডে (Cu₂O) পরিণত করা হয়।   

পরে এই কিউপ্রাস অক্সাইড ও Cu₂S বিক্রিয়া করে কপার ধাতুতে পরিণত হয়। এ পদ্ধতিতে কপার নিজেই বিজারিত হয় বলে একে স্ববিজারন বলে।Cu₂S + O₂ ——-> Cu₂O + SO₂


       

Cu₂S + Cu₂O ——> Cu + SO₂

 

আবার, মার্কারির আকরিক সিন্নাবার (Hg₂S) একে নিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন দ্বারা জারিত করে মারকিউরাস অক্সাইড (Hg₂O) এ রূপান্তরিত করা হয়। 

পরবর্তীতে Hg₂S ও Hg₂O বিক্রিয়া করে মুক্ত ধাতুতে পরিণত হয়। একেও স্ববিজারণ পদ্ধতি বলে।

Hg₂S + O₂ ——-> Hg₂O  + SO₂
      

Hg₂S + Hg₂O ——–> Hg + SO₂