দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আধুনিক বাংলা কাব্য আন্দোলন যে নতুনতর পর্বের সূচনা ঘটিয়েছিল, সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে ত্রিশ-চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে। তবে ত্রিশের দশকে যে আধুনিকতার প্রত্নবীজ লক্ষ্য করা গিয়েছিল, পঞ্চাশের দশকে তা হয়ে উঠেছে অনেকটাই নব্য আধুনিক। শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমনই একজন কবি, যার কবিতা রচনা-জীবনের নিয়তি প্রতিম বিন্যাস, ত্রিশের দশকের প্রত্ন কবিতার ধারাকে একেবারে নব্য আধুনিকতার দ্বার প্রান্তে উপনীত করেছিল। আর এই নব্য আধুনিকতাই জীবনের ভিড় ও নিঃসঙ্গতাকে আশ্রয় করে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাকে করে তুলেছিল আত্মবিনাশী ক্ষয়ের প্রলয়ঙ্কর দিক নির্দেশক। নিঃসঙ্গতার এই ভয়াবহ বোধ সময় চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাকে দিয়েছিল সম্পূর্ণ নতুন এক ইতিবাচক ফলবান মুহূর্ত। যেখানে দাঁড়িয়ে ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের নতুন বোধিবৃত্ত তৈরি হয়ে যায়। সময়ের অন্য আমির আলোকময় অন্তর্জাগরণ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে নিয়তির তীব্র প্রকাশ হয়ে দেখা দিয়েছে বারবার। আর এখানেই তিনি পঞ্চাশের দশকের কবি হয়েও ত্রিশের প্রত্ন আধুনিকের উত্তরসূরি। কবি শঙ্খ ঘোষ শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে বলেছিলেন ‘কালের রাখাল’। দেশ-কাল সমাজের প্রবল অথচ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভগ্নাংশের মাঝে, গভীর অসুখের কালো অন্ধকারের মাঝেও তিনি লিখতে পারতেন,
বৃষ্টি নামলো যখন আমি উঠোন-পানে একা
দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম তোমার পাবো দেখা
হয়তো মেঘ বৃষ্টিতে বা শিউলি গাছের তলে
আজানুকেশ ভিজিয়ে নিচ্ছো আকাশ-ছেঁচা জলে
কিন্তু তুমি নেই বাহিরে অন্তরে মেঘ করে
ভারি ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে!
গভীরতর এই অসুখ অবক্ষয়ের মাঝেও শক্তি বুকের মধ্যে বৃষ্টি ঝরে পড়ার কথা শুনিয়েছেন আমাদের। এখানেই যেন যুগের আর পাঁচজন কবি শিল্পীর তুলনায় শক্তি যে অনেক বেশি জীবনের কথা বলেন, সেই কথাগুলি প্রমাণ হয়ে যায়। কিংবা যখন বলেন,
“একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো—
দেখবে নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
নীল পাথর লাল হচ্ছে লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করো।”
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতায় আত্মবীক্ষণের সহজ প্রয়াসটি এসেছিল মৃত্যুচেতনার হাত ধরেই। কবিতার মধ্যে আত্মজীবনের প্রক্ষেপটিকে তিনি সময়ের হাত ধরেই বেঁধে রেখেছিলেন। জীবন ও মৃত্যুর সাথে সম্পর্ক তৈরি করবার প্রবল বাসনা এবং পরিণামে জীবনের আলোকোজ্জ্বল পরিণতিকে বেছে নেওয়ার তাগিদেই কবি বলতে পারেন ‘ভাবছি ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো’। ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’ কবিতাটির মধ্যেও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই মৃত্যুচেতনা ক্রিয়াশীল ছিল। অবশ্য তাঁর সমগ্র সাহিত্যজীবন জুড়েই রয়েছে মৃত্যুর বিচিত্র লীলারঙ্গ। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রথম কবিতাটির নাম ছিল ‘যম’। এমন অদ্ভুত নামকরণ মৃত্যুর অনুষঙ্গই তুলে আনে। কিংবা মনে করা যেতে পারে, প্রচুর ‘এলিজি’ অর্থাৎ শোককবিতা লিখেছিলেন তিনি। এখানেও এসে গেছে মৃত্যুর অনিবার্য অনুষঙ্গ। আসলে খুব ছোটোবেলা থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে একটা চিরস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কবির। মামাবাড়িতে খুব কাছ থেকে শিশু বয়সেই দেখেছিলেন দাদু-দিদিমার মৃত্যু। এইসব মৃত্যুই পরিণত বয়সে কবিকে যেন কিছুটা মৃত্যুবিলাসী করে তুলেছিল। এ প্রসঙ্গে মনে আসে—
“মানুষের মৃত্যু হলে মানুষের জন্যে তার শোক
পড়ে থাকে কিছুদিন, ব্যবহৃত জিনিসেরা থাকে
জামা ও কাপড় থাকে, ছেঁড়া জুতো তাও থেকে যায়”
আসলে শৈশবে বড়ুর বিশ্বজাঙ্গালে মৃত বাবাকে দাহ করার স্মৃতি কবি সারা জীবন কখনও ভুলতে পারেননি। বন্ধু শম্ভুলাল বসাক ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার অবচেতনায় মৃত্যুছায়া প্রসঙ্গে লিখেছেন, “আধ মাইল দূরে ওই বিশ্বজাঙ্গাল। সেখান দিয়ে যেতে শক্তি ভীষণ ভয় পেত, পথে তা পড়লে শক্তি চোঁচোঁ দৌড়ে বাড়ি ফিরত। শক্তি জানত না, কেন ভয়তাড়িত এই দৌড়…..শক্তির মনে হত যে মরে যাবে।” মনে হয় সারাটা জীবন ধরে যেন মৃত্যুর দিকেই মুখ ফিরিয়ে বসে আছেন শক্তি।
“মৃত্যুর কথা আমরা সকলেই জানি মৃত্যু থেকে পার নেই
যেন তালকানা পাখি উড়ে এসে পড়বেই ফাঁদে।”
অথবা,
“কিছুকাল সুখ ভোগ করে হল মানুষের মতো
মৃত্যু ওর, কবি ছিল, লোকটা কাঙালও ছিল খুব।
মারা গেলে মহোৎসব করেছিল প্রকাশকগণ
কেননা লোকটা গেছে, বাঁচা গেছে, বিরক্ত করবে না
সন্ধেবেলা সেজে-গুজে এসে বলবে না, টাকা দাও
নতুবা ভাঙচুর হবে, ধ্বংস হবে মহাফেজখানা।”
লক্ষণীয় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অধিকাংশ কবিতা-কাব্যগ্রন্থের নামকরণেও মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবী প্রতীকী চেতনা সঞ্চারিত। ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’, ‘আমি চলে যাচ্ছি’, ‘ছবি আঁকে ছিঁড়ে ফেলে’, ‘বিষের মধ্যে সমস্ত শোক’, ‘আমি চলে যেতে পারি’ এই সমস্ত কাব্যগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। এই সমস্ত ভাবনা বা বিষয়ের সঙ্গে সংলগ্ন হয়ে থাকা মৃত্যুময় বিষাদ থেকে জেগে ওঠা স্বরগ্রামের ওঠানামা লক্ষ্য করতে করতে মনে হয়, তবে কি মৃত্যুমগ্নতাই শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার মূল সুর। কিন্তু না, আমাদের মনে হয় মৃত্যুময়তার অজস্র অনুষঙ্গ তাঁর রচনায় উঠে এসেছিল আত্মবীক্ষণের সহজাত প্রতিফলক হিসাবেই। যদি আজীবন মৃত্যুর জন্য পিঁড়ি পেতে বসে থাকতে চাইতেন কবি, তবে কি লিখতে পারতেন,
“কোলের কাঙাল আমি, পিপাসার্ত আমি,
কেবলি চন্দন চিতা আমন্ত্রণ করে ;
চলে এসো, অন্যথা কোরোনা।”
অথবা, লিখেছেন
“হাঁটতে শিখেছি সেই কবে থেকে, এখনো তোমার
হাতখানি ধরা চাই, বুঝে নেওয়া চাই—বুঝিব না
কিছুই ব্যতীত তুমি, একি অবলম্বনের ঘোর ।”
