বুড়াে কর্তা মারা যাওয়ার সময় দেশের সমস্ত লােক তাকে জানাল যে, তিনি চলে যাওয়ার পর তাদের অবস্থা করুণ হয়ে পড়বে। এ কথা শুনে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ দুঃখ পেলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর দেশসুদ্ধ লােক কীভাবে নিশ্চিন্তে থাকবেসেই চিন্তায় তিনি ভাবিত হলেন।
ভগবান তাই দয়ালু হয়ে জানালেন যে, চিন্তার কিছু নেই। কর্তাই আবার ভূত হয়ে দেশসুদ্ধ লােকের ঘাড়ে চেপে থাকবেন। কারণ, মানুষের মরণ থাকলেও প্রেতের মৃত্যু নেই।
এ কথা শুনে দেশের লােক খুব নিশ্চিন্ত হল। কারণ, ভবিষ্যৎকে অর্থাৎ আগামীকে মানার ক্ষেত্রেই ভাবনাচিন্তার প্রশ্ন আসে, ভূতকে অর্থাৎ অতীতকে মানার ক্ষেত্রে তেমন কোন দুশ্চিন্তা থাকে না। সেক্ষেত্রে সমস্ত ভাবনাচিন্তা ভূত অর্থাৎ প্রেতের ওপর দিয়ে দেওয়া যায়। আবার, ভূতের যেহেতু মাথা নেই, তাই কারও জন্য মাথাব্যথা অর্থাৎ দুশ্চিন্তাও নেই তার।
আর, স্বভাবতই যারা নিজের মতাে করে কিছু চিন্তাভাবনা করে, তাদের ভূতের কানমলা খেতে হয়। কিন্তু সেই বিনা- অপরাধে শাস্তি ‘র জন্য কোথাও অভিযােগও করতে পারে না ওই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা। কেননা, ভূতের বিরুদ্ধে বিচার করার কোনাে ব্যবস্থাই যে নেই।
দেশসুদ্ধ লােক তাই ভূতে-পাওয়া দশায় চোখ বুজে জীবন কাটাতে থাকে। দেশের তত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন মানুষেরা বলেন যে, চোখ বুজে চলাই হল পৃথিবীর অতি প্রাচীন চলন। এই চলাকেই বলে নিয়তির নিয়মে চলা। বিশ্বসৃষ্টির প্রথম যুগে অন্ধ এককোশী প্রাণীরা তেমনভাবেই চলত। ঘাস থেকে শুরু করে সমস্ত প্রকারের উন্নত গাছের মধ্যে তেমনই চলনের ইঙ্গিত দেখতে পাওয়া যায়।
তত্ত্বজ্ঞানীদের এই তত্ত্বকথা শুনে ভূতে-পাওয়া দেশবাসী তাদের সুপ্রাচীন কৌলীন্য এবং আভিজাত্যকে উপলদ্ধি করে। নিজেদের ঐতিহ্যের এই বিস্তারে তারা আনন্দিত হয়।
ভূতের প্রতিনিধি ভূত শাসিত কারাগারের দারােগা। সেই কারাগারের প্রাচীর অবশ্য চোখে দেখা যায় না। একারণে সেখানে যেসব মানুষ বন্দি থাকে, তারা বুঝে উঠতে পারে না যে, কীভাবে সে-প্রাচীরে ছিদ্র করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। ভূত-নিয়ন্ত্রিত কারাগারেও অপরাধীদের ঘানি ঘােরাতে হয়। তবে অবিরাম ঘুরিয়েও সেখানকার ঘানি থেকে এক ছটাক তেলও বের হয় না, যে তেল হাটে বিক্রি হবে। সেই ঘানি ঘােরালে বের হয় কেবল ঘানি চালকের তেজ ও শক্তি। সেই শক্তি শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে মানুষ ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে, ভূতের রাজত্বের এই ব্যবস্থায় মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সংস্থান হয়তাে হয় না, কিন্তু সমাজে শান্তি বিরাজ করে।
অন্য দেশগুলিতে যেখানে ভূতের উপদ্রব দেখলে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওঝার খোঁজ করে, এ দেশের মানুষের সে বালাই-ও নেই। কেননা, এদেশের ওঝাদের অর্থাৎ, যাঁদের ভূত তাড়ানাের কথা, তাঁদের আগেভাগেই যে ভূতে পেয়ে বসেছে।
