গণতন্ত্র সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট নয়: আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘গণতন্ত্র’ হল একটি বহু আলোচিত বিষয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অপর কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে এত বেশি আলোচনার ঝড় বা এত বেশি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়নি। গণতন্ত্র কোন নতুন ব্যবস্থা নয়। প্রাচীনকালে গ্রীস দেশে এই ধারণার সৃষ্টি হয়। সেই সুদূর অতীত থেকে বিভিন্ন শতাব্দীতে নূতন নূতন ধ্যান-ধারণা একে প্রভাবিত করেছে। তার ফলে গণতন্ত্র সম্বন্ধে ধারণা আরও জটিল রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন অর্থে ও নানাভাবে গণতন্ত্র শব্দটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এই কারণে মবোট মন্তব্য করেছেন: “…the most elusive and ambiguous of all political terms.” আধুনিক কালের বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তাবিদ্ ডেভিড হেল্ড (David Held)-এর অভিমত অনুযায়ী গণতন্ত্র সম্পর্কিত ধারণা আজও জটিল এবং বিতর্কিত (The idea of democracy remains complex and contested.)।

গণতন্ত্রের ধারণা প্রাচীন: মানবসমাজের ক্রমবিবর্তনের ধারায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের ধারণা বিভিন্ন ও বিচিত্র অর্থে ব্যক্ত হয়েছে। প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমে বিভিন্ন অর্থে গণতন্ত্র শব্দটি ব্যবহৃত হত। তারপর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, হিতবাদ ও উদারনৈতিক চিন্তাধারার প্রভাবে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উদারনৈতিক গণতন্ত্র (Liberal Democracy) সম্পর্কে ধারণার বিকাশ ঘটে। এই ধরনের গণতন্ত্রকে অনেকে পুঁজিবাদী আখ্যা দিয়ে থাকেন। এঁদের মতে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাতে সৃষ্ট সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র (So cialist Democracy)-ই হল যথার্থ গণতন্ত্র। সোভিয়েত রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবের পর গণতন্ত্রের এই নূতন রূপটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সুদীর্ঘ এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় গণতন্ত্রের একটি সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা দেওয়া বড়ো সহজ ব্যাপার নয়। এ প্রসঙ্গে লিপসন মন্তব্য করেছেন: “When one considers how great has been the extent of democracy is space, time and culture, it becomes obvious that no two look exactly alike.”

গ্রীস দেশে এই ধারণার সৃষ্টি হয়: গ্রীকরাই সর্বপ্রথম ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি ব্যবহার করে। খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রীস দেশে ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি সর্ব প্রথম ব্যবহৃত হয়। ‘Democracy’ হল গণতন্ত্রের ইংরাজী প্রতিশব্দ। ‘Demos’ ও ‘Kratos’ এই দুটি গ্রীক্ শব্দ থেকে ইংরাজী ‘Democracy শব্দটির সৃষ্টি। গ্রীক শব্দ ‘ডেমস’ মানে হল জনগণ এবং ‘ক্রেটস’ মানে হল শাসন বা কর্তৃত্ব। সুতরাং ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল জনগণের শাসন। প্রাচীনকালে গ্রীস দেশের এথেন্স নগরীতেই সর্বপ্রথম গণতন্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সূত্রপাত ঘটে। গ্রীক ঐতিহাসিক ‘থুসাইডিডেস’ তাঁর পেলোপোনেসীয় যুদ্ধের ইতিহাসে গণতন্ত্র শব্দটি উল্লেখ করেন। খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে হেরোডোটাস নামে এক গ্রীক ঐতিহাসিক গণতন্ত্রের ধারণার আলোচনায় ‘বহুজনের শাসন’ এবং সমাজে ‘সম অধিকারের কথা বলেছেন। এই সময় ক্লিওন নামে আর একজন গ্রীকপণ্ডিত গণতন্ত্রকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের শাসন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত প্রস্তাবে প্লেটো অ্যারিস্টটলের আমলে গণতন্ত্র শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি। এই সময় গণতন্ত্র বলতে ‘জনগণতন্ত্র’ (Mobocracy)-কে বোঝান হত। এবং তা নিকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা হিসাবে গণ্য হত। গ্রীসে বহুজনের শাসনকেই গণতন্ত্র হিসাবে গণ্য করা হত। বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক পেরিক্লিস (Pericles)-এর মতানুসারে যেখানে সরকারী কর্মচারীগণ গুণগত বিচারে নিযুক্ত হয় এবং আইনানুসারে যেখানে সকলে সমান, তেমন এক সরকারই হল গণতন্ত্র। তিনি এথেন্সকে আদর্শ গণতন্ত্র হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। বস্তুতপক্ষে প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমের নগর-রাষ্ট্র (City-State)-গুলিকে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র হিসাবে গণ্য করা হয়।

