সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার অর্থ কী?

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি (৬-১৪ বছর বয়সি) শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। এই ব্যবস্থায় যুক্ত থাকবে সমস্ত রাজ্য সরকার, স্থানীয় কর্তৃত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সকলেই।

কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিল পেশ করা হয়?

১৯১০-১১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম কেন্দ্রীয় আইনসভায় প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিল পেশ করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ১৯৮৬-এর জাতীয় শিক্ষানীতির দুটি সুপারিশ লেখাে।

প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে ১৯৮৬-এর জাতীয় শিক্ষানীতির দুটি সুপারিশ হল- 

  • উন্নত মানের পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাদান করতে হবে এবং 

  • শিক্ষাদানের পদ্ধতি হবে সক্রিয়তাভিত্তিক ও শিশুকেন্দ্রিক।

ভারতে প্রথম কবে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়?

ভারতে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সময় (১৯৬০-৬৫) প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। স্বাধীনতার আগে বােম্বাই প্রদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করবার জন্য আন্দোলন শুরু হয়, এজন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। অবশেষে সমগ্র বরােদা রাজ্যে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা কবে মৌলিক অধিকার হিসেবে গৃহীত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?

১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে জাতীয় স্তরে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক সর্বজনীন শিক্ষা হিসেবে মৌলিক অধিকার‌ হিসেবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে যে-কোনাে একটি পদক্ষেপ উল্লেখ করাে।

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে গৃহীত একটি পদক্ষেপ হল অষ্টম শ্রেণি অবধি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, দ্বিপ্রাহরিক আহার, পােশাকদান, অবৈতনিক শিক্ষা ইত্যাদি সুযােগ দিয়ে বিদ্যালয়ছুট বন্ধ করতে হবে।

ভারতের কোন্ স্থানে প্রথম প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়?

ভারতের বরােদায় প্রথম প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়।

কংগ্রেসের প্রথম কোন্ অধিবেশনে কত খ্রিস্টাব্দে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়?

১৯১০ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের এলাহাবাদ অধিবেশনে প্রথম প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব প্রসঙ্গে সংবিধানের ৪৫ নং ধারায় কী উল্লেখ আছে?

ভারতীয় সংবিধানের ৪৫ নং ধারায় (Article 45) শিশুদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সংবিধান প্রণয়নের ১০ বছরের মধ্যে ১৪ বছর বয়স সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত সকল শিশুদের জন্য রাষ্ট্র অবৈতনিক, বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করবে।

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন বলতে কী বােঝাে?

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন বলতে বােঝায়, শিক্ষার্থীদের বার বার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে একই শ্রেণিতে থেকে যাওয়া।

প্রাথমিক শিক্ষা কবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে?

প্রাথমিক শিক্ষা ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ-এ সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে।

পরাধীন ভারতে প্রথম কোন ভারতীয় বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিল পেশ করেন?

পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতা গােপালকৃষ্ণ গােখলে প্রথম বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিল পেশ করেন।

সংবিধানের কত তম সংশােধন প্রস্তাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার কথা বলা হয়েছিল?

২০০২ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের ৮৬-তম সংশােধনীর দ্বারা ২১(এ) নং অনুচ্ছেদে শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্থান পায়। ২১(এ) নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ৬-১৪ বছরের সব ছেলেমেয়েকে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা দিতে হবে রাজ্যগুলিকে। এরপর ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারের আইন পাস করা হয়।

ICDS-এর পুরাে নাম লেখাে।

ICDS-এর পুরাে কথা হল— Integrated Child Development Service।

প্রাথমিক শিক্ষার দুটি সমস্যা উল্লেখ করাে।

প্রাথমিক শিক্ষার দুটি সমস্যা হল-

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা আলােচনা করাে।

সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার দুটি শিক্ষাগত সমস্যা হল-

  • শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নিয়ম করে বিদ্যালয়ে আসে না এবং

  • দক্ষ ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব।

শিক্ষায় Stagnation বলতে কী বােঝায়?

শিক্ষায় Stagnation বলতে বােঝায়একই শ্রেণিতে ফেল – করে থেকে যাওয়া অর্থাৎ অনুত্তীর্ণ হওয়া। এইজন্য বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষা আইন কবে পাস হয়?

