রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের শর্ত হিসাবে অধিকারের স্বীকৃতি অপরিহার্য। তা ছাড়া ব্যক্তি মানুষের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের স্বার্থেও অধিকারের অস্তিত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু অধিকার কোন স্থিতিশীল ধারণা নয়। অধিকার স্থান ও কালের আপেক্ষিক। তাই সর্বকালে এবং সর্বদেশে অধিকারের ব্যবস্থা অভিন্ন নয়। অধিকারের এই আপেক্ষিকতা অস্বীকার করা যায় না। এতদসত্ত্বেও কতকগুলি অধিকার মোটামুটি সকল দেশেই অল্পবিস্তর পরিলক্ষিত হয়। অধ্যাপক ল্যাস্কি এই রকম কিছু অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

কাজের ও পর্যাপ্ত পারিশ্রমিকের অধিকার:

ল্যাস্কি কাজ করার অধিকারের উপর জোর দিয়েছেন। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার আছে। তাই প্রত্যেকের কাজ করার অধিকার স্বীকার করা দরকার। তবে কাজ‌ করার অধিকার যোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যে-কেউ যে-কোন কাজ করার অধিকার দাবি করতে পারে না। প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট মানের যোগ্যতা বা দক্ষতা দরকার হয়। কাজ করার অধিকারই শেষ কথা নয়। এই অধিকারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হল যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভের অধিকার। কাজ‌ করার অধিকার প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকের পারিশ্রমিক লাভের অধিকারকেও স্বীকার করতে হবে। শ্রমিককে শ্রমের সমানুপাতিক মজুরী দিতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে সকলের পারিশ্রমিক হবে সমান। অর্থাৎ অধ্যাপক ল্যাস্কি আয়ের সমতার কথা বলেননি। তবে মুষ্টিমেয়ের বিলাস-বৈভবের আগে প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা দরকার। পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক মানে এমন মজুরীর কথা বলা হয়েছে যাতে ব্যক্তি-মানুষ তার সৃজনশীল নাগরিকতাকে বিকশিত করার জন্য যথাযথ জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে পারে। তা না হলে শ্রমিকের পক্ষে সৃজনশীল শ্রম প্রদান করা সম্ভব হবে না। শ্রমিককে জীবনধারণোপযোগী বেতন দিতে হবে। পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক এবং যুক্তিসঙ্গত শ্রম সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।

অবসরের অধিকার:

শ্রমিকের শ্রমের সময় সীমা যুক্তিসঙ্গত হওয়া দরকার। এবং এই যুক্তিসঙ্গত শ্রম-সময় নির্ধারণ করে দেওয়া আবশ্যক। শ্রমিককে অত্যধিক পরিশ্রম করতে বাধ্য করা অনুচিত। ব্যক্তি মানুষের পরিশ্রম করার ব্যাপারে মানসিক সীমাবদ্ধতা আছে। এই মনস্তাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার। জীবিকার জন্য ব্যক্তি যেমন পরিশ্রম করবে, তেমনি সৃজনশীল কাজের জন্য তার পর্যাপ্ত অবসর থাকতে হবে। ব্যক্তি মানুষের কায়িক পরিশ্রম যদি দীর্ঘসময়ব্যাপী এবং অমানুষিক হয় তা হলে ব্যক্তিসত্তার অপমৃত্যু ঘটার আশঙ্কা থাকে। অধ্যাপক ল্যাস্কি ব্যক্তি মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং জাতির বৌদ্ধিক উত্তরাধিকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই তিনি শ্রমিকের অবসরের অধিকারের কথা বলেছেন। এই কারণে যুক্তিসঙ্গত শ্রম-সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত শ্রম-সময়ের ধারণাটি অনেকাংশে অস্পষ্ট। যাইহোক, এ কথা ঠিক যে সকল কাজের যুক্তিসঙ্গত শ্রম-সময় অভিন্ন হতে পারে না। এক্ষেত্রে কাজের স্বরূপ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করা দরকার।

শিক্ষার অধিকার:

