সারণির বিভিন্ন অংশ
যে-কোনাে সারণি বা ছকের কতকগুলি মূল উপাদান বা অংশ থাকে, সেগুলি হল— [1] সারণি সংখ্যা (Table No.) (2] শিরোেনাম (Title or Heading), [3] উৎস (Source), [4] পাদটীকা (Footnote), [5] (Main Body) [6] (Remarks), [7] সারির বিবরণ এবং [8] স্তম্ভের বিবরণ।
-
লিখিত বিবরণের কেবলমাত্র প্রয়ােজনীয় অংশ সারণির মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়, ফলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে তথ্য আহরণে জটিলতা কমে।
-
জটিল তথ্যসমূহকে সহজেই প্রকাশ করা যায়।
-
লিখিত বিবরণ থেকে কোনাে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ। সারণির মাধ্যমে এগুলি সহজেই পাওয়া যায়।
-
রাশিতথ্যের সমস্যাকে স্পষ্টভাবে ও সহজে শনাক্ত করা যায়।
-
ত্রুটিপূর্ণভাবে সংগৃহীত রাশিতথ্য সংশােধনে সাহায্য করে।
-
এটি তথ্যসমূহের বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
আদর্শ সারণি গঠন
সারণির মধ্যে এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত উপাদানকে সুবিন্যস্ত করা হয়। সারণিতে একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত উপাদান থাকলে তাকে সরল ছকবিন্যাস বলা হয়। অন্যদিকে, জটিল সারণি বা ছকে একাধিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপাদানকে প্রকাশ করা হয়। তাই একটি আদর্শ সারণি গঠনে বিশেষ মনােনিবেশের প্রয়ােজন হয়। একটি আদর্শ সারণি বা ছক প্রস্তুত করতে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে一
-
ছকের শিরােনাম সংক্ষিপ্ত ও পরিষ্কার এবং রাশিতথ্য অর্থপূর্ণ হতে হবে।
-
রাশিতথ্যের সঠিক একক নির্বাচন করতে হবে ও সারণিতে তা প্রকাশ কবতে হবে।
-
সারণিটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
-
তুলনীয় তথ্যসমূহ পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে রাখতে হবে।
-
সারণির বিবরণলিপি হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও সহজবােধ্য।
-
পাদটীকায় তথ্যের উৎস বা কোনাে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ থাকতে হবে।
Leave a comment