প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কখন হয়?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে এবং শেষ হয় ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে শুরু হয়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর।


জাতিসংঘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠানটির নাম কী?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠানটির নাম হল জাতিসংঘ বা লিগ অফ নেশন্স।


কত খ্রিস্টাব্দে লন্ডন ঘােষণা স্বাক্ষরিত হয়?

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুন লন্ডন ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়।


জাতিসংঘ এবং জাতিপুঞ্জের একটি বৈসাদৃশ্য লেখাে।

জাতিসংঘ উপনিবেশবাদের প্রতিষ্ঠা করে, কিন্তু জাতিসংঘের ব্যর্থতার পর জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠা হওয়ায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ সাধিত হয়।


জাতিসংঘের পতন কখন হয়?

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাতিসংঘের অপমৃত্যু হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (ভারতের শাসন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (সরকারের বিভিন্ন বিভাগ Short Question)

রাষ্ট্রবিজ্ঞান Class-12 (পররাষ্ট্রনীতি Short Question)

রাষ্ট্র বিজ্ঞান Class-12 (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক – Short Question)

আটলান্টিক সনদ কত খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের মধ্যে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয়।


আটলান্টিক সনদে ক-টি নীতি ঘােষিত হয়?

আটলান্টিক সনদে আটটি নীতি ঘােষিত হয়।


চার্চিল ও রুজভেল্ট কোন যুদ্ধজাহাজে মিলিত হন?

প্রিন্স অফ ওয়েলস নামক যুদ্ধজাহাজে চার্চিল ও রুজভেল্ট মিলিত হন।


কোন্ ঘােষণার দ্বারা আটলান্টিক সনদের নীতিগুলির প্রতি সমর্থন জানানাে হয়?

ওয়াশিংটন ঘােষণার দ্বারা আটলান্টিক সনদের নীতিগুলির প্রতি সমর্থন জানানাে হয়।


ওয়াশিংটন ঘােষণা বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঘােষণা কী?

মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট, সোভিয়েত প্রতিনিধি মাকসিস লিটভিনভ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এবং চিনের প্রতিনিধি টি ভি সুঙ, ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে মিলিত হয়ে একটি দলিলে স্বাক্ষর করেন। এই দলিলটি ওয়াশিংটন ঘােষণা বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ঘােষণা নামে পরিচিত।


United Nations শব্দটি প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়?

United Nations শব্দটি ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ওয়াশিংটন সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ব্যবহার করেন।


মস্কো ঘােষণার ৪ ও ৭ নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

মস্কো ঘােষণার ৪ ও ৭ নং ধারায় সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ নামটি উল্লেখ করে, জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


তেহরান ঘােষণা কী?

মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট, পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধান স্তালিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল তেহরানে সমবেত হন। তারা ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১ ডিসেম্বর একটি ঘােষণাপত্র স্বাক্ষর করেন, যেটি বিশ্ব-ইতিহাসে তেহরান ঘােষণা নামে পরিচিত।


ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন কত খ্রিস্টাব্দে হয়?

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন শহরের কিছু দূরে ডাম্বারটন ও নামক স্থানে এই সম্মেলন হয়েছিল।


নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলি সম্পর্কে ‘ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন’-এ কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল?

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলি সম্পর্কে ডাম্বারটন ওকস সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল যে, নিরাপত্তা পরিষদ শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনাে বিবাদের মীমাংসা করতে অক্ষম হলে, সেক্ষেত্রে প্রয়ােজন দেখা দিলে বলপ্রয়ােগের ক্ষমতাও সে প্রয়ােগ করতে পারবে।


সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন কবে শুরু হয়?

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল জাতিপুঞ্জের সনদ রচনার উদ্দেশ্যে সানফ্রান্সিসকো অপেরা হাউসে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন শুরু হয়েছিল।


সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন?

সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন এডওয়ার্ড স্টেটিনিয়াস।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ রচনার কাজ কোন সম্মেলনে শুরু হয়েছিল?

সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ রচনার কাজ শুরু হয়েছিল।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ দিবসরূপে বছরের কোন্ দিনটি পালিত হয়?

প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর দিনটি সর্বসম্মতিক্রমে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ দিবস রুপে পালিত হয়।


জাতিপুঞ্জের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্রের নাম কী?

জাতিপুঞ্জের অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ গঠিত হওয়ার সময় সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা উল্লেখ করাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ গঠিত হওয়ার সময় সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল ৫১।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে কতগুলি ধারা আছে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে ১১১টি ধারা আছে।


জাতিপুঞ্জের সনদ কাকে বলে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সংবিধানকে সনদ বলা হয়।


জাতিপুঞ্জের সনদে কী কী আছে?

