প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে মনােবিদ্যার আদি-পুরুষ বলা হয়।
গ্রিক ভাষা থেকে ‘psychology’ শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে।
ডেকার্তের মতে মনােবিদ্যার বিষয়বস্তু হল মন|
উইলিয়াম জেমস-এর উক্তি।
জার্মানির লাইপজিগ (Leipzig) বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা মূলক মনােবিজ্ঞানের প্রথম পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়।
মনােবিদ উইলিয়াম উন্ড ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মনােবিজ্ঞানের পরীক্ষাগার তৈরি করেন।
‘Psyche’ এবং logos’ এই দুটি ভিন্ন শব্দ থেকে “Psychology’ শব্দটি গঠিত হয়েছে।
‘Psyche’ কথার অর্থ হল আত্মা এবং logos’ বা logy কথাটির অর্থ হল বিজ্ঞান।
ম্যাকডুগালের মতে, সমস্ত আচরণের মূল কথা হল উদ্দেশ্যসাধন।
সমাজতত্ত্বকে আশ্রয় করে মনােবিজ্ঞানের যে শাখাটি গড়ে উঠেছে সেটি হল সামাজিক মনােবিদ্যা।
মানুষের শিক্ষাকালীন আচরণকে অধ্যয়ন করার জন্য মনােবিজ্ঞানের যে শাখা গড়ে উঠেছে সেটি হল শিক্ষামনােবিজ্ঞান।
শিশুপালন ও শিশুর বিকাশকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মনােবিজ্ঞানের শাখাটির নাম হল শিশুমনােবিজ্ঞান।
মনােবিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে প্রথম শিক্ষাপদ্ধতি গড়ে তােলেন জার্মানির বিজ্ঞানী।
মনােবিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে প্রথম শিক্ষাপঞ্ধতি গড়ে তােলেন জোয়ান হারবার্ট।
প্রয়ােগমূলক মনােবিদ্যার জনক হলেন জাঁ জ্যাক রুশাে।
পেস্তালৎসি শিক্ষামনােবিদ্যাকে প্রকৃত প্রয়ােগমূলক বিজ্ঞানের স্তরে প্রতিষ্ঠা করেন।
ইন্দ্রিয়, পেশি, গ্রন্থি, মস্তিষ্ক ও সম্পূর্ণ স্নায়ুতন্ত্র হল দেহ- তত্ত্বগত মনােবিদ্যার বিষয়বস্তু।
ডেমােক্রিটাস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ মনােবিজ্ঞানকে আত্মার বিজ্ঞানরূপে উল্লেখ করেছেন।
কান্ট হলেন বিশিষ্ট জার্মান দার্শনিক যিনি মনােবিজ্ঞানকে মনের বিজ্ঞানরূপে ব্যাখ্যা করেন।
জেম্স ও উন্ড হলেন দুজন মনােবিজ্ঞানী যাঁরা মনােবিজ্ঞানকে সচেতনতার বিজ্ঞান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জে. বি. ওয়াটসন-এর মতে মনােবিদ্যা হল আচরণের বিজ্ঞান।
মনােবিদ্যা হল আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান’—এই মতটি মনােবিদ ম্যাকডুগালের।
নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে শিক্ষামূলক চলকগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিরীক্ষণ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্যকরণ।
মনােবিদ্যার যে শাখার মাধ্যমে ব্যক্তির অপসংগতিমূলক (maladjusted) আচরণগুলিকে শনাক্ত করা হয় এবং তা দূর করে সুস্থ মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করা হয়, তাকে অ্যাবনর্মাল সাইকোলজি বা অস্বাভাবিক মনােবিদ্যা বলে।
মনােবিজ্ঞান হল আচরণ অধ্যয়নের বিজ্ঞান, যার সাহায্যে সব মানুষের আচরণের ব্যাখ্যা, নীতি এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া যায়।
ওয়াটসন মনােবিজ্ঞানকে জীবের বাহ্যিক আচরণের বিজ্ঞান বলেছেন।
গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্ট তাঁর ‘ডি এনিমা (De Anima) গ্রন্থে মনােবিদ্যার কথা উল্লেখ করেন।
হফডিং -এর মতে ‘Psychology is the science of mind’, অর্থাৎ ‘মনােবিজ্ঞান হল মনের বিজ্ঞান’।
অ্যাঙ্গেলের মতে, ‘মনােবিজ্ঞান হল চেতনার বিজ্ঞান (Psychology is the science of consciousness)।