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয় ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রাথমিক শিক্ষায় অপারেশন ব্ল্যাকবাের্ড-এর পরিকল্পনা কে করেন?

প্রাথমিক শিক্ষায় অপারেশন ব্ল্যাকবাের্ডের পরিকল্পনা করেন কেন্দ্রীয় সরকার।

কোন্ আইনের মাধ্যমে প্রথম ভারতীয়দের হাতে প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়?

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের মাধ্যমে প্রথম ভারতীয়দের হাতে প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় বলতে কী বােঝাে।

শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাগ্রহণকালে অনেকসময় বারবার পরীক্ষায় ফেল করে বা অন্য কোনাে কারণে বিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়াকে শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় বলা হয়।

কার চেষ্টায় এবং কবে বােম্বাই প্রদেশের মিউনিসিপ্যাল এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়?

বল্লভভাই প্যাটেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে বােম্বাই‌ প্রদেশের মিউনিসিপ্যাল এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়।

DPEP-এর দুটি মূল উদ্দেশ্য লেখাে।

DPEP-এর দুটি মূল উদ্দেশ্য হল-

  • বিদ্যালয়ছুটের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং 

  • প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সাক্ষরতা ও গাণিতিক দক্ষতা বাড়িয়ে তােলা।

NCF বা National Curriculum Framework অনুযায়ী শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষাপদ্ধতির মূল বক্তব্যটি কী?

National Curriculum Framework অনুযায়ী শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার মূল বক্তব্যটি হল, শিশুদের চাহিদা, সমাজে বিভিন্ন কাজে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, শিশুদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া।

বয়স্কশিক্ষা কাকে বলে?

Earnest Barker-এর মতে, বয়স্ক নিরক্ষরদের জীবনদর্শন ও কাজকর্মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আংশিক সময়ের ভিত্তিতে যে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাকে বয়স্কশিক্ষা বলা হয়। ১৫ থেকে ৩৫ বছরের নিরক্ষরদের ব্যাবহারিক সাক্ষরতা প্রদানের কথা বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এতে অংশগ্রহণ করে যাতে প্রতিটি ছাত্রছাত্রী অন্তত একজনকে শিক্ষা দিতে পারে।

বয়স্কশিক্ষা ও সাক্ষরতা কবে ও কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?

বয়স্কশিক্ষা ও সাক্ষরতা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মােহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে গঠিত হয়।

বয়স্কশিক্ষাকে বয়স্ক সাক্ষরতা বলা হয় কোন্ যােজনায়?

বয়স্কশিক্ষার পরিবর্তে বয়স্ক সাক্ষরতার কথা বলা হয় পঞ্চম যােজনায়।

বয়স্কশিক্ষার দুটি লক্ষ্য লেখাে।

বয়স্কশিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হল— 

  • গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবােধ জাগানাে এবং

  • সাংস্কৃতিক মান উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা।

জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি কবে গঠিত হয়?

জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি গঠিত হয় ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২‌ অক্টোবর।

বয়স্কশিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষা বলে কে অভিহিত করেছেন?

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে বয়স্কশিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষা বলে অভিহিত করেছেন।

বয়স্কশিক্ষার দুটি সমস্যা লেখাে বা বয়স্কশিক্ষার একটি সমস্যা উল্লেখ করাে।

বয়স্কশিক্ষার অন্যতম সমস্যা হল—

বয়স্কশিক্ষার সমস্যাবলি সমাধানে যে-কোনাে দুটি নীতির কথা ব্যক্ত করাে।

বয়স্কশিক্ষার সমস্যাবলি সমাধানের দুটি নীতি যথাক্রমে-

  • প্রয়ােজনভিত্তিক বয়স্কশিক্ষার কেন্দ্র স্থাপন-সহ যথাযথ পরিকাঠামাে গঠন,

  • চিত্তাকর্ষক মনােবিজ্ঞানসম্মত পাঠক্রম।

সামাজিক শিক্ষা বলতে কী বােঝাে?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধু সাক্ষর হলে চলবে না; প্রতিটি নাগরিক যাতে গণতান্ত্রিক সমাজজীবনে যােগ্য নাগরিকের ভূমিকা পালন করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর পর থেকে বয়স্কশিক্ষা সামাজিক শিক্ষা নামে পরিচিত হয়।

পশ্চিমবঙ্গে সমাজশিক্ষা প্রকল্প কবে গঠিত হয়?