জাতিপুঞ্জের সনদে ১টি প্রস্তাবনা, ১৯টি অধ্যায় এবং ১১১টি ধারা আছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য, নীতি ও কার্যপদ্ধতি কোথায় আলােচনা করা হয়েছে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে এর উদ্দেশ্য, নীতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে।


জাতিপুঞ্জের সনদের ১নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

জাতিপুঞ্জের সনদের ১নং ধারায় বলা হয়েছে পৃথিবীকে যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে জাতিপুঞ্জের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।


জাতিপুঞ্জের সনদের ২নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

জাতিপুঞ্জের সনদের ২নং ধারায় জাতিপুঞ্জের মূল নীতিগুলি লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মূল লক্ষ্যগুলি কোথায় আলােচনা করা হয়েছে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের প্রস্তাবনার মধ্যে এর মূল লক্ষ্যগুলি আলােচনা করা হয়েছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি মূল লক্ষ্য লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের লক্ষ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – (১) আগামী দিনের যুদ্ধের বিধ্বংসী রূপ থেকে আমাদের বংশধরদের রক্ষা করা। (২) সামাজিক প্রগতি ও ব্যাপকতর অবাধ পরিবেশের মধ্য থেকে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।


জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য কোথায় বর্ণনা করা হয়েছে?

জাতিপুঞ্জের সনদের ১নং ধারায় জাতিপুঞ্জের চারটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে।


জাতিপুঞ্জের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।

জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল— (১) যৌথ আত্মনির্ভরশীলতা ও সদস্যরাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা করে, (২) মানুষের মানবিক অধিকার ও মৌল স্বাধীনতা গুলি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করা।


জাতিপুঞ্জের সনদে ক-টি নীতি বর্ণিত আছে?

জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্যগুলি বাস্তবে রূপায়ণের জন্য সাতটি নীতির কথা বলা হয়েছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি নীতি উল্লেখ করাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি উল্লেখযােগ্য নীতি হল – (১) সকল সদস্য রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার সমানাধিকার স্বীকৃত হয়েছে (২ ধারা ১ উপধারা)। (২) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিঘ্ন সৃষ্টি না করে সকল সদস্য রাষ্ট্র বিবাদ-বিসংবাদ গুলি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করতে হবে (৩ উপধারা)।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কটি অঙ্গ আছে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ৬টি অঙ্গ বা সংস্থা আছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের যে-কোনাে চারটি অঙ্গের নাম উল্লেখ করাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের চারটি অঙ্গের নাম হল – (১) সাধারণ সভা, (২) নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক (৩) সামাজিক পরিষদ এবং (৪) অছি পরিষদ।


সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র কতজন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে?

সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র অনধিক ৫ জন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে।


কাকে ‘বিশ্ব পার্লামেন্ট’ বলা হয়?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভাকে বিশ্ব পার্লামেন্ট বলা হয়।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভা কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে সাধারণ সভা গঠিত হয়।


বর্তমানে সাধারণ সভার মােট সদস্য সংখ্যা কত?

বর্তমানে সাধারণ সভার মােট সদস্য সংখ্যা হল ১৯৩।


সাধারণ সভায় কত জন সভাপতি থাকেন?

সাধারণ সভায় ১ জন সভাপতি এবং ২১ জন সহ-সভাপতি থাকেন।


সাধারণ সভায় সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা কখন নির্বাচিত‌ হয়?

প্রতি বছর অধিবেশন শুরু হওয়ার পূর্বে সাধারণ সভায় সভাপতি এবং সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়।


সাধারণ সভার কমিটিগুলিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

সাধারণ সভার কমিটিগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা— (১) মূল কমিটি, (২) অন্যান্য কমিটি।


সাধারণ সভায় কোন বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয় না?

সাধারণ সভায় কোনাে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে আলােচনা করা হয় না।


শান্তির জন্য সম্মিলিত হওয়ার প্রস্তাব কত খ্রিস্টাব্দে গৃহীত হয়?

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর সাধারণ সভায় শান্তির জন্য সম্মিলিত হওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কোশাগারের দায়িত্ব কার হাতে থাকে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কোশাগারের দায়িত্ব সাধারণ সভার হাতে থাকে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্যদের তিরস্কার এবং ভােটাধিকার বাতিল করার ক্ষমতা জাতিপুঞ্জের কোন সংস্থা করে?

যদি কোনাে সদস্য রাষ্ট্র যথাসময়ে তার দেওয়া অর্থ প্রদান না করে তবে সাধারণ সভা তাকে তিরস্কার করা থেকে শুরু করে তার ভােটাধিকার পর্যন্ত বাতিল করতে পারে।


সাধারণ সভা কাদের নির্বাচন করে থাকে?