উড়ওয়ার্থ বলেছেন, মনােবিজ্ঞান প্রথমে তার আত্মাকে হারিয়েছে, তারপর হারিয়েছে তার মন, তারপর হারিয়েছে তার চেতনাও। কিন্তু তার মধ্যে একপ্রকার আচরণ রয়ে গেছে।
Psychology’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Psyche’ এবং ‘logy’ থেকে। ‘Psyche’ শব্দের অর্থ ‘আত্মা এবং logy’ শব্দের অর্থ বিজ্ঞান’ বা ‘শাস্ত্র। অর্থাৎ Psychology’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘আত্মার বিজ্ঞান।
আচরণ হল সেইসব প্রচেষ্টা, যা পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণী করে থাকে।
মেরি এলেন ফোলে (Mary Allen Foley )।
তাত্ত্বিক দিক থেকে শিক্ষামনােবিদ্যার বিকাশে সহায়ক দুজন চিন্তাবিদের নাম হল প্লেটো ও অ্যারিস্টটল।
কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপদ্ধতির জনক হলেন শিক্ষাবিদ ফ্রেডরিক ফ্রয়েবেল।
অনুশিক্ষা পদ্ধতি এবং ফ্লান্ডার্স মিথস্ক্রিয়া পদ্ধতি হল শিক্ষামনােবিদ্যার দুটি নিজস্ব পদ্ধতি।
শিক্ষাবিদ অ্যাডামসের উক্তি হল- “The teacher teaches John Latin”।
সময়তালিকা প্রস্তুত, শাস্তি ও পুরস্কার ব্যবস্থা হল শিক্ষার দুটি তত্ত্বগত দিক যেখানে মনােবিদ্যার জ্ঞান অপরিহার্য।
শিক্ষার পাঠক্রম প্রণয়ন এবং শিখন ও শিক্ষা এই দুটি ব্যাবহারিক দিকে মনােবিদ্যার প্রভাব রয়েছে।
ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের নীতি এবং সক্রিয়তার নীতির ভিত্তিতে ডালটন প্ল্যান এবং প্রােজেক্ট পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষক ও মনােবিদ এদের অনুশীলনের মূল বিষয়বস্তু হল আচরণ।
আচরণের বিশ্লেষণ, পরিবর্তন ও পূর্বাভাষ দেওয়া হল শিক্ষক ও মনােবিদের সাধারণ উদ্দেশ্য।
ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের নীতিটি শ্রেণিশিক্ষনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অবলম্বন করা প্রয়ােজন।
শিক্ষামনােবিজ্ঞানের জ্ঞান বিশেষভাবে প্রয়ােজন শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে গেলে।
উপযুক্ত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর আচরণ লক্ষ করা হল শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিদ্যার পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি।
যখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুতর অপসংগতি (maladjustment) দেখা যায়, তখন শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিদ্যায় চিকিৎসামূলক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়।
মনােবিজ্ঞানী জে. বি. ওয়াটসন হলেন আচরণবাদের জনক।
শিক্ষামনােবিদ স্কিনার শিখন-এর ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেন।
মনােবিদ গেট্স্বলেছেন যে, জন্ম থেক মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবরকম শিক্ষণীয় আচরণ অধ্যয়ন করার জন্য মনােবিদ্যার যে শাখা গঠিত হয়েছে তাই হল শিক্ষামনােবিদ্যা।
আধুনিক মনােবিদ্যার প্রধান দুটি শাখা হল— তাত্ত্বিক বা শুদ্ধ মনােবিদ্যা এবং প্রয়ােগমূলক বা ফলিত মনােবিদ্যা।
ফলিত মনােবিদ্যার যে শাখা শিক্ষাপ্রক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করতে এবং উন্নত করতে আলোচনা করে তাকে শিক্ষা মনােবিদ্যা বলে।
শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিজ্ঞানের প্রাথমিক উপাদানগুলি হল শিক্ষার্থীর আগ্রহ, মনােযােগ, প্রেষণা, মানসিক ক্ষমতা, শিখন ইত্যাদি।
শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিজ্ঞান শিক্ষার্থীর দৈহিক, বৌদ্ধিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক এবং নৈতিক বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করে।
শিক্ষার তাত্ত্বিক দিকগুলি হল—শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ, শিক্ষার উদ্দেশ্য, শিক্ষালয়, শিক্ষার স্তর, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা, শিক্ষার কৌশল ইত্যাদি।
শিক্ষার ব্যাবহারিক দিকগুলি হল—শিক্ষার পাঠক্রম তৈরি, শিখনপদ্ধতি পরিচালনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
থর্নডাইক, উড়ওয়ার্থ, আলফ্রেড বিনে, স্কিনার, কোহলার, ব্লুনার প্রমুখ মনােবিদ শিক্ষামনােবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
স্কিনারের মতে, শিক্ষামনােবিজ্ঞান হল মনােবিজ্ঞানের সেই শাখা যা শিক্ষা এবং শিখন নিয়ে আলােচনা করে।
কয়েকটি মনােবিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা পদ্ধতি হল—অনুবন্ধ পদ্ধতি, প্রকল্প পদ্ধতি, আবিষ্কারমূলক পদ্ধতি, কনসেপ্ট অ্যাটেনমেন্ট পদ্ধতি, মন্তেসরি পদ্ধতি ইত্যাদি।
পাঠক্রম প্রণয়ন, শিখন, শিক্ষা, মূল্যায়ন, শিশুর বিকাশ, মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা নির্দেশনা প্রভৃতি দিক দিয়ে শিক্ষাবিজ্ঞান মনােবিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল।
শিক্ষাদানের প্রতিটি পর্যায়ে মনােবিদ্যার বিশেষ অবদান রয়েছে। অর্জনযােগ্য শিক্ষার উদ্দেশ্য নির্ণয়, পাঠক্রম প্রণয়ন, পাঠক্রম সঞ্চালন, নির্দেশদান কৌশল মূল্যায়ন, শিক্ষা নির্দেশনা ইত্যাদি প্রতিটি পর্যায়েই মনস্তত্ত্বের ভূমিকা আজ সর্বজনস্বীকৃত।
শিক্ষাক্ষেত্রে মনােবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হল- বংশধারাসূত্রে প্রাপ্ত সন্তাবনাগুলির বিকাশে সহায়তা করা এবং শিখন-প্রক্রিয়া আলােচনা করে শিক্ষাদানের কাজকে সহজ ও কার্যকরী করে তােলা।
শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে মনােবিজ্ঞানের জ্ঞান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আধুনিক শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুর বৌদ্ধিক ও নৈতিক বিকাশ এবং তার প্রেষণা, আগ্রহ, মনােযােগ প্রভৃতি মনােবিজ্ঞানের বিষয়কে ভিত্তি করেই শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।
মনােবিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী— পাঠক্রম শিক্ষার্থী- কেন্দ্রিক হবে। শিক্ষার্থীর বিকাশের স্তর, তার চাহিদা, তার আগ্রহকে ভিত্তি করে পাঠক্রম রচিত হবে। পাঠক্রম হবে নমনীয় এবং পরিবর্তশীল, যাতে ব্যক্তিগত পার্থক্য গুরুত্ব পায় এবং জ্ঞানের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাঠক্রম পরিবর্তন করা যায়।
যে দুটি মুখ্য মনােবৈজ্ঞানিক নীতির ওপর আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতিগুলি প্রতিষ্ঠিত, তা হল— জানা থেকে অজানা: যে বিষয়ে শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে জ্ঞান অর্জন করেছে তাকে ভিত্তি করে অজ্ঞাত বিষয়ের ওপর শিক্ষাদান করা। সরল থেকে জটিল: সহজ বিষয় থেকে অপেক্ষাকৃত কঠিন বিষয়ে পাঠদান করা।
স্কিনার-এর মতে শিক্ষামনােবিদ্যা হল মনােবিদ্যার সেই শাখা যা শিক্ষা ও শিখন নিয়ে আলােচনা করে।
ড. জে. এল. মােরেনাে সমাজমিতি পদ্ধতি বা কৌশল উদ্ভব করেন।
শিক্ষামনােবিজ্ঞান হল মনােবিজ্ঞানের প্রয়ােগমূলক শাখা।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকালীন আচরণের অধ্যয়ন হল শিক্ষা মনােবিদ্যার মূল লক্ষ্য।
