মাটি গঠনে সক্রিয় উপাদানগুলির ক্রিয়াশীলতা থাকা সত্ত্বেও পরিণত ও অপরিণত মাটির উৎপত্তি নির্ভর করে নিষ্ক্রিয় উপাদান সময়ের ওপর। উপাদানগুলি দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় হলে পরিণত মাটি গঠিত হয়। সময়ের প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই দু-ধরনের মাটির মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। যেমন一

পরিণত মাটি : (১) মাটি গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসে। (২) আদি শিলার চিহ্ন থাকে না। (৩) মাটির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মগুলি প্রায় স্থিতিশীল। (৪) মাটি দৃঢ় ও সুসংবদ্ধ হয়। (৫) মাটিতে সুস্পষ্ট স্তর সৃষ্টি হয়। (৬) দীর্ঘ সময়ের পর মাটি পরিণত অবস্থায় পৌঁছায়। এরপর মাটি ক্ষয়ের কবলে পড়ে।

অপরিণত মাটি : (১) মাটি গঠনকারী প্রক্রিয়ার কাজ অসম্পূর্ণ থাকে। (২) আদি শিলার চিহ্ন যথেষ্ট থাকে। (৩) এই মাটির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তনশীল। (৪) মাটি ভঙ্গুর ও আলগা হয়। (৫) কোনােপ্রকার সুস্পষ্ট স্তর গড়ে ওঠে না। (৬) দীর্ঘ সময়ের পর অপরিণত মাটি পরিণত মাটিতে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

পেডােক্যাল : (১) এটি শুষ্ক অঞ্চলের মাটি। (২) বাষ্পীভবন বেশি হয় বলে এটি সাধারণত কৈশিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট। (৩) ক্যালশিয়াম কার্বনেটের প্রাধান্য থাকে। (৪) এটি ক্ষারকীয় মৃত্তিকা। pH মান 7-এর বেশি হয়। (৫) লবণ, চুন ও জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এই মাটি কালচে ও ধূসর রঙের হয়।

পেডালফার : (১) এটি আর্দ্র অঞ্চলের মাটি। (২) অধিক বৃষ্টিপাতের জন্য এটি অনুস্রাবণের ফলে সৃষ্ট। (৩) লােহা ও অ্যালুমিনিয়াম বেশি থাকে। (৪) এটি আম্লিক মৃত্তিকা। pH মান 7-এর কম হয়। (৫) লােহার অক্সাইড বেশি থাকায় এই মাটি লালচে রঙের হয়।