সাধারণ সভা নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্যদের এবং অছি পরিষদের কিছু সংখ্যক সদস্যদের নির্বাচন করে থাকে। এ ছাড়াও নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ সভা মহাসচিব, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিদের এবং জাতিপুঞ্জের নতুন সদস্যদের নির্বাচন করে থাকে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ সংশােধনের প্রস্তাব কীভাবে কার্যকর হয়?

নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতিক্রমে জাতিপুঞ্জের সনদ সংশােধনের প্রস্তাবগুলি কার্যকর হয়।


সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র কতটি করে ভোট দিতে পারে?

সাধারণ সভায় ক্ষুদ্র, বৃহৎ প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র প্রতিটি বিষয়ে মাত্র একটি করে ভােট দিতে পারে।


সাধারণ সভার ভােটদান পদ্ধতি লেখাে।

সাধারণ সভায় প্রতিটি ক্ষুদ্র-বৃহৎ সদস্য রাষ্ট্র একটি করে প্রতিটি বিষয়ে ভােটদান করতে পারে। সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভেটো দানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ভােটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচন, সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নতুন সদস্য গ্রহণ করা প্রভৃতি। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলিতেও সাধারণ সভায় উপস্থিত ও ভোট দানের সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


সাধারণ সভাকে বিশ্বনাগরিক সভা কে বলেছেন?

অধ্যাপক গেটেল সাধারণ সভাকে বিশ্বনাগরিক সভা বলেছেন।


সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন কবে বসে?

সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বসে।


সাধারণ সভার অধিবেশন বছরে কত বার বসে?

সাধারণ সভার অধিবেশন বছরে একবার বসে। তবে জরুরি অবস্থায় বিশেষ অধিবেশনও আহ্বান করা যায়।


সাধারণ সভাকে বিশ্বের নাগরিক সভা বলা হয় কেন?

সাধারণ সভা বিশ্বের সকল স্বেচ্ছাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত, যেখানে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানবজাতির নানা সমস্যা ও ভাবনার কণ্ঠস্বর ধ্বনিত ও প্রতিফলিত হয়। এই কারণে অধ্যাপক গেটেল সাধারণ সভাকে বিশ্বের নাগরিক সভা বলেছেন।


কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সভায় প্রথম শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব গৃহীত হয়?

কোরিয়া সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর সাধারণ সভায় শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব গৃহীত হয়।


শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাবের অর্থ কী?

শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাবের অর্থ হল ভেটো প্রয়ােগের ফলে নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিজ দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে সাধারণ সভা সেই দায়িত্ব পালন করবে। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর এই প্রস্তাবটি জাতিপুঞ্জে গৃহীত হয়।


সাধারণ সভার দুটি প্রধান কার্যাবলি উল্লেখ করাে।

সাধারণ সভার দুটি প্রধান কার্যাবলি হল – (১) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করার সাধারণ নিয়মগুলি নিয়ে সাধারণ সভা আলােচনা করতে পারে। (২) সাধারণ সভার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আইন প্রণয়ন করা। সাধারণ সভা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নততর আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়নে উৎসাহদান করে থাকে।


সাধারণ সভার একটি নির্বাচন মূলক কাজ লেখাে।

সাধারণ সভার একটি নির্বাচন মূলক কাজ হল নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী ১০ জন সদস্যকে নির্বাচন করা।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কোন দুটি সংস্থা সনদ সংশােধনের কাজ করে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদ জাতিপুঞ্জের সনদ সংশােধনের কাজ করে।


জাতিপুঞ্জের প্রধান চালিকা শক্তি কোনটি?

জাতিপুঞ্জের প্রধান চালিকা শক্তি হল নিরাপত্তা পরিষদ।


নিরাপত্তা পরিষদ কাদের নিয়ে গঠিত?

নিরাপত্তা পরিষদ ৫ জন স্থায়ী এবং ১০ জন অস্থায়ী সদস্যকে নিয়ে গঠিত।


বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদে ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী অর্থাৎ ১৫ টি সদস্য রাষ্ট্র আছে।


কত খ্রিস্টাব্দে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে ১৫ করা হয়েছে?

১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে ১৫ করা হয়।


নিরাপত্তা পরিষদে কোন্ কোন দেশের ভেটো প্রয়ােগের ক্ষমতা আছে?

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র যথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিনের ভেটো প্রয়ােগের ক্ষমতা রয়েছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের যে-কোনাে দুটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের নাম লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।


নিরাপত্তা পরিষদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী?

নিরাপত্তা পরিষদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সনদের ২৪-২৬ নং ধারায় উল্লেখ করা আছে। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সকল বিরােধের নিষ্পত্তি ঘটানাে।


প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে কত জন প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে?

প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে অনধিক ১ জন করে প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারে।


নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিরা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হন?

