ওজোন স্তর ধ্বংসকারী প্রধান দুটি গ্যাস হল CFC ও হ্যালন।
অ্যান্টার্কটিকাতে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে।
মিথেন গ্রিনহাউস গ্যাসের অন্তর্গত।
হিমায়ন প্রক্রিয়াতে প্রচুর পরিমাণে CFC ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে।
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন পাওয়া যায়।
ওয়ারমিং প্রথম জলের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করেন।
ওজোন স্তরের ক্ষয় নিয়ন্ত্রণে মন্ট্রিল চুক্তি বা মন্ট্রিল প্রােটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি অনুসারে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু মৌসুমি জলবায়ুর বিপরীত।
জলবায়ু অঞ্চল নির্ণয়ের মূল ভিত্তি হল বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতার পার্থক্য।
নিরক্ষীয় জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অত্যধিক উষ্ণতা ও অত্যধিক বৃষ্টিপাত।
মৌসুমি বায়ুপ্রবাহকে সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলা হয়।
জেট স্ট্রিম প্রধানত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উধ্ধ্বে দেখা যায়।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল শুষ্ক গ্রীষ্মকাল ও আর্দ্র শীতকাল।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল 30° – 40° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।
জলের খোঁজে মরু অঞ্চলের গাছের মূল লম্বা হয়।
ক্ষরাপ্রতিরােধী উদ্ভিদ শুষ্ক অথবা প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে জন্মায়।
ভাসমান হাইড্রোফাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এদের কোশগুলি বড়াে ও বায়ুপূর্ণ হয়।
গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি বিশ্ব উষ্ণয়নের প্রধান কারণ।
কাচের ঘর বৃহৎ তরঙ্গের পার্থিব বিকিরণে বাধা দেয় বলে গরম হয়।
একটি সুবিস্তৃত অঞ্চলের কমপক্ষে 35 বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে ওই স্থানের জলবায়ু বলে।
যখন কোনাে বিশাল এলাকা জুড়ে একই ধরনের জলবায়ু থাকে তখন ওই এলাকাকে জলবায়ু অঞল বলে।
পড়ে থাকা জলাভূমি ও জৈব পদার্থের পচন হল মিথেনের প্রধান উৎস।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নির্গত মােট গ্রিনহাউস গ্যাসের মধ্যে উন্নত দেশগুলির অবদান প্রায় 67% এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির অবদান প্রায় 33%।
গ্রিনহাউস প্রভাব বলতে কী বােঝায়?
বায়ুদূষণের ফলে বায়ুমণ্ডলের ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে।
কোপেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের গড় মাসিক উষ্ণতা ও গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ওপর ভিত্তি করে জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি করেছেন।
কোপেন স্বাভাবিক উদ্ভিদ অঞ্চলের সীমানার সাহায্যে জলবায়ু অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করেছেন।
নিরক্ষীয় জলবায়ু ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু এবং নিরক্ষীয় উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু নামে পরিচিত।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে সারাবছর নিম্নচাপ বিরাজ করে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সারাবছর গ্রীষ্ম ঋতু পরিলক্ষিত হয়।