‘যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব’ কবিতাটিতেও মৃত্যু এমনই আত্মবীক্ষণের উজ্জ্বল পরিপোষক হিসাবেই উঠে এসেছে। আত্মবীক্ষণের পর্যায়গুলি পার হয়ে এসে কবি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন শীত থেকে বসন্তে, হলুদ পাতার ঝরে যাওয়া থেকে নবীন সবুজ কিশলয়ের উদ্গমে অথবা মৃত্যু থেকে জীবনের পরিবর্ধমান লাবণ্যে ফিরে আসবার জন্যেই কবিতাটির মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাটি এত জটিল। সহজেই বোঝা যায়, একটি দ্বিধা রয়েছে কবিতাটির প্রেক্ষিত জুড়ে, আর রয়েছে সেই দ্বিধা অতিক্রম করে যাবারও একটা দৃঢ় অঙ্গীকার। জীবনের অবিন্যস্ত প্রহরগুলি জড়িয়ে জড়িয়ে এক ধরনের বিলাসী মৃত্যুময়তা ছিল বলেই শেষ জীবনে যেন তথাকথিত এই মৃত্যুর বোধ থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। সমাজ সভ্যতার মানুষের বেদনার গহীন অনুভবগুলিকে এমন আশ্চর্য চিত্রময়তায় তিনি তুলে এনেছেন যার অনুরূপ ভাষাবিন্যাস একেবারেই বিরল। নির্বিশেষ অবক্ষয়কে স্বীকারোক্তির অপরিসীম সাহসে সারল্যময়তায় বিশেষ করে তুলেছেন কবি। সময় ও অসময়ের দ্বন্দ্ব আত্ম অনুশোচনার তীব্র দাবী নিয়ে উঠে এসেছে কবিতায়,
“এতো কালো মেখেছি দুহাতে
এত কাল ধরে
কখনো তোমার করে তোমাকে ভাবিনি।”
জীবনব্যাপী অনিয়ম, মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা পঞ্চাশবছর অতিক্রান্ত কবিকে ভাবিয়ে তুলেছিল। উদ্ভ্রান্ত জীবনের এই বিন্যাস বিধিসম্মতও ছিল না কোনোদিন। সাংসারিক দায়িত্বহীনতার বোধ, অবহেলার প্রচণ্ড প্রহরগুলি যখনই ভেসে উঠেছে চোখের সামনে, তখনই যন্ত্রণা ও আক্ষেপে ভরে গেছে হৃদয়। আসলে কি সামাজিক, কি পারিবারিক সকল ক্ষেত্রেই অবহেলার এই উত্তুঙ্গ পারদ স্তর দেখে কবির মনে হয়েছে এইসব পংক্তি। ‘সোনারবাংলা’ পত্রিকার ২৬শে মার্চ ১৯৯৫-তে সমালোচক ক্ষেত্র গুপ্তের একটি উক্তি এ প্রসঙ্গে মনে আসে, “আমাদের প্রতিদিনের বাঁচার দু’পাশে আমরা অনেক মনুষ্যত্বনাশী কলঙ্ক ছড়িয়ে যাই চাই কি-না চাই, গ্লানির মধ্যে বাঁচি, অপরের পীড়নের মধ্য দিয়ে রসদ জোগাড় করি। মানব সভ্যতার একবিংশ শতকের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই পাপের তাপের কালিমা দুহাতে মেখে বসে আছি।” স্বেচ্ছাচারী মানুষের পাপের কালিমা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়েরও লেগেছিল। নিজেকে তিনি স্বেচ্ছাচারী বলেছেন, বহুবার। কিন্তু সচেতনার সেই বোধ থেকেই এক ধরনের অনুতাপ-অনুশোচনা দানা বাঁধতে থাকে। একাকীত্বের বোধ থেকে বেরিয়ে আসবার আকুলতাই প্রিয় মানুষ, সন্তান, পাহাড়-জঙ্গল, অরণ্য প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কবিকে বারবার জীবনের পথে ডেকে নিয়ে যায়। জীবন ও মৃত্যুর দ্বৈত টানা পোড়েনই কবিতাটির পরবর্তী অংশে ছায়া ফেলেছে।
‘এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালে
চাঁদ ডাকে : আয় আয় আয়
এখন গঙ্গার তীরে ঘুমন্ত দাঁড়ালে
চিতাকাঠ ডাকে : আয় আয়”
দ্বৈত পদচারণার ওলোট পালট এগিয়ে চলাটি পরবর্তী স্তবকে এসে যেন জীবনের মাটিতেই বলিষ্ঠভাবে স্থিতি পায়। আত্মবিশ্বাসী কবি জীবনের মাটিতে পা রাখবেন বলেই মৃত্যুর ক্ষয়িষ্ণু দোলাচলতাকে কাটিয়ে ওঠেন। উচ্চারণ করেন আত্মপ্রত্যয়ী উক্তি,
“যেতে পারি
যে-কোনো দিকেই আমি চলে যেতে পারি
কিন্তু, কেন যাবো ?”
এই স্বেচ্ছাচারী মানসিক আবিলতা থেকে চেতনার ক্রমমুক্তি, জীবনেরই অন্য অঙ্গীকার। যে অঙ্গীকার রয়েছে সন্তানের প্রতি সহজ বাৎসল্যে। কবি এই স্বপ্ন আর ভালোবাসায় ভরা ভুবন ছেড়ে, অনাগত অথচ সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন না বলেই, প্রচণ্ড ভালোবাসার অন্তর্মেদুরতায় বলেছেন, ‘সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো । অথবা কখনও তীব্র সংবদেনশীলতায় বলেছেন, “যদি কৃপা করো, যাই সন্তানের মুখ দেখে আসি।” সন্তানকে কেন্দ্র করে কবির এই যে জীবন-ভাবনা তা একটি সমগ্রতা পায়, যখন কবি সার্বিক ‘তোমাদের শব্দটি ব্যবহার করেন। আসলে পারিবারিক মমতাময় সম্পর্কগুলিকে নিবিড়ভাবে পেতে চেয়েছিলেন কবি, তাই বিচ্ছিন্ন একক জীবন নয় স্ত্রী ও সন্তান পরিবৃত্ত জীবনকেই ‘তোমাদের’ শব্দগুচ্ছে ব্যবহার করলেন, বললেন ‘তোমাদের সঙ্গে নিয়ে যাব।
আসলে বোহেমিয়ান, চূড়ান্ত ছন্নছাড়া জীবন ছেড়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় জীবনের ভরকেন্দ্র খুঁজে পেয়েছিলেন এ কবিতায়। ‘কালের রাখালে’ শঙ্খ ঘোষ বলেছেন, “হৃদয়ের যে আর্তনাদ দিয়ে, বন্ধন হারা যে সমর্পণ দিয়ে অথচ উন্মাদক এক ভালোবাসার যে আসক্তি দিয়ে ওই কবিরা দেশের সাধারণ মানুষকে সহজে টেনে নিতে পারেন, তাদের লিরিকের দিকে শক্তির কবিতার মধ্যে ওতপ্রোত লিপ্ত হয়ে আছে সেই মরমিয়া আবেগের চোরাটান”। যথার্থই ভালোবাসার মরমিয়া আবেগের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
জীবনের ভালোবাসার শিকড় যদি আঁকড়ে থাকে মানুষকে, তাহলে দ্বিধান্বিত মানুষের চলে যাওয়ার, ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা নিরর্থক হয়ে যায়। জীবনের অন্ধকার কানাগলি হয়ে যায় আলোকোজ্জ্বল বারান্দার মতো মূল্যবান। এই একটা বিষয়ই যদি পাওয়া যায় সমগ্র জীবন জুড়ে। তাহলে বেঁচে বর্তে থাকার জন্য আর কিছুই তেমন লাগে না। একথায় বিশ্বাস ছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের। তাই সহস্র মৃত্যুযন্ত্রণা, মৃত্যুচেতনা, অসম্মানের তীব্র শরশয্যাকে আত্মবীক্ষণের মধ্য দিয়ে সংহতরূপ দিতে দিতেই জীবনের নঞর্থকতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। অজস্র মৃত্যু শক্তি পার করে এসেছিলেন বলেই ‘যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব’ কবিতাতেও উচ্চারিত হয়েছে ইতিবাচক আকাঙ্ক্ষা। কারণ একাকীত্বের যন্ত্রণাকে তিনি ভীষণ ভয় পেতেন। আর সে কারণেই মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কবি প্রিয় নারী ও সন্তানের স্নেহনীড়ে ফিরে যেতে চেয়েছেন। একাকী অসময়ে চলে যেতে চাননি। আর গেলেও তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছেন।
Leave a comment