এভাবেই এদেশের মানুষের দিন কাটছিল। ভূতের দেশ শাসন-প্রণালী নিয়ে কারও মনে কোনাে সংশয় ছিল না। দেশবাসী সবসময় এই আত্মশ্লাঘা বা গৌরব অনুভব করত যে, পালিত মেষের মতােই তাদের ভবিষ্যৎ চিরদিনের জন্য ভূতের খোঁটায় বাঁধা। খোঁটায় বাঁধা পােষা মেষ যেমন ভ্যা বা মা না করে মাটিতেই পড়ে থাকে, এদের ভবিষ্যৎও তেমনি, যেন একেবারে চিরকালের মতাে মাটি। কেবল খুব সাধারণ একটা ভাবনার কারণে একটা অসুবিধার সৃষ্টি হল। অসুবিধাটা হল এই যে, পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষদের তাে ভূতে পায়নি। তাই অন্য দেশগুলিতে জেলে বা জেলের বাইরের ঘানি থেকে যে তেল বের হয়, তা ওই দেশের রথের চাকাকেই গতিশীল করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। সংগত কারণেই বিদেশিরা একেবারে শীতল হয়ে যায়নি। তারা অত্যন্ত জাগরূক রয়েছে। কিন্তু এদেশের ঘানি থেকে তাে তেল বের হয় না, ঘানি-পেষণকারীর রক্তই কেবল সেখান থেকে বেরিয়ে আসে; আর সেই রক্ত ভূতের মাথার খুলিতে ঢালতেই ব্যবহৃত হয়।
মনােরম, ঠান্ডা আবহাওয়ার ভূতের রাজ্যে তাই প্রায়শই শােনা যায় খোকা ঘুমােলাে, পাড়া জুড়ােলাে-এই ছেলেভুলানাে ছড়া। এমন ছড়া খােকার পক্ষে সুখের, খােকার অভিভাবকের পক্ষেও বটে। কিন্তু ছড়াটির পরবর্তী অংশে আছে— বর্গি এল দেশে। ছড়াকার ছন্দ মেলানাের জন্যও বটে, আবার ইতিহাসের ক্রমকে যথাযথ রাখতে এই অংশটির উল্লেখ না করে পারেননি। দেশবাসী শিরােমণি, চূড়ামণি প্রভৃতি উপাধিপ্রাপ্ত সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের তবু এমনটা ঘটার কারণ জিজ্ঞাসা করে। পণ্ডিতের দল তার উত্তরে টিকি নেড়ে জানান যে, সেটি ভূতের বা ভূতশাসিত দেশের দোষ নয়, সে দোষ বর্গিদেরই। বর্গিদেরই দেশে আসা অন্যায় হয়েছে। পণ্ডিতদের এই উত্তরে দেশবাসী নিশ্চিন্ত হয়, আশ্বস্তও বােধ করে।
দোষ থাক আর নাই থাক, বাড়ির খিড়কির গলিঘুঁজিতে যেমন থাকে ভূতের পেয়াদা, ঠিক তেমনি বহির্বাটির রাস্তাঘাটে অভূতের অর্থাৎ বাস্তব জগতের পেয়াদা ঘুরে বেড়ায়। তাই ভূতের দেশের গৃহস্থ ঘরেও সুস্থ থাকতে পারে না, বাইরেও বেরােতে পারে না। কেন-না, উভয়েই যে তাকে বারংবার বলতে থাকে, খাজনা দাও। তাই, অন্তরে এবং বাইরে, হৃদয়ক্ষেত্রে এবং সামাজিক জীবনে সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে।
কিন্তু ছড়াতে রয়েছে, খাজনা দেব কিসে।
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম—চারদিক থেকেই আসা বুলবুলি পাখি যে এতদিন ধরে সমস্ত ধান খেয়ে গেল, সে ব্যাপারে কারও চৈতন্য ছিল না। এদিকে, সতর্ক ও সচেতন জগৎবাসী যারা, তাদের সঙ্গে সাধারণ দেশবাসী ঘনিষ্ঠ হতে চায় না। কেননা সেক্ষেত্রে প্রায়শ্চিত্ত করতে হতে পারে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তারাই সচেতন মানুষের কাছাকাছি আসে অথচ প্রায়শ্চিত্ত করতেও অস্বীকার করে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতমণ্ডলী শাস্ত্র খুলে বলেন যে, অচেতন যাঁরা, তাঁরাই পবিত্র ও শুদ্ধ। সচেতন ও সতর্ক যাঁরা, তারাই অপবিত্র ও অশুচি। তাই সচেতনদের প্রতি আসক্তিহীন থাকা প্রয়ােজন। চেতনাপ্রাপ্ত ব্যক্তিমাত্রেই ঘুমন্ত।
