আমরা অনেক সময় কোনাে রূপমূলের বহুবচন নির্দেশ করতে ‘রা’, ‘গুলি’, ‘গুলাে” ইত্যাদি সহরূপমূলকে রূপমূলের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহার করি। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে রূপমূলের বহুবচন নির্দেশে রূপমূলের সঙ্গে কোনো প্রকার সহরূপমূল সংযুক্ত হয় না, এই শ্রেণির সহরূপমূল শূন্য রূপমূল রূপে চিহ্নিত। এই ধরনের শূন্য রূপমূলের ব্যবহার ইংরেজি ভাষায় বেশি দেখতে পাওয়া যায়। যেমন—sheep (একবচন)—sheep (বহুবচন) বা put (বর্তমান কালের রূপ) put (অতীত কালের রূপ)। এক্ষেত্রে sheep বা put-এর সঙ্গে শূন্য রূপমূল যুক্ত করে বহুবচন বা অতীত কালের ক্রিয়ারূপ নির্দেশ করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় অনেক ক্ষেত্রে পরিমাণসূচক বিশেষ্যের বহুবচন নির্দেশের ক্ষেত্রে শূন্য রূপমূলের প্রয়ােগ করা হয়। যেমন এক্ষেত্রে একই শব্দের দ্বিত্ব প্রয়ােগ শূন্য সহবুূপমূল-এর ব্যবহার দেখা যায় হাসাহাসি, বাড়িবাড়ি, ছােটো ছােটো ইত্যাদি অনন্তবাচক, অসীম দিকনির্দেশক রূপমূল।
এই শ্রেণির শূন্য রূপমূলগুলি আবার ধ্বনিপরিবর্তন করে বহুবচন নির্দেশও করে। যেমন一 mouse-mice, tooth-teeth, man-menu ইত্যাদি।
বাংলায় কর্তৃকারকের প্রথমা বিভক্তির কোনাে ধ্বনিগত প্রকাশ নেই। তবে সংস্কৃত প্রাচীন ব্যাকরণবিদগণ এসব ক্ষেত্রে একটি রূপের বা সহরূপমূলের অদৃশ্য উপস্থিতি অনুমান করে এর নাম দিয়েছিলেন শূন্য বিভক্তি। আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানীরা এই ধারণাটিকেই শূন্য রূপমূল বা Zero allomorph হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যা রূপহীন রূপভেদ এবং তা উহ্য বা শূন্য রূপে অবস্থিত। বাংলা ভাষায় একটা উদাহরণ দিলে শূন্য রূপমূল বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। যেমন一
ছেলেটি ভাত খাচ্ছে।
সােনা গান গাইছে।
এক্ষেত্রে ‘ভাতকে’ খাচ্ছে এবং ‘গানকে’ গাইছে বললে ব্যাকরণের দিক থেকে হয়তাে ঠিক হত। কিন্তু বাংলা ভাষার রীতি অনুসারে ‘ভাত’ এবং ‘গান’-এর সঙ্গে কোনাে বিভক্তি যােগ হয় না। তবু অদৃশ্য ‘কে’ বিভক্তিটি রয়ে গেছে। এই অদৃশ্য বিভক্তি বা রূপমূলটিকেই শূন্য রূপমূল হিসেবে ভাষাবিদরা চিহ্নিত করেন।
বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে।
প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়ােগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের কটি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।
সমন্বয়ী ও নিম্পাদিত রূপমূল সম্পর্কে লেখাে।
আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে।
বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে।
বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও।
বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে।
অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে।
বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।
গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।
শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ?
অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও।
Leave a comment