ভাষার বিজ্ঞানই হল ভাষাবিজ্ঞান।
বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মতাে ভাষাবিজ্ঞানও নিত্য প্রগতিশীল এবং নিত্য সক্রিয় একটি বিদ্যা (Discipline)। বিজ্ঞান যেমন প্রতিদিন নতুন তথ্য আবিষ্কার করে এবং সেই নব-আবিষ্কৃত তথ্যের আলােয় পুরােনাে তথ্যকে সংশােধন ও পরিমার্জন করে, ভাষাবিজ্ঞানেও তেমনটিই ঘটে। বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল আরােহী পদ্ধতি, তা সর্বদাই বিশেষ (Particular) থেকে সাধারণ (General)- এর দিকে ধাবিত হয়। ভাষাবিজ্ঞানও এর ব্যতিক্রম নয়।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সম্পর্কিত আলােচনার প্রথম ধাপ হল তথ্যসংগ্রহ (Data Collection) এবং তার নথিভুক্তকরণ (Record)। দ্বিতীয় ধাপে সেই তথ্যের যথাযথ বর্ণনা (Objective Description) ও বিশ্লেষণ (Analysis) করা হয়। ভাষার উপাদানগুলির বারংবার বিশ্লেষণ থেকে যখন দেখা যায় যে, একই রকমের কারণ (Cause) থাকলে বারবার একই রকমের ফল (Effect) আসছে, অথবা একই রকমের পরিস্থিতিতে একই রকমের প্রতিক্রিয়া (Reaction) দেখা যাচ্ছে, তখন পরবর্তী ধাপে সেই ব্যাপারটিকে সাধারণীকৃত (Generalisation) করা হয়। সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌছে আমরা ভবিষ্যৎবাণী (Prediction) বা অনুমান (Hypothesis) খাড়া করি। সেই ভবিষ্যৎবাণীকে বা অনুমানকে আরও কিছু দৃষ্টান্তের মাধ্যমে যাচাই (Verify) করতে সক্ষম হলেই সেই সাধারণ সিদ্ধান্ত পরিণত হয়। ভাষাতাত্ত্বিক সূত্রে। (Linguistic Law) এইভাবেই ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত চর্চা করা হয়। সুতরাং ভাষাবিজ্ঞান বিজ্ঞানই।
Leave a comment