ল্যাস্কি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার হিসাবে শিক্ষার অধিকারের কথা বলেছেন। শিক্ষার অধিকারের স্বীকৃতি ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এই অধিকার অস্বীকৃত হলে ব্যক্তিত্ব বিকাশের দাবিও অস্বীকৃত হয়। ব্যক্তি মানুষের মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য শিক্ষার অধিকার অপরিহার্য। এই অধিকার অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যক্তি জীবিকা অর্জনের যোগ্যতা লাভ করে। নিজের অভিজ্ঞতার সুবিধা ভোগ, নিজের সত্তার যথাযথ বিকাশ, বহির্জগতের বিষয়াদি অনুধাবন প্রভৃতির পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিরোধ-বিতর্কের ঊর্ধ্বে। শিক্ষা হল এক বৌদ্ধিক প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হল ব্যক্তির যোগ্যতা ও দক্ষতার স্ফূরণ বা আবিষ্কার। তবে ল্যাস্কি সকলের জন্য সমজাতীয় শিক্ষার কথা বলেননি। তাঁর মতানুসারে ব্যক্তি মানুষের প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করা বাঞ্ছনীয়। তবে প্রত্যেকে যাতে নিজের জীবনকে অনুধাবনের ক্ষেত্রেও নিজের অভিজ্ঞতাকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সক্ষম হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সামর্থ্য সৃষ্টি করা দরকার। এই কারণে ল্যাস্কি প্রত্যেকের জন্য ন্যূনতম প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

ভোটাধিকার:

ল্যাস্কি ভোটাধিকারের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাঁর মতানুসারে নাগরিক জীবনের সর্বোচ্চ বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের হাতে রাজনীতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার ন্যস্ত থাকা দরকার। কারণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে রাজনীতিক কর্তৃত্বের উৎস হল নাগরিকদের মতামত। এই কারণে নির্বাচন করার এবং নির্বাচিত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই থাকা একান্তভাবে অপরিহার্য।

মত প্রকাশের অধিকার:

ল্যাস্কি মতামত প্রকাশের অধিকারের কথাও বলেছেন। নাগরিকদের রাজনীতিক অধিকারের অনুশীলনের স্বার্থে প্রয়োজনমত এবং স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার স্বীকৃত হওয়া আবশ্যক। ব্যক্তিমাত্রেরই মতপ্রকাশের অধিকার থাকা একান্তভাবে দরকার। এ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণের কল্যাণের স্বার্থে সকল নাগরিকের সুচিন্তিত মতামত প্রকাশের কথা বলা হয়। এই কারণে গণতন্ত্রে ব্যক্তি মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মতামত প্রকাশের অধিকারের অর্থ হল সাধারণ বিষয়সমূহে সকলের মতামত ব্যক্ত করার অধিকার। ব্যক্তিসত্তার বিকাশের ক্ষেত্রেও এই অধিকারটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সমাজের মৌলিক কাঠামোগত স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের বিচারে প্রতিকূল নয়, এমন যে কোন মতামত প্রকাশের অধিকার স্বীকৃত হওয়া আবশ্যক। আবার ব্যক্তি লিখিতভাবে বা অলিখিতভাবে তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারে। অধ্যাপক ল্যাস্কির মতানুসারে ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকারের উপর রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত। তাঁর আরও অভিমত হল যে এ বিষয়ে শান্তিকালীন অবস্থা ও যুদ্ধকালীন অবস্থার মধ্যে কোন পার্থক্য করা উচিত নয়। সাধারণত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করার কথা বলা হয়ে থাকে। অধ্যাপক ল্যাস্কি এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতানুসারে যুদ্ধের সময়েও ব্যক্তি অভিন্ন অধিকার ভোগ করবে। ল্যাস্কির মতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং যুদ্ধ হল অসঙ্গতিপূর্ণ।

সম্পত্তির অধিকার:

ল্যাস্কি সম্পত্তির অধিকারের কথাও বলেছেন। ব্যক্তির সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে তিনি সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতিকে সমর্থন করেছেন। কার্য সম্পাদনের সঙ্গে সম্পত্তির অধিকার আনুপাতিকভাবে সম্পর্কযুক্ত হওয়া আবশ্যক। একজনের শ্রমের ফসলের উপর অন্যজনের সম্পত্তির অধিকার স্বীকৃত হতে পারে না। আবার প্রয়োজনের থেকে অধিক সম্পত্তির উপর অধিকারও সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ সেক্ষেত্রে সামাজিক স্বার্থ বিপন্ন হবে। ল্যাস্কির মতানুসারে যে-কোন অধিকারের দাবি সর্বজনীন কল্যাণ সাধনের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ব্যক্তি মানুষ অধিকারের দাবি করতে পারে। সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। ল্যাস্কির অভিমত অনুসারে ব্যক্তির সম্পত্তির অধিকার যদি সর্বজনীন কল্যাণের পরিপন্থী না হয় তা হলে তা স্বীকার করা উচিত। প্রকৃত প্রস্তাবে সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে ল্যাস্কির ধারণা পৃথক প্রকৃতির। তিনি ব্যক্তি-মানুষের সম্পত্তির অবাধ অধিকারকে স্বীকার করেননি। অবশ্য ল্যাস্কির মতানুসারে কোন অধিকারই অবাধ নয়। সর্বজনীন কল্যাণ বা সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থী হলে যে-কোন অধিকারের উপর বাধা নিষেধ আরোপের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না।