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে সমাজশিক্ষা প্রকল্প গঠিত হয়।

প্রথামুক্ত শিক্ষা কী?

যেসব শিশু বিদ্যালয়ে আসতে পারে না বা বিদ্যালয়ে ভরতি হয়ে পড়া শেষ করে না, তাদের জন্য তাদের সুবিধামতাে শিক্ষার আয়ােজন করে তাদের শিক্ষার অঙ্গনে নিয়ে আসার বিধিমুক্ত শিক্ষাকে প্রথামুক্ত শিক্ষা বলা হয়।

কোন্ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বয়স্কশিক্ষার জন্য কার্যকরী সাক্ষরতাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়?

চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী বয়স্কশিক্ষার জন্য, Integrated Child Development Scheme-এর কর্মীদের দ্বারা সাক্ষরতা কর্মসূচিকে প্রসারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিরক্ষরতা কাকে বলে?

কোনাে ব্যক্তির পড়তে ও লিখতে না পারার অক্ষমতাকে বলা হয় নিরক্ষরতা।

UNESCO কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিশ্বকে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করে?

UNESCO ২০০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিশ্বকে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।

নিরক্ষরতা দূরীকরণের প্রধান উপায় কী?

নিরক্ষরতা দূরীকরণের প্রধান উপায় হল বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা।

ভারতের কোন রাজ্যে সাক্ষরতা সবচেয়ে বেশি?

ভারতে কেরল রাজ্যে সাক্ষরতার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

সাক্ষরতা কাকে বলে?

অভিধানিক অর্থে সাক্ষরতা হল অক্ষর পরিচিতি, লেখা ও পড়ার ক্ষমতা অর্থাৎ যদি কোনাে ব্যক্তি কোনাে বিষয় পড়ে, সেটি যদি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়, তাহলে তাকে বলা হয় সাক্ষর ব্যক্তি। UNESCO-এর মতে, যে ব্যক্তি তার দৈনন্দিন জীবনের কোনাে বিষয় অনুধাবনের সঙ্গে পড়তে এবং কোনাে সংক্ষিপ্ত-সরল বিবৃতি লিখতে পারে, তাকে বলে সাক্ষর ব্যক্তি।

সর্বশিক্ষা অভিযান কী?

সর্বশিক্ষা অভিযান হল একটি সময়ভিত্তিক কর্মসূচি। এটি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন মূলক সংস্থাগুলির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি প্রকল্প। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল, ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪ বছর বয়সি সমস্ত শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করা। কেন্দ্রীয় সরকার ২০০১ খ্রিস্টাব্দে এই পরিকল্পনা করেন, ২০০২ খ্রিস্টাব্দে কার্যকর করেন।

সর্বজনীন শিক্ষা কাকে বলে?

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধনী, দরিদ্র, স্ত্রী, পুরুষ, স্বাভাবিক, ব্যতিক্রম নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করাকেই বলা হয় সর্বজনীন শিক্ষা।

সর্বজনীন সাক্ষরতার অর্থ কী?

সর্বজনীন সাক্ষরতার অর্থ হল সবার জন্য শিক্ষা।

সকলের জন্য শিক্ষার অর্থ কী?

সর্বশিক্ষা অভিযানের এটি একটি মহান উদ্যোগ, যার মাধ্যমে ৬-১৪ বছর পর্যন্ত সকল ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে এনে নাম নথিভুক্তির পর তাদেরকে ধরে রেখে নির্দিষ্ট পাঠক্রম সমাপনান্তে গুণমান বৃদ্ধির মহান প্রয়াসই হল সকলের জন্য শিক্ষা।

SSA এর পুরাে কথাটি লেখাে।

SA-এর পুরাে কথাটি হল— Sarva Shiksha Abhiyan।

শিক্ষার সর্বজনীনতা লক্ষ্যের তিনটি স্তর কী কী?

শিক্ষার সর্বজনীনতা লক্ষ্যের তিনটি স্তর হল— 

  • সর্বজনীন শিক্ষার সুযােগ (Universal Provision),

  • সর্বজনীন ভরতির সুযােগ (Universal Enrolment),

  • সর্বজনীন পাঠ শেষ করা (Universal Retention)।

Functional Literacy বা ব্যাবহারিক সাক্ষরতা কী?

