বাংলার বিজ্ঞানচর্চায় বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। নর্মাল স্কুল, নিউ ইন্ডিয়ান স্কুল, হিন্দু স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন। আইএসসি, বিএসসি এবং এমএসসি পাশ করে বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার রিডার হিসেবে যােগ দেন। এখানে অধ্যাপনাকালেই তার বােস সংখ্যায়ন সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি নিয়ে তিনি দুবছরের জন্য ইউরােপে যান। তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থবিদ্যা শাখার সভাপতিত্ব করেন, পরে মূল সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ঢাকার পর সত্যেন্দ্রনাথ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খয়রা অধ্যাপকের পদে যােগ দেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হন, অবসরের পর ‘এমেরিটাস প্রফেসর’ হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদও গ্রহণ করেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে পদার্থবিদ্যার জাতীয় অধ্যাপকরূপে নিযুক্ত করেন এবং আমৃত্যু তিনি ওই পদে আসীন থাকেন।
ফ্রান্স, ডেনমার্ক, সুইটজারল্যান্ড, চেকোশ্লোভাকিয়া প্রভৃতি দেশের জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা কর্তৃক সংবর্ধিত সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ স্থাপন করেন। জনসমাজকে বিজ্ঞানসচেতন করা, জনকল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটানাে এবং মাতৃভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষার প্রচলনের তিনি পরিষদের মুখপত্ররূপে জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিশ্বপরিচয় গ্রন্থ, অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর জাপানে গ্রন্থ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তার অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থ সত্যেন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি তার জীবনাবসান হয়।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে দেবেন্দ্রমোহন বসুর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রিয়দারঞ্জন রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে আশুতােষ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. ইন্দুমাধব মল্লিকের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিশিরকুমার মিত্রের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান আলােচনা করাে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।
রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মানুষজনের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।
বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলােচনা করাে।
Leave a comment