প্রাচীন ভারত: গ্রীসের মত প্রাচীনকালে ভারতেও গণতন্ত্রের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাচীনকালে ভারতের সমাজব্যবস্থায়ও গণতান্ত্রিক সংস্থা ও রীতিনীতির অস্তিত্ব দেখা গেছে। বৈদিক যুগে এবং পৌরাণিক যুগে ‘সভা’, ‘সমিতি’ প্রভৃতি গণতান্ত্রিক সংস্থা বর্তমান ছিল। সেই সময় প্রজাসাধারণের বিশেষ অধিকার স্বীকার করা হত। এ বিষয়ে পৌরাণিক যুগের ধর্মগ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে। প্রাচীন ভারতের গ্রামীণ সমাজেও পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রচলন দেখা যায়।

গণতন্ত্রের ইতিহাস, দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্নতা: তবে এথেনীয় গণতন্ত্রের দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিরোধ বিশৃঙ্খলার আবর্তে গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণার আর বিকাশ ঘটেনি। প্রাচীন রোমে ছিল রাজতন্ত্র। রাজতন্ত্রের অবসানের পর ‘প্যাট্রিসিয়ান’ (Patricians)-দের ক্ষমতা দখল এবং তারও পরে ‘গ্লেবিয়ান’ (Plebeians) – দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিণতিতে উভয় তরফই সমানাধিকারের সুযোগ পায়। এবং সমকালীন শাসনব্যবস্থা অভিজাততন্ত্র, রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের এক সংযুক্ত রূপ ধারণ করে। স্মরণ করা দরকার যে, গ্রীক দার্শনিক প্লেটো বা অ্যারিস্টটলের গণতন্ত্র হল ‘পলিটি’ (Polity)-র বিকৃত রূপ। পরবর্তী কালে জনতার শাসনব্যবস্থা বা ‘জনতাতন্ত্র’ (Mobocracy) গণতন্ত্র হিসাবে প্রচলিত হয়।

গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার বিকাশ ও বিস্তারের ক্ষেত্রে গ্রীসের স্টোয়িক দার্শনিকদের অবদান অনস্বীকার্য। স্টোয়িকরা (The Stoics) ব্যক্তির স্বাভাবিক সাম্য, আইনানুসারে চলার প্রবণতা ও ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধের কথা বলেছেন। পরবর্তী কালে পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের বিকাশে রোমক আইনের অবদান ও প্রভাব অনস্বীকার্য। রোমে অভিজাত শ্রেণীর শাসন বলবৎ হয়। তবে শাসক নির্বাচনের নীতি স্বীকৃতি লাভ করে। বস্তুতপক্ষে প্রাচীনকালের গ্রীস ও রোমের নগর-রাষ্ট্র (City-State) গুলিকে বিশুদ্ধ গণতন্ত্র হিসাবে গণ্য করা যায়। এইভাবে রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংমিশ্রিত রূপের আলোচনাই চলতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারণার বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

আধুনিক গণতন্ত্রের ধারণার বিকাশ: অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত গণতন্ত্র সম্পর্কে তেমন কোন আলোচনা দেখা যায়নি। ইউরোপের কয়েকটি দেশে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার সন্ধান পাওয়া যায়। যথার্থ বিচারে বর্তমান শতাব্দীতেই গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা দুনিয়া জুড়ে বিশেষ আলোড়নের সৃষ্টি করে এবং অতিমাত্রায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের মহাসনদ (Magna Carta, 1215), গৌরবময় বিপ্লব (Glorious Revolution), আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম (১৭৭৬) এবং ফরাসী বিপ্লব (১৭৮৯) আধুনিক গণতান্ত্রিক ধারণার বিকাশে সাহায্য করেছে। আধুনিক অর্থে গণতান্ত্রিক ধারণার সূত্রপাত ঘটে সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও ধনতান্ত্রিক যুগের সূত্রপাতের সময় থেকে। সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা’র গণতান্ত্রিক আদর্শ বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। উদারনৈতিক গণতন্ত্রের সূত্রপাত ঘটে সপ্তদশ শতাব্দীতে। তবে গণতন্ত্রের ধারণাটি প্রতিষ্ঠা অর্জন করে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে। বস্তুত গ্রীস ও রোম থেকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হওয়ার পর অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে গণতন্ত্র ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, হিতবাদ ও উদারনৈতিক ধ্যান-ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং উদারনৈতিক গণতন্ত্র (Liberal democracy) হিসাবে পরিচিত লাভ করে। অনেকের মতে উদারনৈতিক গণতন্ত্র হল পুঁজিবাদী দেশসমূহের গণতন্ত্র।