নিরক্ষরেখা বরাবর উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু মিলিত হবার ফলে অনুভূমিকভাবে কোনাে বায়ুর প্রবাহ না থেকে যে শান্ত অবস্থা বিরাজ করে, তাকে নিরক্ষীয় শান্তবলয় বলে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর খুব কম, মাত্র 2 °সে. থেকে 3 °সে. পর্যন্ত হয়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলের বার্ষিক গড় উষ্ণতা থাকে প্রায় 24 °সে. থেকে 27 °সে. পর্যন্ত।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন পদ্ধতিতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গড়ে 250 সেমি।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধির কোনাে পরিবর্তন প্রায় লক্ষ করা যায় না।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরসবুজ ব্রা চিরহরিৎ প্রকৃতির অরণ্য লক্ষ করা যায়।
নিরক্ষীয় চিরহরিৎ অরণ্যের কাঠ শক্ত ও ভারী প্রকৃতির হয়।
শীত ও গ্রীষ্ম—এই দুই ঋতুতে বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত দুই বিপরীতধর্মী সাময়িক বায়ুকে মৌসুমি বায়ু বলে।
মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে চারটি ঋতুপর্যায় দেখা যায় যথা—গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত।
উপগ্রহ মারফত মৌসুমি বায়ু গবেষণা-সংক্রান্ত কর্মসূচি হল Monex।
ভারতে যখন মৌসুমি বায়ু প্রথম প্রবেশ করে তখন হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি হয় ও এর ফলে উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার পরিবর্তে আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করে। একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে।
শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়।
মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত দুটি দেশ হল- (i) ভারত ও (ii) বাংলাদেশ।
দক্ষিণ গােলার্ধের পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারের পশ্চিম অংশ, দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের পূর্ব উপকূল, অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশ প্রভৃতি স্থানে মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল দেখা যায়।
উভয় গােলার্ধে 30° থেকে 45° অক্ষাংশের মধ্যে মহাদেশসমূহের পশ্চিমে যে জলবায়ু দেখা যায়, তাকে ভূমধ্যসমাগরীয় জলবায়ু বলে।
প্রধানত ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলের দেশগুলিতে এই জলবায়ু বেশি করে দেখা যায় বলে এর নাম ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা প্রায় 21 °সে. থেকে 27 °সে.।
এখানকার শীতকালীন গড় উষ্ণতা প্রায় 4°সে. থেকে 10°সে.।
মধ্য অক্ষাংশীয় অবস্থানের জন্য ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্ম বা শীত খুব বেশি অনুভূত হয় না ফলে আরামদায়ক নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু বিরাজ করে যা স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
মানুষের সাহায্য ছাড়া প্রাকৃতিক উপাদানগুলির প্রত্যক্ষ প্রভাবে যেসব উদ্ভিদ জন্মায় তাদের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে।
যে শ্রেণির উদ্ভিদ অধিক আলােতে সবচেয়ে ভালােভাবে বেঁচে থাকে তাদের হেলিওফাইট বলে।
যে শ্রেণির উদ্ভিদ কম আলােতে বা ছায়াতে বেশি ভালােভাবে বেঁচে থাকতে পারে তাদের স্কিওফাইট বলে।
যেসকল উদ্ভিদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সূর্যালােকের গুরুত্ব নেই তাদের বলে আলােকবিদ্বেষী উদ্ভিদ।
যেসব উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য সারাবছর বেশি তাপমাত্রার প্রয়ােজন হয় তাদের মেগাথার্মস বলে।
অধিক আলােকিত অবস্থা হেলিওফাইট পছন্দ করে।
যেসব উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য সারাবছর মাঝারি তাপমাত্রার প্রয়ােজন হয় তাদের মেসােথা্মস বলে।