তবুও অনিবার্যভাবে এ কথা উঠেই আসেখাজনা দেব কিসে।
শবস্থান থেকে, বধ্যভূমি থেকে আসা ঝােড়াে হাওয়া হা হা শব্দ করে উত্তর দেয়—শ্লীলতা দিয়ে, সম্ভ্রম দিয়ে, বিশ্বাস দিয়ে এবং বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা দিতে হবে।
প্রশ্নের বৈশিষ্ট্যই হল এই যে, সে কখনও একা-একা আসে না। তাই, আগের প্রশ্নের সঙ্গে এই প্রশ্নটিও উঠে আসে যে, ভূতের শাসন আজীবনকাল ধরে চলবে কি না।
এ প্রশ্ন শুনে ‘ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি’রা এবং তাদের অনুচরের দল ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা এই প্রশ্ন করাকে সর্বনাশ বলে মনে করে। জানায় যে, সাত-জন্মেও তারা এমন অলক্ষুনে প্রশ্ন শােনেনি। তা ছাড়া, ভূতের শাসন না থাকলে আদিম এবং চিরন্তন ঘুমের কী হবে, ঐতিহ্য কীভাবে টিকে থাকবে এ- প্রশ্নও তারা তােলে।
তাদের এ কথা শুনে প্রশ্নকারী বলে যে, সাম্প্রতিককালের বুলবুলির শ্রেণি এবং বর্গির দলের সুরাহা হওয়ার তাে সেক্ষেত্রে কোনাে উপায় নেই। উত্তরে মাসিপিসিরা জানায় যে, বুলবুলির ঝাঁক এবং বর্গির দলকে কৃয়নাম শােনাতে হবে। নবীন সম্প্রদায় দুর্বিনীত হয়ে বলে ওঠে যে, তারা যেমন করে হােক ভূত তাড়াবে। শুনে ভূতের প্রতিনিধি সবাইকে চুপ করতে বলে।
কিন্তু আসল কথাটা হল এই যে, বৃদ্ধ কর্তামশাই জীবিতও নন, মৃতও নন, কেবল প্রেত হয়ে আছেন। দেশটাকে অদৃশ্য বাঁধনে বেধে রেখেছেন তিনি, যদিও দেশের ভালােমন্দ নিয়ে তাঁর কোনাে হেলদোল নেই।
দেশের দু-চারজন মানুষ দিনের বেলায় ভূতের ভয়ে মুখে রা না কাড়লেও গভীর রাত্রে জোড়হাতে বুড়াে কর্তার প্রেতকে ব্যাকুলভাবে প্রশ্ন করে যে, তাদের মুক্তি দেবার সময় কি তাঁর তখনও হয়নি। উত্তরে বুড়াে কর্তা তাদের বলেন যে, তিনি দেশবাসীকে ধরেও রাখেননি, ছেড়েও দেননি। তারা তাঁকে ছাড়লে তবেই তিনি ছেড়ে যাবেন। সেকথা শুনে সেই লােকেরা জানায় যে, তেমনটা করতে তারা যে ভয় পায়। বুড়াে কর্তা তখন বলেন যে, সেই ভয়ের মধ্যেই তাে ভূত অবস্থান করে।
সাধারণত বিষয়বস্তু, স্থান-কাল, চরিত্র এবং ব্যঞ্জনার দিকে লক্ষ রেখেই সাহিত্যে নামকরণ করা হয়। কোনাে রচনার নাম শুধু রচনাটিকে চিহ্নিত করার উপায়মাত্র নয়। এটি পাঠকের কাছে রচনাটিতে প্রবেশের একমাত্র চাবিকাঠি, তাই সাহিত্যরচনায় নামকরণের গুরুত্ব অপরিসীম।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘লিপিকা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘কর্তার ভূত’ আসলে একটি রূপকধর্মী ছােটোগল্প। এই গল্পে রূপকের আড়ালে প্রাচীন সভ্যতার ধর্মতন্ত্রের কারাগারে বন্দি থাকা ভারতবাসীর মৃতপ্রায় অবস্থার বর্ণনা করা হয়েছে। বুড়াে কর্তার মৃত্যুকালে ভারতবাসী অভিভাবকহীন হয়ে পড়ার ভয় অনুভব করলে দেবতার দয়ায় বুড়াে কর্তা প্রেত হয়ে