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি এক মাসের জন্য নির্বাচিত হন।


নিরাপত্তা পরিষদের বিরােধ নিষ্পত্তির কয়েকটি শান্তিপূর্ণ উপায়ের নাম লেখাে।

বিরােধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের শান্তিপূর্ণ উপায়গুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল আলাপ-আলােচনা, আপসের প্রচেষ্টা, মধ্যস্থতা, সালিশি, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি প্রভৃতি।


নিরাপত্তা পরিষদের দুটি নিবর্তনমূলক বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ করো।

(১) শান্তি ভঙ্গকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, (২) কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা।


নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ােগ ক্ষমতা বলতে কী বোঝো?

নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ সভা তার প্রধান কর্মসচিব ও আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিদের নিয়ােগ করে এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নতুন সদস্যদের গ্রহণ করে।


নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন প্রথম কবে বসে?

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসে।


নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা কী?

নিরাপত্তা পরিষদের যে-কোনাে স্থায়ী সদস্যের কার্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে নেতিবাচক ভােটকে ভেটো বলা হয়ে থাকে।


নিরাপত্তা পরিষদের অনুসৃত দ্বৈত ভেটো বলতে কী বোঝায়?

পদ্ধতিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা একই বিষয়ে দু-বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়ােগ করলে, তাকে দ্বৈত ভেটো বা Double Veto’ বলা হয়।


দ্বৈত ভেটো সমস্যা কীভাবে দূর করা সম্ভব?

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি কোনাে বিতর্কিত বিষয়কে কার্যবিধির বা পদ্ধতিগত বিষয় বলে ঘােষণা করলে দ্বৈত ভেটো প্রয়ােগের সমস্যা এড়ানাে সম্ভব।


নিরাপত্তা পরিষদে সবচেয়ে বেশিবার ভেটো প্রয়ােগ করেছে কোন সদস্য রাষ্ট্র?

নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত বিষয় গুলো সবচেয়ে বেশিবার ভেটো প্রয়ােগ করেছে রাশিয়া।


নিরাপত্তা পরিষদে সবচেয়ে কমবার ভেটো প্রয়ােগ করেছে। কোন্ সদস্যরাষ্ট্র?

নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত বিষয় গুলো সবচেয়ে কমবার ভেটো প্রয়ােগ করেছে চিন।


নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ভেটো প্রদান ক্ষমতার অর্থ কী?

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ভেটো প্রদান ক্ষমতার অর্থ হল কোনাে প্রস্তাবের উপর না-সূচক অসম্মতি জ্ঞাপন করা, অর্থাৎ পদ্ধতিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থায়ী সদস্যদের অসম্মতিসূচক ভােট প্রদানের অধিকার আছে।


গণপ্রজাতন্ত্রী চীন কবে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে?

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে।


নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের কারা নির্বাচন করে?

জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভার সদস্যরা নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচন করে।


নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা কত বছরের জন্য নির্বাচিত হন?

নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন।


নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য কোন কোন দেশ থেকে নির্বাচিত হন?

জাতিপুঞ্জের সনদের সংশােধন আইন অনুযায়ী এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে ৫টি, পূর্ব ইউরোপ থেকে ১টি, লাতিন আমেরিকা থেকে ২টি এবং পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য দেশ থেকে ২টি রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য রূপে নির্বাচিত হন।


নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন?

নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যেক অস্থায়ী সদস্য সাধারণ সভার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হন।


নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র ক-টি করে ভোটদানের অধিকার?

নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র একটি করে ভোটদানের অধিকার।


কোন্ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে না?

কার্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো প্রয়ােগের ক্ষমতা থাকে না।


নিরাপত্তা পরিষদের সনদ সংশােধন করার ক্ষমতা আছে কি?

নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদ সংশােধনের ক্ষেত্রে। সনদ সংশােধনের কোনাে প্রস্তাব যদি সাধারণ সভার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত হয় এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসারে সংশােধন প্রস্তাব সমর্থন করে, তবে সনদ সংশােধন কার্যকর হতে পারে।


জাতিপুঞ্জের সনদ সংশােধনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ বলতে কী বােঝানাে হয়?

নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ বলতে পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য-সহ মােট সদস্যরাষ্ট্রের অন্তত ৯টির সম্মতি থাকবে বােঝায়।


নিরাপত্তা পরিষদের একটি উল্লেখযােগ্য কমিটির নাম লেখাে।

নিরাপত্তা পরিষদের একটি উল্লেখযােগ্য কমিটির নাম হল নিরস্ত্রীকরণ কমিটি বা সামরিক কমিটি।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের যৌথ নিরাপত্তা নীতি কী?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের যৌথ নিরাপত্তা বলতে বােঝায়, জাতিপুঞ্জের বৃহৎ নিয়ন্ত্রণে শক্তিধর রাষ্ট্র সমূহের যৌথ নেতৃত্বে জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা।


নিরাপত্তা পরিষদের একটি দুর্বলতা উল্লেখ করাে।

নিরাপত্তা পরিষদের সবচেয়ে বড়াে দুর্বলতা হল, এর স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভেটো ক্ষমতা। ভেটো ব্যবস্থার প্রচলনের ফলে শান্তি ভঙ্গকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে গঠিত জাতিপুঞ্জের সংস্থাটির নাম কী?

অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে গঠিত জাতিপুঞ্জের সংস্থাটির নাম হল – অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ।


প্রাথমিক পর্বে জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত ছিল?

প্রাথমিক পর্বে জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ১৮ টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়েছিল।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কত জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়?

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ৫৪ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়।


জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ কত?

জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ হল ৩ বছর।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কত জন সদস্য প্রতি বছর পদত্যাগ করেন?

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রতি বছর পদত্যাগ করেন।


আর্থসামাজিক পরিষদে কত জন সভাপতি ও সহ-সভাপতি থাকে?

আর্থ সামাজিক পরিষদে ১ জন সভাপতি ও ২ জন সহ-সভাপতি থাকে।


আর্থসামাজিক পরিষদের অধিবেশন বছরে কত বার হয়?

আর্থসামাজিক পরিষদের অধিবেশন বছরে ৩ বার হয়।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের বছরের প্রথম অধিবেশন কবে ও কোথায় হয়?

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের বছরের প্রথম অধিবেশন এপ্রিল থেকে মে মাসে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের বছরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অধিবেশন কবে, কোথায় হয়?

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন জুলাই মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের তৃতীয় অধিবেশন অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে হয়।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের কত নম্বর ধারায় আর্থসামাজিক পরিষদের কার্যাবলি আলােচনা করা হয়েছে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের ৬২-৬৬ নম্বর ধারায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যাবলি আলােচনা করা হয়েছে।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের একটি কাজ উল্লেখ করাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের দুটি কাজ হল- (১) জাতিপুঞ্জের বিশেষ সংস্থাগুলির কাছ থেকে কাজকর্মের প্রতিবেদন নিয়মিত সংগ্রহ করা ও সেগুলিকে সাধারণ সভায় উত্থাপন করা। (২) মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সংরক্ষণ করা।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কয়েকটি কমিশনের নাম লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্য সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কার্যনির্বাহী কমিশন আছে। এই সমস্ত কমিশনের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল পরিসংখ্যান কমিশন, নিরস্ত্রীকরণ কমিশন, জনসংখ্যা কমিশন প্রভৃতি।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীন দুটি আঞ্চলিক কমিশনের নাম লেখাে।

ECA (Economic Commission for Africa) এবং ECE (Economic Commission for Europe)- এই দুটি আঞ্চলিক কমিশন অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীন।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের দুটি ‘বিশেষজ্ঞ সংস্থা’র নাম লেখাে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের দুটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা হল UNESCO, FAO।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনস্থ চারটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার নাম লেখাে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল UNICEF, FAO, ILO, IMF।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের যেকোনো দুটি এজেন্সির নাম লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের দুটি এজেন্সি হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)।


খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দুটি উদ্দেশ্য লেখ।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দুটি উদ্দেশ্য হল- (১) সকল দেশের জনগণের পুষ্টিসাধনের ব্যবস্থা করা, (২) খামার, মৎস্য, অরণ্য প্রভৃতি সংরক্ষণের চেষ্টা করা।


খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কীসের দ্বারা পরিচালিত হয়?

খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একটি বার্ষিক সম্মেলনের দ্বারা পরিচালিত হয়।


খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বার্ষিক অধিবেশন কত বার হয়?

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বার্ষিক অধিবেশন অন্তত দু-বার বসে।


খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সংবিধানে ক-টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল?

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সংবিধানে ৪২টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল।


খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিজের নিজের এলাকায় সমস্ত জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটানাে এবং পুষ্টি সাধনের ব্যবস্থা করা। কৃষিপণ্যের উৎপাদন ঘটিয়ে তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কবে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিশেষ সংস্থা হিসেবে কার্যকর হয়?

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জাতিপুঞ্জের বিশেষ সংস্থা হিসেবে কার্যকর হয়।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দুটি নীতি লেখ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল নীতি হল – (১) শ্রমকে কখনােই পণ্যদ্রব্যের মতাে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না এবং (২) দেশের প্রগতির জন্য অপরিহার্য হল বাক ও সংঘ গঠনের স্বাধীনতা।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল উদ্দেশ্য কী?

