দূরাগত শিক্ষা প্রথাবহির্ভূত বা বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নীচে উল্লেখ করা হল

(১) স্বল্প প্রত্যক্ষ শিক্ষাদানের সুযোগ: দূরাগত শিক্ষায় শিক্ষক অতি অল্প সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষাদানের সুযােগ পান।

(২) মৌখিক নির্দেশিকা দান: এই শিক্ষায় অল্প সময়ের মৌখিক নির্দেশিকা দেওয়া হয় এবং ওইসব নির্দেশ অনুযায়ী পঠনপাঠন করলে শিক্ষার্থীরা সঠিক পথে চালিত হতে পারে।

(৩) নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজনহীনতা: এই ধরনের শিক্ষায় ‘পার্সোনাল কনট্যাক্ট প্রােগ্রাম’-এর জন্য সাধারণত প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করা হয়।

(৪) ফিডব্যাকের অভাব: শিক্ষকের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী কতখানি শিখতে পেরেছে, এখানে সে-বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয় না।

(৫) ব্যক্তিগত শিখন: এই শিক্ষায় শিখন ব্যক্তিগতভাবে হয়, দলগতভাবে হয় না।

(৬) বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্য গ্রহণ: এই ধরনের শিক্ষায় বিভিন্ন গণমাধ্যম, যেমন—রেডিয়াে, টেলিভিশন, ডাকপরিসেবা, চলচ্চিত্র প্রভৃতির সাহায্য নেওয়া হয়।

(৭) আংশিক সময়ের শিক্ষা: এই শিক্ষা আংশিক সময়ের শিক্ষা। শিখনের সময় নির্দিষ্ট নয়। শিক্ষার্থী তার সুযােগমতাে সময় ঠিক করে নেয়। এই জন্যই এটিকে আংশিক সময়ের শিক্ষা বলা যায়।

(৮) ইচ্ছামতাে বিষয় নির্বাচনের সুবিধা: এখানে শিক্ষার্থী নিজের ইচ্ছামতাে বিষয় নির্বাচন করতে পারে।

(৯) স্বল্প ব্যয়সাধ্য: এই শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশােনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

(১০) শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষা: এই শিক্ষার সুফল হল শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হওয়ায় বিষয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আত্মনির্ভরশীল এবং আত্মবিশ্বাসীও হয়ে ওঠে।

(১১) শিক্ষার্থীর চাহিদা ও দাবি পূরণ: এই শিক্ষার পাঠক্রম, পঠনপাঠন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি যথেষ্ট নমনীয় হওয়ার ফলে সব ধরনের শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা ও প্রয়ােজন অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

(১২) জীবিকাকেন্দ্রিক শিক্ষা: এই শিক্ষার পাঠক্রম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীবিকাকেন্দ্রিক হয়।