ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনির সম্পর্ক একটি পরিবার আর তার সদস্যদের মতাে। ধ্বনিমূল হচ্ছে ধ্বনির কাল্পনিক চেহারা, আর সহধ্বনি তার বাস্তব প্রকাশ। যেমন ধরা যাক ‘প’ একটি ধ্বনিমূল। এই ‘প’ ধ্বনিকে দুটি আলাদা শব্দে ব্যবহার করা হল—পা,গাে, আর আলাপ,। লক্ষ করলে দেখা যাবে, ‘পাগল’ এর [প] উচ্চারণের সময়ে মুখবিবর এবং ওষ্ঠ যতটা ফাক হচ্ছে। আলাপ’ উচ্চারণের সময় [পে] ধ্বনি উচ্চারণ করতে গিয়ে তা হচ্ছে না। বরং মুখবিবর সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জিহ্বার প্রসারিত অবস্থানও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিবেশ অনুসারে একটি মূলধ্বনি এই যে আলাদা আলাদা ভাবে উচ্চারিত হল এরা প্রত্যেকেই এক-একটি সহ ধ্বনি। অর্থাৎ সহধ্বনি হল উচ্চারণভেদনির্ভর। প্রতিটি উচ্চারণভেদই তৈরি হয় প্রতিবেশ অর্থাৎ কোন্ অবস্থানে ধ্বনিটি আছে তার উপরে নির্ভর করে।
বাংলায় যে সাতটি মৌলিক স্বরধ্বনি এবং ৩০টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে তারা সকলেই এক-একটি ধ্বনিমূল। ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য হল—তাদের উচ্চারণ মূলগতভাবে এক হবে। দ্বিতীয়ত, ধ্বনিমূল ভাষায় অর্থের তফাত করতে সমর্থ, কিন্তু সহধ্বনির পক্ষে সে কাজ করা সম্ভব নয়। আসলে ধ্বনিমূল একটি কল্পনা, যার বাস্তব উপলব্ধি হল সহধ্বনি।
দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও।
অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ অবিভাজ্য ধ্বনিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করাে।
অথবা, অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও।
উদাহরণসহ গুচ্ছ ধ্বনির পরিচয় দাও।
যুক্ত ধবনি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
অথবা, উদাহরণসহ যুক্ত ধ্বনির পরিচয় দাও।
বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনিগুলির উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
জোড়কলম শব্দ সম্পর্কে আলােচনা করাে।
সমাস বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করাে।
মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
ক্লিপিংস ও ক্র্যানবেরি রূপমূল কাকে বলে তা উদাহরণ-সহ আলােচনা করাে।
রূপ এবং দল-এর সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য আলােচনা করাে।
রূপমূল কাকে বলে? উদাহরণসহ স্বাধীন ও পরাধীন রূপমূলের পরিচয় দাও। মুক্ত ও বদ্ধ রূপমূলের পরিচয় উদাহরণসহ দাও।
রূপতত্ত্বের সংজ্ঞা দিয়ে তার আলােচনার বিষয়টি স্পষ্ট করাে।
Leave a comment