তাদের ছত্রছায়া হয়ে রইলেন। ফলে তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সুরাহা না হলেও, তারা শান্তিতে রইল। দু-একজন মানুষ মৌলিক চিন্তায় ভাবিত হলে তাদের কপালে জুটল ভূতের কানমলা’ অর্থাৎ শাস্তি। কিন্তু অন্ধের মতাে কর্তার ভূতকে অনুসরণ করে চলা সাধারণ দেশবাসী এই ঘটনায় আত্মশ্লাঘা বা গৌরব অনুভব করল। ভূতুড়ে জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যায় না বলে, সেই কারাগার থেকে বেরােনাের উপায়ও কারাের জানা নেই। আর এই জেলখানার ঘানি পেষণ করলে কেবল বের হয় পেষণকারীর তেজ। তাই ভূতুড়ে জেলখানার কয়েদিরা ঠান্ডা থাকে, শান্তিতে থাকে। মৌলিক চিন্তাশীল ব্যক্তিরা অন্য কথা বললে কর্তার ভূতের সহযােগী শিরােমণি-চূড়ামণির দল দেশবাসীকে জানায় যে, ‘বেহুশ যারা তারাই পবিত্র, হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি।’ দেশবাসী এতে আশ্বস্ত হলেও নবীনের দল যখন প্রশ্ন তােলে, “ভূতের শাসনটাই কি অনন্তকাল চলবে”, তখন ভূতের নায়েব রেগে গিয়ে ভয় দেখিয়ে বলে, “চুপ। এখনাে ঘানি অচল হয় নি।” দেশের কয়েকজন বুড়াে কর্তার প্রেতের কাছে মুক্তির আবেদন করলে তিনি জানান যে, “…তােরা ছাড়লেই আমার ছাড়া।” এ কথা শুনে তারা জানায় যে, ভূতুড়ে কর্তাবাবুর নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে তারা ভয় পায়। কর্তাবাবুর ভূত তখন বলেন, “সেইখানেই তাে ভূত। এই হল গল্পটির বিষয়বস্তু।
এইভাবে কর্তার ভূত’ রচনাটিতে লেখক ‘কর্তা তথা প্রাচীন সভ্যতার ‘ভূত’ তথা ধর্মতন্ত্রের আলােচনা করেছেন। এ গল্পের দেশবাসী’ অর্থাৎ ভারতবাসীর মানসিক অবস্থার বর্ণনা আমরা পাই, লেখকের ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম প্রবন্ধে-
“এরা এখনাে সেই বুড়ির কোল থেকে নামে নাই যে বুড়ি এদের জাতিকুল ধর্মকর্ম ভালােমন্দ শােওয়াবসা সমস্তই বাহির হইতে বাঁধিয়া দিয়াছে। ইহাদের দোষ দিতে পারি না, কেননা বুড়ি এদের মনটাকেই আফিম খাওয়াইয়া ঘুম পাড়াইয়াছে।”
এ কারণেই ভূতগ্রস্ত দেশবাসী প্রচলিত ইংরেজ শাসনতন্ত্রের স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস অর্জন করতে সক্ষম হয় না সম্পূর্ণভাবে। যাই হােক, কর্তার ইচ্ছায় কর্ম প্রবন্ধের বুড়ি ই কর্তার ভূত ছােটোগল্পে বুড়াে কর্তার রূপ ধারণ করেছেন এবং সমগ্র গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
কাজেই এই আলােচনার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, কর্তার ভূত’— এই রূপকধর্মী ছােটোগল্পের নামকরণটি অবশ্যই শিল্পসম্মত এবং সার্থক।
কর্তার ভূত ছােটোগল্পে ভূতের কানমলা সম্বন্ধে কী বলা হয়েছে? এই গল্পে ওঝা চরিত্রটি সৃষ্টির সার্থকতা বিচার করাে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত ছােটোগল্প অবলম্বনে ভূতগ্রস্ত দেশবাসী এবং বিদেশিদের ঘােরানাে ঘানির তুলনামূলক আলােচনা করাে।
কর্তার ভূত ছােটোগল্পের রূপকার্থটি সংক্ষেপে লেখাে।
কর্তার ভূত’ রচনাটিকে কী জাতীয় রচনা বলে তুমি মনে করাে?
