যে তালিকার মাধ্যমে প্রদর স্কোরগুলিকে তাদের মানের ক্রমানুসারে সমান সংখ্যায় দলবদ্ধ করে সাজিয়ে পরিসংখ্যা অর্থাৎ প্রতি দলে কতকগুলি করে স্কোর আছে সেই সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়, তাকে শ্রেণিবদ্ধ পরিসংখ্যা বণ্টন বলে

চলরাশির মান কমসংখ্যক হলে সরল পরিসংখ্যা বিভাজন পদ্ধতি প্রয়ােগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু চলরাশির মান অধিক সংখ্যায় থাকলে সেখানে শ্রেণিবদ্ধ পরিসংখ্যা বিভাজন পদ্ধতি প্রয়ােগ করা সুবিধাজনক। শ্রেণিবদ্ধ পরিসংখ্যা বিভাজনে চলকের মানগুলিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। শ্রেণিবিভাগগুলি একটি উল্লম্ব স্তম্ভ বরাবর মানের উর্ধ্বক্রমানুযায়ী লেখা হয়। প্রত্যেকটি শ্রেণিতে যত সংখ্যক মান থাকে,  সেই সংখ্যাকে ওই শ্রেণিবিভাগের পরিসংখ্যা বলে।

শ্রেণিবদ্ধ পরিসংখ্যা বণ্টন পদ্ধতি, অবিন্যস্ত স্কোর থেকে শ্রেণীবদ্ধ পরিসংখ্যা বিভাজন গঠনের পদ্ধতি

শ্রেণিবদ্ধ স্কোরের পরিসংখ্যা বণ্টনের ক্ষেত্রে বা অবিন্যস্ত স্কোর থেকে শ্রেণিবদ্ধ পরিসংখ্যা বিভাজন করার জন্য কয়েকটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে | অগ্রসর হতে হয়, যা নিম্নে আলােচিত হল— 

প্রথম পর্যায়

সার্বাচ্চ ও সর্বলিল্প স্কোর নির্ণয় : অবিন্যস্ত স্কোর গুলির মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর দুটি নির্ণয় করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়

প্রসার (Range) নির্ণয় : এই ক্ষেত্রে বৃহত্তম নম্বর ও ক্ষুদ্রতম নম্বর বিয়ােগ করে প্রসার বের করা হয়।

তৃতীয় পর্যায়

শ্রেণি সংখ্যা নির্ণয় : শ্রেণি সংখ্যা নির্ণয় করতে গেলে প্রথমে শ্রেণি ব্যবধান নির্ধারণ করতে হবে।শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করার সূত্রটি হল (রাশিমালার প্রসার ÷ শ্রেণি ব্যবধান) (i)।

শ্রেণি ব্যবধান (i) নির্ণয়ের সূত্রটি হল— 

রাশিমালার প্রসার ÷ শ্রেণিসংখ্যা।

চতুর্থ পর্যায়

ট্যালিমার্ক (Tally Mark) : প্রদত্ত স্কোরগুলি যে শ্রেণির মধ্যে  আছে সেই দলের প্রতিটা স্কোরের জন্য একটি করে ট্যালি চিহ্ন (/) দিতে হবে এবং পাঁচটি হয়ে গেলে কোণাকুণিভাবে ট্যালি চিহ্ন দিতে হবে (EN)।

পঞ্চম পর্যায়

পরিসংখ্যা নির্ণয় : এরপর ট্যালি চিহ্নগুলি যােগ করে বসানাে হয়, একে পরিসংখ্যা বলে। এইভাবে পরিসংখ্যা বণ্টন গঠন করা হয়।

প্রয়ােজনীয় বিষয়সমূহ

➧ স্কোরগুলির শ্রেণিপ্রসার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে প্রতিটি শ্রেণি প্রসার যেন সমান হয় (ব্যক্ৰিম অসম শ্রেণিযুক্ত রাশিমালা)।

➧ একটি আদর্শ পরিসংখ্যা বণ্টনে শ্রেণির সংখ্যা কখনও 10 টির নীচে এবং 20 টির উপরে না হয়।