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হল শ্রমজীবী মানুষের জন্য সার্বিক কল্যাণকর কাজকর্ম করা এবং প্রগতির উন্নয়ন ঘটানাে।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদর কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদর কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান দুটি কাজ লেখাে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান কাজ হল (১) শ্রমিকদের পূর্ণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং (২) জীবনধারণের উপযােগী বেতন প্রদান করা।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থাটি (UNESCO) কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (UNESCO) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।


UNESCO-র কেন্দ্রীয় কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

UNESCO-র কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্যারিসে অবস্থিত।


UNESCO কী?

UNESCO- পুরো কথাটি হলো – United Nations Educational Scientific and Cultural Organization I এর উদ্দেশ্য হল শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযােগিতার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি স্থাপনের ব্যবস্থা করা।


UNESCO-র প্রধান উদ্দেশ্য কী?

UNESCO-র প্রধান উদ্দেশ্য হল— শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযােগিতার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করা।


UNESCO কীভাবে গঠিত হয়?

একটি সাধারণ সম্মেলন, একটি পরিচালক পরিষদ এবং একটি কর্মদপ্তর নিয়ে UNESCO বা সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা গড়ে উঠেছে।


ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে সভা কত বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়?

ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের সভা প্রতি দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়।


ইউনেস্কোর পরিচালক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

ইউনেস্কোর পরিচালক পরিষদের সদস্য সংখ্যা হল ৫৮।


UNESCO-র প্রথম কর্মসচিব কে ছিলেন?

UNESCO-র কর্মদপ্তরের প্রথম কর্ম সচিব ছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী জুলিয়াস হাক্সলি।


UNESCO-র কর্মদপ্তর কাদের নিয়ে গঠিত?

একজন কর্মসচিব ও কিছু সংখ্যক কর্মচারীকে নিয়ে UNESCO-র কর্মদপ্তর গঠিত।


UNESCO-র দুটি কাজ উল্লেখ করাে।

UNESCO-র উল্লেখযােগ্য দুটি কাজ হল— (১) অজ্ঞতা দূরীকরণ এবং মৌলিক শিক্ষার প্রসার যাতে সর্বত্র বিস্তারলাভ করে তার চেষ্টা করা, (২) বিশ্বে মানবাধিকার স্থাপনের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।


ইউনেস্কো কবে, কোথায় মৌল শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে?

ইউনেস্কো ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে মেক্সিকোতে একটি মৌল শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে।


কেন্দ্রীয় জনশিক্ষা পরিকল্পনা কবে চালু হয়?

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় জনশিক্ষা পরিকল্পনা চালু হয়েছিল।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৪।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কীভাবে গঠিত হয়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি কার্যনির্বাহী পর্ষদ ও একটি দপ্তর নিয়ে গঠিত।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা হল ৩৪।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ কত বছরের জন্য নির্বাচিত হন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যগণ নির্বাচিত হন ৩ বছরের জন্য।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর কার্যালয় জেনেভায় অবস্থিত।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুটি কাজ লেখাে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুটি উল্লেখযােগ্য কাজ হল – (১) বিভিন্ন দেশের জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ করা এবং (২) বিভিন্ন দেশে বিশ্ব-জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রেরণ করে পরামর্শ দান।


আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সদস্য সংখ্যা কত?

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮৮।


আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটানাে এবং উৎপাদন সামগ্রীর উন্নতিসাধনের জন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলিকে শর্তসাপেক্ষে অর্থভাণ্ডারের সম্পদ ব্যবহারের সুযােগ দেওয়া।


আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কার্যনির্বাহী পরিষদে কত জন সদস্য রয়েছে?

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কার্যনির্বাহী পরিষদে ২৪ জন সদস্য রয়েছে।


প্রাথমিক পর্বে কতটি রাষ্ট্র বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করে?

প্রাথমিক পর্বে ৩৮টি রাষ্ট্র বিশ্বব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করেছিল।


বিশ্বব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

বিশ্বব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পুনর্গঠন এবং উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করা।


বিশ্বব্যাংক কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে?

বিশ্বব্যাংক গঠিত হয় একটি গভর্নরদের পর্ষদ, একটি পরিচালক পর্ষদ, একজন সভাপতি এবং একটি কর্মদপ্তরকে নিয়ে।


বিশ্বব্যাংকের যাবতীয় ক্ষমতা কার হাত রয়েছে?

বিশ্ব ব্যাংকের যাবতীয় ক্ষমতা গভর্নরদের পর্ষদের হাতেই প্রদান করা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক অর্থপ্রতিষ্ঠান কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

আন্তর্জাতিক অর্থপ্রতিষ্ঠান ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।


আন্তর্জাতিক অর্থপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য কী?