‘কর্তার ভূত’ অবলম্বনে ‘স্বভাবদোষে যারা নিজে ভাবতে যায়’ তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘কর্তার ভূত’ রচনায় দেশসুদ্ধ সবাই বলতে কোন্ ধরনের মানুষের কথা বলা হয়েছে?
কর্তার ভূত ছোট গল্পের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করাে।
কর্তার ভূত ছোট গল্প অবলম্বনে ভুতুড়ে জেলখানার বর্ণনা দাও। কাদের সম্বন্ধে এবং কেন লেখক বলেছেন যে, তারা ভয়ংকর সজাগ আছে?
“দেশের লােক ভারি নিশ্চিন্ত হল।”—কীভাবে দেশের লােক ভারী নিশ্চিন্ত হল?
“একেই বলে অদৃষ্টের চালে চলা।”- ‘কর্তার ভূত’ রচনা অবলম্বন করে এই ‘অদৃষ্টের চালে চলা’র তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
“সেই জেলখানার দেয়াল চোখে দেখা যায় না।- সেই জেলখানার বিস্তৃত বিবরণ দাও। সেই জেলখানার কয়েদিদের ঘানি ঘােরানাের কথা আলােচনা করাে।
“শুনে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি আর মাসতুতাে-পিসতুততার দল কানে হাত দিয়ে বলে,—কোন্ কথার উত্তরে কী বলে তারা?
“কেননা ভবিষ্যৎকে মানলেই তার জন্যে যত ভাবনা, ভূতকে মানলে কোনাে ভাবনাই নেই;”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
“অথচ তার মাথা নেই, সুতরাং কারও জন্য মাথাব্যথাও নেই।”— কার সম্বন্ধে, কেন লেখক এ কথা বলেছেন?
“শুনে ভূতগ্রস্ত দেশ আপন আদিম আভিজাত্য অনুভব করে।”- আদিম আভিজাত্য’ অনুভব করার কারণ কী?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ রচনায় ‘দেশে যত শিরােমণি-চূড়ামণি’-র বক্তব্য কী ছিল?
“এখন কথাটা দাঁড়িয়েছে, ‘খাজনা দেব কিসে।” কারা, কাদের কাছে খাজনা চেয়েছে? খাজনা দিতে না পারার কারণ কী?
“দেশের মধ্যে দুটো-একটা মানুষ” -এর সঙ্গে বুড়াে কর্তার কথােপকথন ‘কর্তার ভূত’ অবলম্বনে লেখো এবং রূপকার্থ আলােচনা করাে।
‘ওরে অবােধ, আমার ধরাও নেই ছাড়াও নেই, তােরা ছাড়লেই আমার ছাড়া’—এখানে কে কাদের অবােধ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
“কর্তা বলেন, সেইখানেই তাে ভূত।”- কোন প্রসঙ্গে এবং কেন কর্তা এ কথা বলেছেন?
‘কর্তার ভূত’ রচনায় ওঝা প্রসঙ্গটির তাৎপর্যটি লেখাে।
“সে ভবিষ্যৎ ভ্যাও করে না ম্যাও করে না” -সে ভবিষ্যৎ ভ্যা বা ম্যা করে না কেন?
“কেননা ওঝাকেই আগেভাগে ভূতে পেয়ে বসেছে”- ওঝাকে ভূতে পেলে কী ক্ষতি হওয়ার কথা লেখক বলেছেন?
‘কর্তার ভূত’- কি নিছক ভূতের গল্প, নাকি রাজনৈতিক রূপক কাহিনি? ব্যাখ্যাসহ লেখাে।
“ভূতের রাজত্বে আর কিছুই না থাক…শান্তি থাকে”- মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।
কেন কিছু দেশবাসীর ভূতশাসনতন্ত্র নিয়ে দ্বিধা জাগল?
‘কর্তার ভূত’-রচনাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
রবীন্দ্রনাথের ‘কর্তার ভূত’ রচনাটির ভাষাশৈলী তথা রচনাশৈলী পর্যালােচনা করাে।
‘তারা ভয়ংকর সজাগ আছে।’ -কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এমন ‘ভয়ংকর সজাগ থাকার কারণ কী?
“কেবল অতি সামান্য একটা কারণে একটু মুশকিল বাধল।”—কারণটি পর্যালােচনা করাে।
কর্তার ভূত গল্পে যে সামাজিক সত্যের দিকে লেখক নির্দেশ করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।
Leave a comment