সূচনা: ‘খলিফা’ শব্দটির অর্থ হল প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। হজরত মহম্মদ (সাঃ) ছিলেন ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা এবং ওই ধর্মমত অনুসারে সর্বশেষ নবি বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি। নবিজির উত্তরাধিকার হিসেবে খলিফা পদ প্রবর্তিত হয়।
[1] মহানবির নির্দেশ: নবিজি তাঁর জীবিতকালে বলেছিলেন, “পূর্বে একজন পয়গম্বরের অন্তর্ধানের পর আর-একজন পয়গম্বর তার স্থান দখল করতেন। এরপর তােমাদের মধ্যে থেকেই খলিফাগণ অগ্রগামী হবেন। নবিজির এই নির্দেশ মেনেই খলিফা পদ ও খলিফা যুগের সূচনা ঘটে।
[2] উত্তরাধিকার সমস্যা: হজরত মহম্মদ (সাঃ)-এর কোনাে জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় তার মৃত্যুর পর নতুন ইসলামি রাষ্ট্রের শাসক ও রাষ্ট্রনেতা কে হবেন, তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই খলিফা পদ লাভের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
[3] হজরত ওমরের সমর্থন: নানা আলাপ ও আলােচনার পর হজরত ওমর, হজরত আবুবকরের প্রতি নিজের সমর্থন জানান। এসময় হজরত আলির কিছু সমর্থক নবিজির পরিবারের মধ্যে থেকে কাউকে খলিফা করার দাবি জানালেও শেষপর্যন্ত খলিফা পদে হজরত আবুবকরকেই অধিকাংশ মানুষ সমর্থন জানান।
[4] খােলাফায়ে রাশেদিন: নবিজির তিরােধানের পরবর্তী ত্রিশ বছর ইতিহাসে খােলাফায়ে রাশেদিন যুগ (৬৩২ খ্রি. থেকে ৬৬১ খ্রি.) বা মহান ও পবিত্র খলিফাদের যুগ নামে পরিচিত। এই ত্রিশ বছরের সময়কালে চারজন খলিফা ইসলামি প্রজাতন্ত্র পরিচালনা করেন। এঁরা হলেন一
-
প্রথম খলিফা: হজরত আবুবকর (রাঃ), সময়কাল ৬৩২-৩৪ খ্রি.।
-
দ্বিতীয় খলিফা: হজরত ওমর ফারুক (রাঃ), সময়কাল—৬৩৪-৪৪ খ্রি.।
-
তৃতীয় খলিফা: হজরত ওসমান গনি (রাঃ), সময়কাল ৬৪৪-৫৬ খ্রি.।
-
চতুর্থ খলিফা: হজরত আলি (রাঃ), সময়কাল৬৫৬- ৬১ খ্রি.।
কোরান ও সুন্নাহর ভিত্তিতে এই চারজন খলিফা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন বলে তারা ‘খােলাফায়ে রাশেদিন’ নামে পরিচিত।
Leave a comment