ব্যক্তিগত মালিকানাধীনে পরিচালিত শিল্প সংস্থাগুলিকে ঋণ প্রদান করাই হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য।


আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কবে গঠিত হয়?

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা গঠিত হয়েছে।


আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্দেশ্য কী?

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্দেশ্য হল অনুন্নত দেশসমূহকে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ওই সমস্ত দেশগুলির উন্নতি বিধানের ব্যবস্থা করা।


অছি ব্যবস্থা কী?

স্বাধীনতা লাভের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ওইসব অঞ্চলকে স্বাধীনতা প্রদানের যে ব্যবস্থা করে, তাকে অছি ব্যবস্থা বলে।


অছি পরিষদ কী?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের যে সংস্থা অছি ব্যবস্থার উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপদান করে, তাকে অছি পরিষদ বলা হয়।


অছি পরিষদ কাদের নিয়ে গঠিত?

অছি পরিষদ – (১) অছি অঞ্চল গুলোর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ, (২) নিরাপত্তা পরিষদের সেই সমস্ত স্থায়ী সদস্যরা যারা অছি অঞ্চল শাসন করে না এবং (৩) সাধারণ সভা কর্তৃক তিন বছরের জন্য নির্বাচিত সমস্ত সদস্যদের নিয়েই অছি পরিষদ গঠিত হয়েছে।


বর্তমানে অছি পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত?

বর্তমানে অছি পরিষদের সদস্য সংখ্যা হল ৫।


অছি পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।

অছি পরিষদের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল অছি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলির সমস্ত অভিযােগ গ্রহণ করা এবং সেই অভিযােগগুলি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলােচনা করে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।


অছি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কে?

অছি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক হল সাধারণ সভা।


আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতির সংখ্যা কত?

আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতির সংখ্যা ১৫ জন।


আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য সংখ্যা কত?

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সদস্য সংখ্যা- ১৫ জন।


আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত?

আন্তর্জাতিক আদালত নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে বিচারপতিদের কার্যকালের মেয়াদ কত?

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা ৯ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতিরা কীভাবে নির্বাচিত হন?

নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ সভায় পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত ভোটের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান তারাই আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে বিচার কার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখার জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে বিচারকার্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখার জন্য প্রতি ৩ বছর অন্তর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৫ জন বিচারপতিকে অবসর গ্রহণ করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


কত জনের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিচারকার্যে কোরাম হয়?

কমপক্ষে ৯ জন বিচারপতির উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিচারকার্যে কোরাম হয়।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের উদ্দেশ্য কী?

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের উদ্দেশ্য হল বিশ্ব শান্তি লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্রগুলিকে নিরপেক্ষ রায়দানের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা এবং বিশ্বে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কর্মপরিধিকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের কর্মপরিধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, এই ভাগগুলি হল – (১) স্বেচ্ছামূলক এলাকা, (২) আধা-আবশ্যিক এলাকা, (৩) পরামর্শদান এলাকা।


আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের দুটি কাজ লেখাে।

(১) আন্তর্জাতিক বিচারালয় আন্তর্জাতিক বিবাদের মীমাংসা করে। (২) জাতিপুঞ্জের সদস্যরাষ্ট্রগুলিকে আইনি পরামর্শ দেওয়াও আন্তর্জাতিক বিচারালয় পালন করে থাকে।


কোন ভারতীয় আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতি হয়েছিলেন?

পি নগেন্দ্র একজন ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতি হয়েছিলেন।


মহাসচিব কে?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হলেন মহাসচিব। মহাসচিব জাতিপুঞ্জের প্রশাসনিক অধিকর্তা হিসেবে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী।


জাতিপুঞ্জের মহাসচিব কীভাবে নির্বাচিত হন?

জাতিপুঞ্জের মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে সাধারণ সভা কর্তৃক নির্বাচিত হন।


জাতিপুঞ্জের কর্মদপ্তর কাদের নিয়ে গঠিত হয়?

জাতিপুঞ্জের কর্মদপ্তর একজন মহাসচিব এবং প্রয়ােজনীয় সংখ্যক কর্মচারীকে নিয়ে গঠিত হয়।


জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করাে।

জাতিপুঞ্জের মহাসচিব – (১)জাতিপুঞ্জের বার্ষিক আয় ব্যয় বা বাজেট প্রস্তুত করেন, (২) বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি গঠন ও সাধারণ সভা আহ্বান প্রভৃতি কার্য সম্পাদন করেন।


মহাসচিবের রাজনৈতিক ক্ষমতা লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের রাজনৈতিক ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা বলে বিবেচিত হয়। এই ক্ষমতাবলে সনদের ৯৯ নং ধারানুসারে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতাে কোনাে পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে মহাসচিব সেই বিষয়টি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আবার কখনাে মহাসচিব নিজ উদ্যোগে শান্তি রক্ষার ব্যাপারে উদোগী হন।


মহাসচিবের যে-কোনাে একটি প্রশাসনিক ক্ষমতা উল্লেখ করাে?