সাক্ষরতা এই কথাটির মধ্যে উন্নয়নকে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি ব্যাবহারিক দিকটির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় যার ফলে ব্যক্তির সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়, তাকে বলে ব্যাবহারিক সাক্ষরতা বা Functional Literacy।

সর্বজনীন সাক্ষরতার মেয়াদ কত বছর?

সর্বজনীন সাক্ষরতার মেয়াদ হল ১০ বছর।

ভারতে সাক্ষরতা বিস্তারের প্রধান অন্তরায় কী?

ভারতে সাক্ষরতা বিস্তারের পথে প্রধান অন্তরায় হল জনসংখ্যার বিস্ফোরণ।

কোন্ বছরকে সাক্ষরতার বর্ষ বলা হয়?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দকে সাক্ষরতার বর্ষ বলা হয়।

সাক্ষরতার দশক বলা হয় কাকে?

১৯৯০-২০০০ খ্রিস্টাব্দকে বলা হয় সাক্ষরতার দশক।

সাক্ষরতাকেন্দ্রে কী শেখানাে হয়?

সাক্ষরতা কেন্দ্রে 3R’s অর্থাৎ Reading (পড়া), Writing (লেখা) ও Arithmetic (গণিত) শেখানাে হয়।

সর্বজনীন সাক্ষরতা প্রসারের দুটি সমস্যা লেখাে।

সর্বজনীন সাক্ষরতা প্রসারের দুটি সমস্যা হল—

  • উপযুক্ত পাঠক্রমের অভাব, 

  • দারিদ্র্য ও পরিবারে শিক্ষার পরিবেশের অভাব।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কী?

১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়িত করার জন্য ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন সংস্থা গড়ে ওঠে। এই শিক্ষানীতির পরিকল্পনা মাফিক নৈশ বিদ্যালয়, বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, প্রথাবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে সাক্ষরতা বিস্তারের অভিযান শুরু হয়। এই ব্যাপক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সাক্ষরতার লক্ষ্য উপনীত হওয়াকে বলে সাক্ষরতা মিশন (Total Literacy Campaign)I

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কেন গঠন করা হয়?

নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন গঠন করে।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস কবে পালিত হয়?

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের উদঘাটন কে করেন?

জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের উদ্ঘাটন করেন রাজীব গান্ধি।

জনসংখ্যা নিলয় কী?

জনসংখ্যা নিলয় হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সাক্ষরােত্তর শিক্ষা ও ধারাবাহিক শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে বয়স্করা যেমন শিক্ষার সুযােগ পায় তেমনি সাক্ষরতা পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাচর্চা করার সুযােগ পায়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা গঠিত জাতীয় সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষামূলকভাবে ১৯টি রাজ্যে ৪০টি জেলা নিয়ে সাক্ষরতার কাজ শুরু করে। মূলত ১৫-৩৫ বছরের নিরক্ষরদের জন্য ৪০টি জেলায় জনসংখ্যা নিলয় বা জনসংখ্যা আলয় তৈরি হয়।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কে, কবে গঠন করেন?

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন গঠন করে।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন কবে চালু করা হয়?

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন চালু করা হয় ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে।

বিশ্বের কোন প্রস্তাব অনুযায়ী সর্বশিক্ষা অভিযান ভারতে চালু হয়েছে?

Millenium Development Goal-এর প্রস্তাব অনুযায়ী সর্বজনীন শিক্ষার লক্ষ্যপূরণে সর্বশিক্ষা অভিযানের পরিকল্পনা ভারত সরকার গ্রহণ করেছে।

ভারতে সাক্ষরতা কর্মসূচির দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।

ভারতে সাক্ষরতা কর্মসূচির দুটি উদ্দেশ্য হল-

  • শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য ও অন্যান্য সামাজিক বৈষম্য দুর করে ৬-১৪ বছর বয়সের সকলের শিক্ষা সুনিশ্চিত করা।

  • মানুষকে অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাস থেকে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক করা।

কত খ্রিস্টাব্দে UNESCO শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের উপর গুরুত্ব দেয়?

UNESCO ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষার অন্তর্ভুক্তিকরণের উপর গুরুত্ব দেয়।

বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলতে কী বােঝাে?

ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারায় ৬-১৪ বছর বয়সি দেশের সমস্ত শিশুর জন্য অবৈতনিক যে ন্যূনতম আবশ্যিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে, তাকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলা হয়।

বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারের আইন কবে পাস হয়?

২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারের আইন পাস হয়।

সংবিধানের কোন অংশে শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্থান পায়?

২০০২ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের ৮৬ তম সংশােধনী দ্বারা ২১(এ) অনুচ্ছেদে শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্থান পায়।

ভারতীয় সংবিধানের কোন অংশে শিক্ষা সম্পর্কে তিনটি তালিকা আছে?

ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশিলে শিক্ষা সম্পর্কে তিনটি তালিকা রয়েছে।

ভারতীয় সংবিধানের কোন অংশে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশাত্মক নীতির ৪৫ নং অনুচ্ছেদে শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোথায় শিক্ষা সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলন হয়?

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তেহেরানে সকল দেশের শিক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলন হয়।

World Education Forum কবে ও কোথায় হয়?

২০০০ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে সেনেগালের রাজধানী ডাকার শহরে World Education Forum অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিপুঞ্জে মানুষের অধিকার কবে স্বীকৃত হয়?

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে জাতিপুঞ্জের মানব অধিকারের বিশ্বজনীন ঘােষণায় মানুষের অধিকার স্বীকৃত হয়।

জনতা কলেজ পশ্চিমবঙ্গের কোন্ স্থানে রয়েছে?

জনতা কলেজ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং-এ। এই ধরনের কলেজে উৎপাদনমূলক কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

শিক্ষাক্ষেত্রে 3R’s-এর অর্থ কী?

3R’s-এর অর্থ Reading (পঠন), Writing (শিখন) এবং Arithmetic (গণিত)।

সার্জেন্ট কমিটির রিপাের্ট কবে প্রকাশিত হয়?

সার্জেন্ট কমিটির রিপাের্ট প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে।

সর্বশিক্ষা অভিযানের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।

সর্বশিক্ষা অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য হল-

  • নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতাবােধ সৃষ্টি করা এবং

  • শিক্ষার প্রসারকে গতিশীল করা।

২০০০ খ্রিস্টাব্দে ডাকারে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো সম্মেলনের মূল বিষয় কী ছিল?

২০০০ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে সেনেগালের রাজধানী ডাকার-এ অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল Education for all অর্থাৎ সকলের জন্য শিক্ষা।

সাক্ষরতা অভিযানে পৃথিবীর সফলতম দেশগুলির দুটি উদাহরণ দাও।

সাক্ষরতা অভিযানে সফলতম দুটি দেশ যথাক্রমে চিন ও রাশিয়া।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের দুটি লক্ষ্য লেখাে।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশনের দুটি লক্ষ্য হল—

  • জাতীয় সাক্ষরতা কর্মসূচিতে গ্রামীণ মহিলা ও নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং

  • দুর্বল শ্রেণির উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ভারত সরকার কোন নীতির ভিত্তিতে সর্বজনীন সাক্ষরতার কর্মসূচি নির্ধারণ করেন?

ভারতবর্ষে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সর্বজনীন সাক্ষরতার কর্মসূচি গ্রহণ করে।

ভারতবর্ষে কবে ও কার উদ্যোগে সাক্ষরতা অভিযানের কাজ শুরু হয়?

ভারতবর্ষে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে UNESCO-এর সহযােগিতায় সাক্ষরতা অভিযানের কাজ শুরু হয়।

ভারত সরকার কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত সাক্ষরতার লক্ষ্যে পৌছােনাের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়?

ভারত সরকার ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত সাক্ষরতার লক্ষ্যে পৌছােনাের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিল।

ভারতবর্ষে কোন্ রাজ্য সাক্ষরতায় প্রথম স্থান অধিকার করে?

ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে কেরল রাজ্য সাক্ষরতায় ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

ভারতে সর্বশিক্ষা অভিযান বা পূর্ণ সাক্ষরতা অভিযান পরিকল্পনার কাজ কখন শুরু হয়?

ভারতে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে সর্বশিক্ষা অভিযান বা পূর্ণ সাক্ষরতা অভিযান প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

ভারতে সর্বশিক্ষা অভিযানের পরিকল্পনা কবে করা হয়?

