পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকা – হ্যারিকেন।
চিন – টাইফুন।
জাপান – তাইফু।
ফিলিপিন দ্বীপপুঞ্জ – ব্যাগুই।
অস্ট্রেলিয়া – উইলি-উইলি।
ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, পাকিস্তান – সাইক্লোন।
মিসিসিপি নদীর মােহানা অঞ্চল ও মেক্সিকো উপকূল – টর্নেডাে।
উষ্ণ সীমান্ত
-
উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ শীতল বায়ুপুঞ্জকে যে সীমান্তপৃষ্ঠ বা তল বরাবর স্থানচ্যুত করে, তাকে উষ্ণ সীমান্ত বলে।
-
সীমান্ত তল বা পৃষ্ঠ তির্যক প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু।
-
উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ সীমান্ত বরাবর সক্রিয় ও গতিশীল। এই বায়ুপুঞ্জ শীতল বায়ুপুঞ্জকে ধীর গতিতে স্থানচ্যুত করে।
-
উষ্ণ সীমান্ত বরাবর শীতল বায়ুপুঞ্জের উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং বায়ুর চাপ হ্রাস পায়।
-
সীমান্ত সৃষ্টির প্রথম পর্ব থেকেই উষ্ণ সীমান্ত বরাবর সিরাস মেঘের সঞ্চার ঘটে। পরবর্তী পর্যায়ে অল্টোস্ট্যাটাস ও নিম্নে-স্ট্র্যাটাস মেঘের সমাবেশ ঘটে।
-
উষ্ণ সীমান্ত বরাবর বজ্র-বিদ্যুৎসহ ঝড় ঝঞ্ঝার পরিমাণ কম। বৃষ্টিপাতের তীব্রতাও কম।
শীতল সীমান্ত
-
শীতল বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ বায়ুপুঞ্জকে যে তল বা সীমান্তপৃষ্ঠ বরাবর স্থানচ্যুত করে, সেই সীমান্তপৃষ্ঠকে শীতল সীমান্ত বলে।
-
সীমান্ত তল বা পৃষ্ঠ উত্তল প্রকৃতির। এর ঢাল উষ্ণ সীমান্ত অপেক্ষা অনেক বেশি।
-
শীতল বায়ুপুঞ্জ শীতল সীমান্ত বরাবর সক্রিয় ও গতিশীল। এটি উষ্ণ বায়ুপুঞ্জকে অতি দ্রুত স্থানচ্যুত করতে পারে।
-
শীতল সীমান্ত বরাবর উষ্ণ বায়ুপুঞ্জের উয়তা ধীরে ধীরে কমে। ফলে বায়ুর চাপ ধীরে ধীরে বাড়ে।
-
প্রথম থেকেই কিউমুলােনিম্বাস মেঘের সঞ্চার ঘটে
-
শীতল সীমান্ত বরাবর বজ্র-বিদ্যুৎসহ ঝড়-ঝঞ্ঝা। ও বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি।
Leave a comment