যেসব উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য সারাবছর কম তাপমাত্রার প্রয়ােজন তাদের মাইক্রোথার্মস বলে।
যেসব উদ্ভিদ সারাবছর তীব্র ঠান্ডা সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে তাদের হেকিস্টোথার্মস বলে।
হেকিস্টোথার্মস উদ্ভিদ সাধারণত অতি শীতল তুন্দ্রা জলবায়ুতে জন্মায়।
যেসব উদ্ভিদ জলে জন্মায় বা জলজ পরিবেশে বেঁচে থাকে তাদের জলজ উদ্ভিদ বা হাইড্রোফাইট বলে।
জলজ উদ্ভিদ পাঁচ প্রকার। যথা- (i) ভাসমান জলজ উদ্ভিদ, (ii) নিমজ্জিত অথচ ভাসমান জলজ উদ্ভিদ, (iii) প্রােথিত মূলযুক্ত নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ, (iv) ভাসমান পাতাবিশিষ্ট প্রােথিত জলজ উদ্ভিদ, (v) প্রােথিত মূল কিন্তু উথিত জলজ উদ্ভিদ।
হাইড্রোফাইট উদ্ভিদের একটি অভিযােজনগত বৈশিষ্ট্য হল এই ধরনের উদ্ভিদ জলজ পরিবেশে বিকাশলাভ করে বলে এদের মূলগুলি ছােটো, দুর্বল, নরম, গুচ্ছাকার ও রােমহীন হয়।
যেসব উদ্ভিদের মূল মাটির সঙ্গে যুক্ত না থেকে জলের ওপর স্বাধীনভাবে ভেসে বেড়ায় তাদের স্বাধীনভাবে । ভাসমান জলজ উদ্ভিদ বলে।
যেসব জলজ উদ্ভিদের মূল মাটির সঙ্গে যুক্ত থেকে পাতা জলের ওপর ভেসে বেড়ায় তাদের প্রােথিত মূলযুক্ত ভাসমান উদ্ভিদ বলে।
যেসব জলজ উদ্ভিদের পুরােটাই জলে ডুবে থাকে তাদের নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ বলে।
মেসােফাইট ও হাইড্রোফাইট উদ্ভিদের একটি পার্থক্য হলমেসােফাইট জাতীয় উদ্ভিদের বিকাশলাভের জন্য মাঝারি পরিমাণ জলের প্রয়ােজন হয় কিন্তু হাইড্রোফাইট জাতীয় উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণ জলের প্রয়ােজন হয়।
হ্যালােফাইট বনাঞ্চলে লবণাক্ত মৃত্তিকা দেখা যায়।
হ্যালােফাইট প্রজাতির উদ্ভিদে ফলের মধ্যে অঙ্কুরােদ্গম হয়, কারণ লবণাক্ত মৃত্তিকাতে বীজের অঙ্কুরােদগম ঘটতে পারে না বলে মাটিতে পড়ার আগেই উদ্ভিদের ফলের মধ্যে অঙ্কুরােদ্গম ঘটে।
যেসব উদ্ভিদের মধ্যে জলজ ও স্থলজ উভয় উদ্ভিদেরই বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় তাদের উভচর উদ্ভিদ বলে।
উভচর জলজ উদ্ভিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—এই জাতীয় উদ্ভিদগুলি অতি অল্প জলে বৃদ্ধিলাভ করতে পারে।
জলজ উদ্ভিদের মূলগুলি ছােটো, দুর্বল, নরম, গুচ্ছাকার ও রােমহীন প্রকৃতির হয়।
লবণাম্বু উদ্ভিদের একটি বৈশিষ্ট্য হল—এই ধরনের উদ্ভিদগুলির বীজের অঙ্কুরােদ্গম মাটির বদলে গাছে থাকাকালীন ফলের মধ্যেই হয়ে যায়, একে জরায়ুজ অঙ্কুরােদ্গম বলে।
লবণাম্বু উদ্ভিদের একটি অভিযােজনগত বৈশিষ্ট্য হল— লবণাক্ত জলে জন্মায় বলে শ্বসনকার্যের অসুবিধা দূর করার জন্য এই গাছগুলির মূল মাটির নীচ থেকে ওপরের দিকে অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের দিকে বৃদ্ধি পায়, একে বলে শ্বাসমূল।
ভারতের সুন্দরবন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি লবণাম্বু উদ্ভিদ দেখা যায়।
যেসব উদ্ভিদ জলের অভাবকে এড়ানাের জন্য খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে।
যেসব উদ্ভিদ দীর্ঘসময় মাটিতে জলের অভাবসহ শুষ্ক পরিবেশ বা খরা সহ্য করতে পারে তাদের খরা সহিষ্ণু উদ্ভিদ বলে।
দুটি খরা সহ্যকারী উদ্ভিদের নাম হল বাবলা এবং আকন্দ।
যেসব উদ্ভিদ দীর্ঘসময় ধরে খরাকে প্রতিরােধ করে স্বাভাবিক জীবণধারণ করে তাদের খরা প্রতিরােধী উদ্ভিদ বলে।
জাঙ্গল উদ্ভিদের জন্য মরু ও মরুপ্রায় এবং শুষ্ক জলবায়ু অর্থাৎ বাতাস প্রায় জলীয় বাষ্পহীন, অধিক বাস্পীভবন ও মাটিতে জলের অভাব প্রকট এমন প্রাকৃতিক অবস্থার প্রয়ােজন।
জাঙ্গল উদ্ভিদের মূলগুলি সুগঠিত ও প্রচুর শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয়।
জাঙ্গল উদ্ভিদের একটি বৈশিষ্ট্য হল—এই ধরনের উদ্ভিদগুলির বৃদ্ধি খুবই মন্থর গতিতে হয় বলে এদের আকৃতি খর্বাকার হয়।
জলজ উদ্ভিদ ও জাঙ্গল উদ্ভিদের একটি পার্থক্য হল- জলজ উদ্ভিদ আর্দ্র জলবায়ুর উদ্ভিদ এবং জাঙ্গল উদ্ভিদ মরু ও মরুপ্রায় জলবায়ুর উদ্ভিদ।
জাঙ্গল উদ্ভিদের একটি অভিযােজনগত বৈশিষ্ট্য হল- যেহেতু এই জাতীয় উদ্ভিদগুলি শুষ্ক অঞ্চলে জন্মায় তাই জল প্রাপ্তির জন্য মূলগুলিকে মাটির অনেক গভীরে যেতে হয়, ফলে মূলগুলির দৈর্ঘ্য বড়াে হয়।
ফলের মধ্যেই বীজের অঙ্কুরােদ্গমের প্রক্রিয়াকে জরায়ুজ অঙ্কুরােদ্গম বলে।
বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব পরিমাপের জন্য ডবসন একক ব্যবহার করা হয়।
ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব মেরু ও উপমেরু অঞ্চলে সবথেকে বেশি।
অ্যান্টার্কটিকার ওপর ওজন স্তরের পাতলা হয়ে যাওয়ার ফলে যে গর্ত তৈরি হয়েছে, তাকে ওজোন গহ্বর বলে। সাধারণত শীতকালে ওজন স্তর ক্ষয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ওজোন স্তর ক্ষয় পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক কারণ হল— প্রতি 10-12 বছর অন্তর সূর্যরশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে বায়ুতে নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ওজোন স্তর ক্ষয়ে সাহায্য করছে।
ওজোন স্তর ক্ষয় পাওয়ার একটি মনুষ্যসৃষ্ট কারণ হল- অধিক পরিমাণে ক্লোরােফ্লুরােকার্বন গ্যাসের নির্গমনে ওজোন স্তর ক্ষয় পায়।
ওজোন গ্যাসটি অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ছাতার মতাে পৃথিবীকে রক্ষা করে বলে একে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলে।
অতিবেগুনি রশ্মির সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
পােলার স্ট্র্যাটোস্ফিরিক ক্লাউড বা মেরুদেশীয় শান্তমণ্ডলীয় মেঘ ওজোন ক্ষয়ের জন্য দায়ী।
ওজোন স্তরের ক্ষয়ের ফলে মানুষের ত্বকের অনাবৃত অংশ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা দগ্ধ হয়। একে সৌর দগ্ধ (Sunburn) বলে। এর প্রভাবে ত্বক তামাটে বর্ণ ধারণ করে।
ওজোন স্তরের ক্ষয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তার বংশবিস্তার ব্যাহত হয়।
ওজোন স্তরের ক্ষয়ের ফলে কোনাে কোনাে উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
ওজোন স্তরের ক্ষয়ের ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে।
বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming) বলে।
পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী।
পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চল ও বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের অধিকাংশ বরফ গলে যাবে ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
গ্রিনহাউস প্রভাব প্রতিরােধে গৃহীত একটি ব্যবস্থা হল জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা।
বিভিন্ন স্থানে হিমবাহের অগ্রগমন ও পশ্চাদপসরণ। পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রমাণ।
গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য 1997 সালে যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল সেটি কিয়ােটো প্রােটোকল নামে পরিচিত।
সৌরশক্তির পরিমাণের হ্রাসবৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অপার্থিব কারণ।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রাকৃতিক কারণ।
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)
Leave a comment