উদারনৈতিক গণতন্ত্র: ইংল্যান্ডের চুক্তিবাদী দার্শনিক হস সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে জনগণের দ্বারা শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। লকের মতবাদে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দর্শনের তাত্ত্বিক সমর্থন বর্তমান। ফরাসী দার্শনিক রুশোর ‘সাধারণ ইচ্ছা’ (General Will) গণতন্ত্রের ধারণাকে সমৃদ্ধ করেছে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ (Individualism) এবং হিতবাদ (Utilitarianism) উদারনৈতিক গণতন্ত্রের পিছনে সমর্থন যুগিয়েছে। বেস্থাম ও জেমস মিল ‘সর্বাধিক সংখ্যক ব্যক্তির সর্বাধিক কল্যাণ’ (greatest good of the greatest number)-এর তত্ত্ব প্রচার করেন। তাঁরা প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের কথাও বলেন। তবে জে. এস. মিল (John Stuart Mill)-এর হাতেই উদারনৈতিক গণতন্ত্রের ধারণা বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হয়। ব্যক্তির স্বাধীনতার অধিকার ও স্ত্রীজাতির ভোটাধিকারের উপর স্টুয়ার্ট মিল বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিংশ শতাব্দীতেই উদারনৈতিক গণতন্ত্রের ধারণার বিকাশ ঘটে: প্রকৃত প্রস্তাবে বিংশ শতাব্দীতেই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উদারনৈতিক গণতন্ত্র বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সুদীর্ঘকালের ক্রমবিকাশের ধারায় উদারনৈতিক গণতন্ত্র আজ মর্যাদার আসনে আসীন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ভারত প্রভৃতি দেশে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের বিকাশ ও বিস্তার সর্বজনবিদিত। আইনের অনুশাসন, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা, অধিকারের সনদ প্রভৃতি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রীতিনীতি উদারনৈতিক গণতন্ত্রের অঙ্গ হিসাবে বর্তমানে দৃঢ় সমর্থন লাভ করেছে। গণতন্ত্রের ধারণাকে মধ্যযুগীয় ভাবধারার সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত করে একটি বিশিষ্ট উদারনৈতিক রাজনৈতিক দর্শনে পরিণত করার ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তাঁরা হলেন: হার্বার্ট স্পেনসার, হবহাউস (L. T. Hobhouse), বার্কার (Ernest Barker), গ্রীন্ (T. H. Green), লিন্ডসে (A. P. Lindsay), ম্যাকাইভার (R. M. Maclver), ল্যাস্কি (H. J. Laski) প্রভৃতি। তা ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টমাস জেফারসন, জেমস ম্যাডিসন এবং অ্যাব্রাহাম লিংকনের নাম এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার।

গণতন্ত্রের সমাজতান্ত্রিক বিকাশ: সোভিয়েত রাশিয়ায় মহান সমাজতান্ত্রিক অক্টোবর বিপ্লব সংঘটিত হয় ১৯১৭ সালে। তার পরবর্তী পর্যায়ে গণতন্ত্র আবার এক নতুন রূপ ধারণ করে। সমাজতান্ত্রিক কাঠামোতে গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক উন্মোচিত হয়। এই সময় গণতন্ত্রের উদারনৈতিক ভাবধারার পাশাপাশি একটি সমাজতান্ত্রিক আদর্শ বিকশিত হতে থাকে। একে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র (Socialist De mocracy) বলে। বলা হয় যে, গণতন্ত্রের আদর্শ কেবল সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাতেই যথাযথভাবে বাস্তবে রূপায়িত হতে পারে। এ ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন বিশেষ শ্রেণীর নয়, সমাজের সকলের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করা হয়। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক—এক কথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সামানীতির সম্প্রসারণই হল সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য। সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রে সর্বহারার একনায়কত্বে সমাজের সকলের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ থাকে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রই যথার্থ বা আদর্শ গণতন্ত্র হিসাবে প্রতিপন্ন হয়। বস্তুত গণতান্ত্রিক আদর্শের সার্থক রূপায়ণ একমাত্র সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাতেই সম্ভব। তাই বর্তমানে আদর্শ গণতন্ত্র বলতে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রকে বোঝায়। সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র উদারনৈতিক গণতন্ত্র থেকে পৃথক প্রকৃতির। লেনিন (V.I. Lenin) মন্তব্য করেছেন : “It marks a break with bourgeois democracy and the rise of a new, epoch-making type of democ racy, namely proletariat democracy, or the dictatorship of the proletariat.” সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র বুর্জোয়া গণতন্ত্রের ত্রুটি থেকে মুক্ত। এ ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হল জনসাধারণের শোষণ মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রামের সুফল।