অধিকারের সাম্য

অধিকারের সাম্যের প্রতি প্রবণতা: ল্যাস্কি অধিকারের সাম্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাঁর মতানুসারে ব্যক্তি মানুষের প্রকৃতির মধ্যেই অধিকারের ক্ষেত্রে সাম্যের ব্যাপারে একটা স্বাভাবিক আগ্রহ বা প্রবণতা থাকে। রাষ্ট্রের উচিত মানুষের এই প্রবণতাকে পরিতৃপ্ত করা এবং এই আগ্রহকে মর্যাদা দেওয়া। নিজেদের স্থায়িত্ব সংরক্ষণের স্বার্থেই রাষ্ট্রের কর্তব্য হল অধিকারের সাম্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। রাষ্ট্রের মধ্যে বৈষয়িক দিক থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থাকে। রাষ্ট্র যদি এই সমস্ত শ্রেণীর মানুষের অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে তারতম্য করে তা হলে রাষ্ট্রের মৌলিক উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্র তখন সমাজের সম্পত্তিবান শ্রেণীর স্বার্থ সংরক্ষণেই নিযুক্ত থাকবে। এই অবস্থায় রাষ্ট্র সকল নাগরিকের আনুগত্য অর্জন করতে পারবে না। রাষ্ট্রকে নাগরিকদের মধ্যে এই ধারণা গড়ে তুলতে হবে যে রাষ্ট্রীয় আইন বিষয়বস্তু, বক্তব্য এবং পদ্ধতিগত বিচারে ন্যায়বিচারের অনুপন্থী। এই প্রত্যয় জনমনে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে রাষ্ট্র সকল নাগরিকের আনুগত্য অর্জনে সক্ষম হবে।

বৈষম্যমূলক সমাজে আইন: শ্রেণী-বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থায় শোষণের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল অধিকারের অসাম্য। এ ধরনের সমাজব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে নাগরিকের অসম মর্যাদার ধারণা। ধনী-দরিদ্রে বিভক্ত সমাজে রাষ্ট্রীয় আইন সম্পত্তিবান শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষায় আত্মনিয়োগ করে। ল্যাস্কির মতানুসারে সামাজিক অবস্থানগত বিচারে নাগরিকদের মধ্যে যদি ব্যাপক বৈষয়িক বৈষম্য বর্তমান থাকে, তা হলে রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাঁর আরও অভিমত হল যে রাষ্ট্র আইনের মাধ্যমে অধিকারের ব্যবস্থাকে প্রসারিত করে না; প্রচলিত সুযোগ-সুবিধাগুলিকে কেবল বজায় রাখার ব্যবস্থা করে।

সুযোগ-সুবিধার বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা: ল্যাস্কির অভিমত অনুসারে সমাজের কোন একটি অংশকে বৈষম্যমূলক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা রাষ্ট্রের উচিত নয়। রাষ্ট্রীয় আইন এ রকম ভূমিকা পালন করলে রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হয়ে উঠবে। ল্যাস্কির মতানুসারে একজনের দাবিকে উপেক্ষা করে আর একজনের দাবিকে স্বীকার করা অনুচিত কাজ। নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে সমাজের সাধারণ কল্যাণের স্বার্থেই এই ব্যবস্থা।

অধিকারের সাম্য রাষ্ট্রের মতাদর্শের উপর নির্ভরশীল: যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য বর্তমান সেখানে অধিকারের সাম্য অসম্ভব। এ রকম রাষ্ট্রের কাছ থেকে নাগরিকরা অধিকারের সমমর্যাদা আশা করতে পারে না। অধিকারের সমতার সম্ভাবনা রাষ্ট্রের মতাদর্শগত ভিত্তির উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে অধিকারের সাম্য স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আর্থনীতিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সাম্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আর্থনীতিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সাম্য না থাকলে অন্যান্য অধিকারের ক্ষেত্রে সাম্য আশা করা যায় না। এই কারণে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় তথা উদারনীতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অধিকারের সাম্য অনুপস্থিত।