উইলিয়াম উন্ড হলেন পরীক্ষামূলক মনােবিদ্যার জনক।
ক্রীড়াভিত্তিক শিক্ষা আসলে সক্রিয়তাভিত্তিক শিক্ষা।
শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিদ্যা শিক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে আলােচনা করে।
বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্য শিক্ষাশ্রয়ী মনােবিজ্ঞানের বিকাশ মূলক মনােবিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
সদৃশ দলের উপর একই বিষয় প্রয়োগ করে তার ফল নিরীক্ষা করার সময়ে পার্থক্যমূলক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
শিক্ষাপ্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে এবং তার উন্নতিসাধন করতে পারে মনােবিদ্যার যেসব তত্ত্ব, তাদের বিশেষ অনুশীলন হল শিক্ষামনােবিদ্যা।
বার্নার্ড বলেছেন, সমাজের প্রথাগত প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়ের শিখনকে সহজসাধ্য করে তােলার জন্য শিখন (learning) ও শিক্ষপ (teaching) নিয়ে আলােচনা করে শিক্ষামনােবিদ্যা।
শিক্ষামনােবিদ্যার বিষয়বস্তু অনুশীলনের তিনটি পর্যায় হল যথাক্রমে—পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা এবং সিদ্ধান্ত।
শিক্ষামনােবিজ্ঞানের দুটি বিষয়বস্তু হল—শিক্ষার্থীর বিকাশ এবং শিখনে প্রয়ােজনীয় মানসিক প্রক্রিয়া।
মনােবিদ জাডের মতে, শিক্ষামনােবিজ্ঞান হল সেই বিজ্ঞান যা বিকাশের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুদের মধ্যে সংঘটিত পরিবর্তনগুলিকে বর্ণনা করে।
শিক্ষামনােবিজ্ঞান হল সেই বিজ্ঞান যা ব্যক্তির শিক্ষাকালীন আচরণ নিয়ে আলােচনা করে এবং সেই আচরণের উন্নতিসাধনে সচেষ্ট হয়।
বর্তমানে শিক্ষামনােবিজ্ঞান যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলােকপাত করেছে, সেগুলি হল— শিক্ষার্থীর বিকাশ, বিশেষ শিক্ষা বা প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা, পাঠদান- সংক্রান্ত বিষয়।
শিক্ষার্থীর মধ্যে অপসংগতি (maladjustment) দেখা দিতে পারে যা শিখনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। মনােবিজ্ঞানের সাহায্যে সেই অপসংগতির কারণ অনুসন্ধান করে তার সমাধান করা যেতে পারে।
শিক্ষামনােবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলা যায়। কারণ, শিক্ষামনােবিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও সিদ্ধান্ডের সাহায্যে শিক্ষাকালীন আচরণ বিশ্লেষণ করে, নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করে।
শিক্ষামনােবিজ্ঞানকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বলা যায় না। শিক্ষামনােবিজ্ঞান হল মন-সম্পর্কিত বিজ্ঞান। এর সপক্ষে কয়েকটি যুক্তি আছে। প্রথমত, শিক্ষামনােবিজ্ঞান জড় পদার্থ নিয়ে কাজ করে না। মন, অনুভূতি, আবেগ নিয়ে এর কাজ। কিন্তু প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ব্যক্তিমনের সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, শিক্ষামনােবিজ্ঞানের নিজস্ব পদ্ধতি হল শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ। এই পদ্ধতিই শিক্ষামনােবিজ্ঞানকে অন্যান্য প্রাকৃতিক বিজ্ঞান থেকে স্বতন্ত্র করে রেখেছে।
শিক্ষামনােবিদ্যার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর শিক্ষাকালীন আচরণের বিশ্লেষণ ও তত্ত্ব গঠন করা, আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ভবিষ্যদ্বাণী করা।
Leave a comment