শিশু শাস্তির ভয় বা হীনম্মন্যতা ঢাকার জন্য কিংবা প্রশংসা পাওয়ার জন্য যে জাতীয় আচরণের আশ্রয় গ্রহণ করে, সত্যকে লুকিয়ে রাখে তাকে মিথ্যা কথা বলে।
(১) বাস্তব জীবনের চাহিদাগুলি পূরণ না হওয়া: দৈনন্দিন জীবনের চাহিদাগুলো পূরণ না হওয়া। বাস্তব জীবনের ইচ্ছাপূরণে অসমর্থ হওয়া।
(২) শিশুর প্রতি অবহেলা : পিতা-মাতার অবহেলা শিশুর চাহিদাগুলির প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া।
(৩) শিক্ষকের নির্মম আচরণ : ক্লাসে শিক্ষকদের অবহেলা অতিরিক্ত শাসন ও শাস্তির দরুন শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে মিথ্যা কথা বলে।
(৪) হীনম্মন্যতাবোধ : পঠন পাঠনে অক্ষমতার দরুন শিক্ষার্থী হীনম্মন্যতা কে ভাগে আর হীনম্মন্যতাবোধ থেকে শিশু মিথ্যা কথা বলে।
(১) চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা : শিশুদের চাহিদাগুলি পূরণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুর চাহিদা গুলোর প্রতি পিতা-মাতাকে যত্নবান ও ধৈর্যশীল হতে হবে।
(২) শিক্ষকের স্নেহ পরিপূর্ণ আচরণ : শিক্ষকের আচরণ স্নেহ পরিপূর্ণ হবে। তিনি কঠোর শাস্তি থেকে বিরত থাকবেন।
(৩) অহেতুক ভয় দূর করা : শিশুর মধ্য থেকে অহেতুক ভয় দূর করতে হবে।
(৪) অভিজ্ঞ মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ : প্রয়োজন মনশ্চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।
(৫) পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা : পরিবারের মা-বাবা ও অন্য সদস্যদের মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৬) ক্ষমা করে দেওয়া : শিশু অপরাধ স্বীকার করলে তাকে বকাবকি, মারধর না করে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত এবং তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে, মিথ্যা বলে কোন কাজ করলে সেটা ভালো হয় না।
(৭) দলগত কাজ : শিক্ষার্থীকে তার সামর্থ্য ও ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। এতে সে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ পাবে।
(৮) পরামর্শদানের ব্যবস্থা : প্রয়োজনে শিশুকে পরামর্শদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে মিথ্যা কথা বলার সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তবে এ ব্যাপারে পরিবার, সমাজ, শিক্ষক মনশ্চিকিৎসক সকলের সতর্ক থাকা দরকার।
Leave a comment