মহাসচিবের একটি উল্লেখযােগ্য প্রশাসনিক ক্ষমতা হল জাতিপুঞ্জের কাজকর্মের একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সেটা সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদের কাছে পেশ করা।


জাতিপুঞ্জের যষ্ঠ মহাসচিব কে ছিলেন?

জাতিপুঞ্জের ষষ্ঠ মহাসচিব ছিলেন ইজিপ্টের বিশিষ্ট কূটনীতিবিদ ও বিদেশমন্ত্রী বুট্রোস বুট্রোস ঘালি (১৯৯২-১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ)।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিবের নাম কী?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন পর্তুগিজ অধিবাসী অ্যান্তোনিও গুতেরেস (২০১৭ খ্রিস্টাব্দ)।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের স্থায়ী সচিবালয় কোথায় অবস্থিত?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের স্থায়ী সচিবালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে (টার্টেলবে এরিয়া অব ম্যানহাটান) অবস্থিত।


জাতিপুঞ্জ নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষা করেছে এরকম দুটি উদাহরণ দাও।

১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কঙ্গোতে এবং ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাক-ভারত সংঘর্ষের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি রােধে জাতিপুঞ্জের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।


জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মূলক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত বিভাগের নাম কী?

জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মূলক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত বিভাগের নাম হল- শান্তিরক্ষামূলক কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিভাগ বা ডি পি কে ও (Department of Peace-Keeping Operations)।


জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষামূলক কার্যকলাপ বলতে কী বােঝাে?

আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন ঘটনা বা জাতীয় বিরােধের নিয়ন্ত্রণ ঘটানাে অথবা নিষ্পত্তিকরণ উদ্দেশ্যে জাতিপুঞ্জ অকুস্থলে যেসব কার্য সম্পাদন করে থাকে, সেগুলো হল জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মূলক কার্যকলাপ।


শান্তিরক্ষা মূলক কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য কী?

শান্তিরক্ষামূলক কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হল— বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কর্তৃক নির্দেশিত ও সংগঠিত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা অথবা একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে পরস্পরবিরােধী শক্তিগুলির মধ্যে সংকোচন, অবসান ঘটানাে এবং সংঘর্ষের প্রতিরােধ করা।


বর্তমানে জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনী বলবৎ রয়েছে এমন দুটি দেশের নাম উল্লেখ করাে।

বর্তমানে জাতিপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনী বলবৎ রয়েছে এমন দুটি দেশের নাম লেবানন ও সাইপ্রাস।


UNO-এর পুরাে কথা কী?

UNO-এর পুরাে কথা হল United Nations Organization।


FAO-এর পুরাে কথা কী?

FAO-এর পুরাে কথা হল- Food and Agricultural Organization।


ILO-এর পুরাে কথা কী?

ILO-এর পুরো কথা হল— International Labour Organization।


WHO-এর পুরাে কথা কী?

WHO-এর পুরাে কথা হলো World Health Organization।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাফল্যের যে-কোনাে দুটি দৃষ্টান্ত দাও।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাফল্যের দুটি দৃষ্টান্ত হল (১) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাজনীতির পরিস্থিতির জটিলতা হ্রাস করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে জাতিপুঞ্জ সাফল্য অর্জন করে। (২) নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে জাতিপুঞ্জের অবদান অস্বীকার করা যায় না।


সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মিলিটারি স্টাফ কমিটির প্রধান কাজ কী?

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মিলিটারি স্টাফ কমিটির প্রধান কাজ হল শান্তিভঙ্গকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়ােগের ব্যবস্থা করা।


বাফার স্টেট কী?

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিসাম্য বজায় রাখার একটি কৌশল হল বাফার স্টেট। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুই বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যা শক্তিসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, তা-ই বাফার স্টেট বা রাষ্ট্র নামে পরিচিত।


এচিসন পরিকল্পনার মূল বক্তব্য কী?

এচিসন প্রস্তাবের মূল বক্তব্য হল, বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো ক্ষমতার অবাঞ্ছিত প্রয়ােগের জন্য দায়িত্ব পালনে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই দায়িত্ব তখন সাধারণ সভা পালন করে থাকে।


আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতার দুটি দৃষ্টান্ত দাও।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতার দুটি দৃষ্টান্ত হল – (১) ২০০১-২০০২ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানের নিরীহ জনগণের উপর মার্কিন সেনাদের বেপরােয়া বোমাবর্ষণ, (২) সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অছিলায় প্যালেস্টাইনের উপর ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যাপক বোমাবর্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে।