সাহিত্য-সমালোচনা ও সমালোচনার আদর্শ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মত বিচার করো।
যুক্তিশাস্ত্রের এটা একটা দীর্ঘদিনের সুপ্রতিষ্ঠিত ও সর্ববাদীসম্মত প্রথা যে, কোনো একটি তত্ত্ব প্রতিপাদনের সময় প্রথমেই গুটিকয় প্রাসঙ্কি দৃষ্টান্ত সামনে রেখে আলোচনায় অগ্রসর হলে প্রতিপাদ্য বিষয়টি বুঝতে এবং বোঝাতে উভয় দিকে থেকেই অনেক সহজ হয়। এই সুপ্রথাটি শিরোধার্য করে আমরা উপস্থিত প্রসঙ্গের আলোচনায় প্রথমেই তিনটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করছি।
মনে করা যাক, পাশাপাশি তিনটি ঘরে তিনটি আলোচনা সভা বসেছে। তিন সভারই আলোচনার বিষয় অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু তত্ত্ব, যার মধ্যে আমাদের আলোচ্য-প্রসঙ্গের বিষয়গুলিই প্রধান।
প্রথম ঘরের আলোচনা সভায় একজন দাবি করছেন, যে-জলকে এতদিন আমরা একটি মৌলিক পদার্থ বলে জেনে এসেছি, সেই জল আসলে আদৌ মৌলিক নয়, এটি একটি যৌগিক পদার্থ : হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন নামক দুটি পৃথক গ্যাসের সমষ্টি—দু-ভাগ হাইড্রোজেন আর এক-ভাগ অক্সিজেন। দাবিটা অধিকাংশ শ্রোতারই তেমন মনঃপূত হল না। তাঁরা বললেন, এটা একটা সৃষ্টিছাড়া কথা ! অপ্ বা জল যে একটি মৌলিক পদার্থ, এটা আমরা মানব সভ্যতার ঊষাকাল থেকে জেনে এসেছি। তখন এই নতুন তত্ত্বের দাবিদার হাতের কাছে রাখা একটি যন্ত্রপাতির বাক্স থেকে তিনটি কাচের টিউব এবং একটি বিদ্যুৎচালক যন্ত্র বার করে প্রথম দুটো টিউবের ভিতর থেকে তৃতীয় টিউবটায় দুভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেন গ্যাস মিশিয়ে তাতে বিদ্যুতের চার্জ দিলেন—গ্যাস দুটো মিলে জলের আকার ধারণ করলো। অতঃপর তাঁর প্রতিপাদ্যের বিরুদ্ধে আর কারুর কোনো প্রতিবাদের জো রইল না।
দ্বিতীয় ঘরের সভাটি হচ্ছে একটি সাহিত্য চক্র। পৃথিবীর বহু প্রথিতযশা রসবেত্তা এই সভায় অংশ নিয়েছেন। সেখানে আলোচনা চলছে দেশ-বিদেশের ক-টি চিরায়ত সাহিত্যকৃতি নিয়ে। একজন সাহিত্য-পণ্ডিত প্রস্তাব তুলেছেন, তিনি অনেক দেশের অনেক সমালোচকের সঙ্গে মতের আদান-প্রদানের পর এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে শেকসপিয়র হচ্ছেন পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যশিল্পী ; শেলীর কাব্যে রোমান্টিক মাসের সর্বোত্তম বিকাশ ঘটেছে, আর সংস্কৃত সাহিত্যে জয়দেবের কাব্য-প্রতিভা প্রায় কালিদাসের সমকক্ষ। প্রস্তাবটি সর্ব-সম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যাবার আগেই তিনজন দোর্দণ্ড-প্রতাপ সাহিত্য মহারথী পর পর দাঁড়িয়ে এ-প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করলেন।
একজন বললেন, শ্রেষ্ঠ হওয়া দূরে থাক, শেকসপিয়রকে আমি শিল্পী হিসাবেই গণ্য করি না। সে একজন সাধারণ বিনোদক, entertainer মাত্র। সে শুধু মানুষের আদিম বৃত্তিগুলিকে নিয়েই নাড়াচাড়া করেছে। কিন্তু শুধুমাত্র বিনোদিত করাই আর্টের উদ্দেশ্য নয়। আর্টের পরম লক্ষ্য হচ্ছে— “It is a means of union among men, joining them together in the same feeling and indispensible for the life and progress towards well-being of individuals and of humanity.” (What is Art). এই মানবমঙ্গলের চিহ্নমাত্রও শেকসপিয়রের রচনাতে নেই।
দ্বিতীয় জন বললেন, আমারও অনুরূপ অভিমত শেলী সম্বন্ধে। শেলীকে আমি বড়ো জোর একজন আবেগ-আতুর পদ্য-লেখক বলতে পারি মাত্র। কিন্তু খাঁটি কবি বলে তাঁকে মান্য করতে আমি আদৌ প্রস্তুত নই। শব্দে (Words) আর ইমেজারিই হল কবির হাতে একমাত্র উপকরণ, একমাত্র tools—এগুলিকে কবি ব্যবহার করবেন পুরোপুরি একজন ভাস্করের নিষ্ঠা আর শৃঙ্খলা-পরায়ণতা নিয়ে। Poetry should be judged line by line, image by image, and truth of poetry is to be sought in the texture of the poem, এদিক থেকে শেলীর ইমেজগুলির কোনো সার-পদার্থই নেই। কেবল হৃদয়াবেগের বেলুন ফোলানোই কবিত্ব নয়।
তৃতীয় জনের মন্তব্য, আমার আপত্তি জয়দেব সম্বন্ধে। কারণ, ‘যাঁহার কাব্যের বিষয় প্রেমের তামসিক ভাব, মানবদেহের সৌন্দর্য যাঁহার দৃষ্টিতে ততটা পড়ে না, যিনি মানবদেহকে কেবল ভোগের বিষয় বলিয়াই মনে করেন, প্রকৃতির সৌন্দর্যের সহিত যাহার সাক্ষাৎ পরিচয় নাই, যিনি বর্ণনা করিতে হইলেই শোনা কথা আওড়ান, যাঁহার ভাষায় কবিত্ব অপেক্ষা চাতুরি অধিক—এক কথায় যাঁহার কাব্যে স্বাভাবিকতা অপেক্ষা কৃত্রিমতাই প্রাধান্য লাভ করিয়াছে তাঁহাকে আমি উৎকৃষ্ট কবি বলিতে প্রস্তুত নাহি। (প্রবন্ধ সংগ্রহ, ১ম খণ্ড)
এই কাল্পনিক সবার সদ্যোক্ত প্রতিবাদী বক্তা তিন জনের নাম যথাক্রমে-লেভ টলস্টয়, টি. এস. এলিয়ট এবং প্রমথ চৌধুরী।
এইবার তৃতীয় ঘরের সভাটিতেও একটু উঁকি মেরে দেখা যাক। এই সভাটি ঠিক সাহিত্য সভা না হলেও লেখকদের সভা বটে। সভার ডেলিগেটগণ সকলেই বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিত। এঁরা সকলেই আধুনিক যুগের বহু জ্ঞাতব্য বিষয়ের উপর অতিশয় সুখপাঠ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা-গ্রন্থ লিখে থাকেন। এ সভার একজন সদস্য বক্তৃতা না করে তাঁর বক্তব্যের একটি মুদ্রিত পুস্তিকা সকলের হাতে ধরিয়ে দিলেন। পুস্তিকাটি সকলেই খুব মন দিয়ে পড়লেন, কারণ লেখাটির প্রসাদ-গুণ অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু পড়ার পর শুধু একজন মাত্র সদস্যই উঠে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, চমৎকার ! আইডিয়াটিও যেমন চিত্তাকর্ষক, তেমনই এর যুক্তির সুশৃঙ্খল পারম্পর্য ও মনোরম বিন্যাস, পরিবেশনের ঢটিও ভারি সুখপাঠ্য। ইনি ব্যতীত সভার অন্যান্য সদস্যদের কারুর মুখে কোনো ভাবান্তরই দৃষ্ট হল না ; অথচ প্রত্যেকেই তাঁরা এক-একজন দিগ্গজ পণ্ডিত। কেউ প্রখ্যাত শারীরবিদ, কেউ রসায়ন শাস্ত্রী, কেউ জীববিজ্ঞানী, কেউ মনস্তত্ত্ববিদ্। প্রবন্ধটি ছিল উচ্চ গণিত বিষয়ক কোনো দুরূহ তত্ত্বের। যার মুখে প্রবন্ধটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তিনি ছিলেন, এই তত্ত্বের একজন সুপরিচিত বিশেষজ্ঞ।
সাহিত্য বিচার বা সাহিত্য সমালোচনার প্রকৃতি ও আদর্শ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব অভিমত সম্পৰ্কীয় প্রায় সমস্ত প্রদান বক্তব্যগুলির ব্যাখ্যাই মনে হয় আমরা আমাদের এই কাল্পনিক সভা তিনটির কার্যবিবরণী থেকে পেয়ে যাবো। যথা—
(১) প্রথম সভার বিষয়টা ছিল ফলিত বিজ্ঞানের। ওখানকার বিচার পদ্ধতির সমস্ত ব্যাপারটাই হচ্ছে প্রাকৃত বস্তুর প্রত্যক্ষ গোচর প্রমাণের উপর। যুক্তিশাস্ত্রে এই বিচারের নাম হচ্ছে factualjudgement বস্তুগত বিচার। বিশ্বপ্রকৃতিতে বস্তুগতভাবে অর্থাৎ objectively যা ঘটছে, কেবল তার ঘটমানতার যথাযথ প্রতিবেদন। কিন্তু কলা ও সাহিত্য হচ্ছে অপ্রত্যক্ষকে প্রত্যক্ষত প্রতীয়মান করানো। সেটা মনোগত (subjective) প্রকৃতির বিষয়। অতএব, সাহিত্যের কোনোরূপ factual judgement হতে পারে না।
(২) মনোগত বিষয়, অতএব সাহিত্যের বিচারও মনোগতই হবে। এই বিচারই হচ্ছে মূল্যায়ন, value judgement. এরূপ বিচারে বিচারকদের মধ্যে ঐক্যমত হওয়া সর্বক্ষেত্র সম্ভব নাও হতে পারে। এমনকি, চিরায়ত সাহিত্যের চিরায়ত বিচারকদের মধ্যে। বিভিন্ন বিচারালয়ে বিভিন্ন প্রকারের রায় ; যেটার পরিচয় আমরা উপরোক্ত দ্বিতীয় ঘরের অধিবেশনে পেয়েছি। কিন্তু সাহিত্যের সর্বকালীন ও শাশ্বত মূল্য সম্বন্ধে একটা পাকা রায় তো চাই! নিম্নে আদালতের বিচারকদের মধ্যে যত মতদ্বৈধই থাকুক। সেটা আমরা কোথায় গিয়ে পাবো ? পাবো মহাকালের সর্বোচ্চ আদালতে। এই সর্বোচ্চ আদালতের রায়েই আমরা দেখতে পাচ্ছি টলস্টয়, এলিয়ট এবং প্রমথ চৌধুরীর মতো সাহিত্য-বিচারে সর্বকালের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদের বিচারও নাকচ হয়ে গিয়েছে। বিশ্বমানবের রসোপভোগের অমরাবতীতে শেকসপিয়র, শেলী এবং জয়দেব তাঁদের স্বমহিমাতেই সুপ্রতিষ্ঠিত আছেন। তাঁদের সেই আসন থেকে তাঁরা এতটুকুও হেলেননি বা টলেননি।
তবে এই দ্বিতীয় ঘরের সভায় সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় নি। যে বিচারক যে রায়ই দিন, সেই রায়দানের আগে তাঁরা তাঁদের স্ব-স্ব সিদ্ধান্তের কারণ এবং পটভূমিটি প্রত্যেকেই সবিস্তারে বিবৃত করেছেন। অর্থাৎ সর্বাগ্রে তাঁরা সাহিত্যের প্রকৃতি, তার উপকরণ ও যাবতীয় সাজ-সরঞ্জাম, সে সবের উপযোগিতা ও গঠন-পদ্ধতি এবং তার চরম মানবিক লক্ষ্য ইত্যাদি সম্বন্ধে একটি তত্ত্ব উপস্থাপিত করেছেন, তারপর সেই তত্ত্বের তুলাদণ্ডে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওজন করেছেন। শুধু সাহিত্য বিচার নয়, যে-কোনো প্রকার বিচারেরই ওইটেই হচ্ছে প্রথম শর্ত। বিচারের আগে বিচারের মাপকাঠিটি সামনে রাখতে হবে।
‘সাহিত্য’ পুস্তকের সবকটি রচনাই হচ্ছে সাহিত্য-বিচারক রবীন্দ্রনাথের সেই মূল্যায়নের মানদণ্ড, অর্থাৎ তাঁর নিজস্ব সাহিত্য-তত্ত্ব। এই তত্ত্ব থেকে এ পর্যন্ত আমরা জেনেছি, তাঁর বিচারে সাহিত্যের স্বরূপ কী, কোন্ গুণে শব্দ-গ্রন্থনা প্রতিবেদন না হয়ে রসাত্মক হয়ে ওঠে, কী সাহিত্যের উপাদান ও উপকরণ, কাকে বলে রচনাকৌশল যার দ্বারা সাহিত্যকার স্মরণীয় হয়ে টিকে থাকেন। সবশেষের কথাটি হল, আমাদের এই আলোচ্য প্রসঙ্গটি—সাহিত্যের পরম সিদ্ধি হল, তার বিশ্বমনস্ক হওয়া চাই। তার মধ্যে এমন একটা নিত্যবস্তু থাকা চাই সার্বিক এবং শাশ্বত। জ্ঞাতসারে হোক কী অজ্ঞাতসারেই হোক, সকল সৃষ্টিধর্মী আর্টিস্টেরই চরম লক্ষ্য হচ্ছে সেই ধ্রুবলোকের উপর।
এবারে তৃতীয় ঘরের আলোচনার বিষয়। সেখানে আমরা রবীন্দ্রনাথের কোন বক্তব্যের সমর্থন পাই? পাই সেই কথাটিরও যে সাহিত্য বিচারের, একটা বিশেষ প্রতিভার প্রয়োজন। প্রয়োজন, সমকালের সৃষ্টিকে চিনতে পারার মতো একটি অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন সর্বকালদর্শী মন। সাহিত্য বিচারের ব্যাপারটাও যখন একটি যুক্তিসিদ্ধ তত্ত্ব—তা তাকে অলংকারশাস্ত্রই বলি বা রসশাস্ত্রই বলি বা কী নন্দনতত্ত্বই বলি। সেটা হেথা-সেথা কুড়িয়ে পাওয়ার জিনিস নয়, সেই মনও পড়ে পাওয়ার বস্তু নয়। সেটা আয়ত্ত করতে হলেও একটা দীর্ঘ ও গভীর অনুশীলন সাপেক্ষ শিক্ষার প্রয়োজন। সাহিত্য মনের সৃষ্টি বলেই, যার মনে যা এল তা বলাই সাহিত্যের বিচার নয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সমকালীন বিচারের ক্ষেত্রে এইটেই হচ্ছে সাহিত্যকদের সাধারণ ললাট-লিপি সমকালীন বিচারালয়ে সাহিত্যকারকে উপস্থিত হতেই হয়, কারণ তাঁর প্রথম লক্ষ্য সমকালেরই পাঠক। কিন্তু সে পাঠকদের মধ্যে সর্বকালীন প্রতিভা চেনার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষের সংখ্যা অতীব অল্প। হাঁকডাক করা আনাড়ির সংখ্যাই বেশি। এদের যোগ্যতা খুব বেশি হলে, সাহিত্য সরস্বতীর মন্দিরের দারোয়ানের মতো। এরা গলার জোরে মন্দির প্রাঙ্গণের রবাহুতের ভিড়টা কোনো মতে সামাল দিয়ে মন্দিরের সাময়িক অরাজকতাটাকে কিছুটা প্রতিহত করতে পারেন বটে, কিন্তু প্রকৃত অধিকারীকে অধিকাংশ সময়ে চিনতে পারেন না। এর উপরে আবার আছে বিচারের ব্যাবসাদারি, ঘুস ও ঘুসির কারবার অর্থাৎ দলাদলি ও দালালি এবং বিচার প্রার্থীদের নানাবিধ মনভোলানো চটক। এই চটকটা কী জাতীয়, সেকথা রবীন্দ্রনাথ অবশ্য ভেঙে বলেন নি। শুধু বলেছেন গাড়ি-জুড়ি আর ঘড়ি চেনের জাঁকজমক। কিন্তু ব্যাপারটা আমরা আন্দাজ করতে পারি। চট্টকটা হচ্ছে বিজ্ঞাপনের। যেটা অনেক সময় সংবাদপত্রীয় রিভুয়ের ছদ্মবেশেও আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
কিন্তু আসলে এঁরা সকলেই হচ্ছেন দেবীর মন্দিরের শুধুমাত্র দেউড়ি আগলানো লোক। গর্ভমন্দিরে প্রবেশের অধিকার এঁদের কারুরই নেই। সে অধিকার যাঁদের আছে, তাঁদের রিক্তবেশ হলেও দেবীর স্নেহাশীর্বাদ তাঁরাই শুধু পান। এঁদের মধ্যে এক-একজনকে দেবী কোলেও স্থান দেন। কারণ নিত্যবস্তুর অঞ্জলি দিয়ে দেবী আরাধনার সাধনা এঁদের আছে। এঁরাও সাধক। চিরায়ত সাহিত্যের স্রষ্টাদের মতো এঁরাই তাই সরস্বতীর সন্তান।
Leave a comment