ভারতে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে সর্বশিক্ষা অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।

সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে কত খ্রিস্টাব্দে কর্মীদল (Working Group) গঠন করা হয়?

সর্বজনীন শিক্ষার প্রসারে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে কর্মীদল (Working Group) গঠন করা হয়।

ভারতবর্ষের সাক্ষরতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে কোন্ রাজ্য?

ভারতবর্ষের সাক্ষরতায় দিল্লি দ্বিতীয় এবং মহারাষ্ট্র তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের কোন্ জেলায় সার্বিক সাক্ষরতা প্রকল্পের কাজ প্রথম শুরু হয়?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৮ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর জেলায় প্রথম সার্বিক সাক্ষরতা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

NPE-এর পুরাে কথা কী?

New Policy of Education।

NAEP কর্মসূচি কাদের জন্য?

সকল নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়। বিশেষত ১৫-৩৫ বছর বয়স্কদের এই কর্মসূচিকে কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

NSSS-এর পুরাে কথা কী?

National Social Service Scheme।

DPEP কী?

DPEP হল ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাকে সফল করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় স্তরে গৃহীত একটি প্রকল্প।

NLM-এর পুরাে কথা কী?

NLM-এর পুরাে কথা হল— National Literacy Mission।

SRC-এর পুরাে কথা কী?

SRC-এর পুরাে কথা হল— State Resource Centre।

RFLP-এর পুরাে কথা কী?

RFLP-এর পুরাে কথা হল— Rural Functional Literacy Programme।

NYK-এর পুরাে কথাটি কী?

NYK-এর পুরাে কথাটি হল Nehru Youth Kendra (নেহরু ইয়ুথ কেন্দ্র)।

CDPO-এর পুরাে কথাটি কী?

Child Development Project Officer।

UNICEF-এর পুরাে কথাটি কী?

UNICEF-এর পুরাে কথাটি হল— United Nations International Children’s Emergency Fund।

NEEM (National Elementary Education Mission)-এর উদ্দেশ্য কী?

NEEM-এর উদ্দেশ্য হল মানবীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত সম্পদকে একত্রিত করে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষাকে সফল করে তুলতে হবে।

প্রবহমান শিক্ষা কী?

প্রবহমান শিক্ষা হল এক বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা, যেখানে শিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রবহমান শিক্ষার কর্মসূচি কে প্রবর্তন করে?

প্রবহমান শিক্ষার কর্মসূচি প্রবর্তন করে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন।

প্রবহমান শিক্ষার কর্মসূচি কবে থেকে কার্যকর হয়?

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে প্রবহমান শিক্ষার কর্মসূচি কার্যকর করা হয়।

কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে?

প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

“স্কুলে চলাে” কর্মসূচি কোন কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত?

স্কুলে চলাে কর্মসূচি সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত।

শিক্ষা হল সকলের জন্য এই নীতি কোন কর্মসূচিতে বলা হয়েছে?

শিক্ষা হল সকলের জন্য এই কর্মসূচি হল সর্বশিক্ষা অভিযানের।

Bridge Course বা ব্রিজ কোর্স (সেতু পাঠ্যক্রম) কী?

Bridge Course: পরিণত শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যবস্থা যেসকল শিক্ষার্থী মাঝপথে পড়াশােনা ছেড়ে দিয়েছে বা যারা কখনােই বিদ্যালয়ে যায়নি তাদের জন্য এই সেতু পাঠক্রম বা Bridge Course ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্রিজ কথাটির অর্থ সংযােগ স্থাপন। তারফলে কেউ প্রাথমিক শিক্ষা এইভাবে কম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।

Bridge Course কোথায় পড়ানাে হয়?

Bridge Course পড়ানাে হয় সর্বশিক্ষা অভিযানের পাঠ্যসূচিতে।

মিড-ডে-মিল কোন্ সাক্ষরতার কর্মসূচিতে চালু করা হয়?

মিড-ডে-মিল সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচিতে চালু করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি কবে গৃহীত হয়েছিল?

১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রামীণ ব্যাবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গের কোথায় প্রথম সার্বিক সাক্ষরতা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৮ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর জেলায় এই রাজ্যের প্রথম সার্বিক সাক্ষরতা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন্ জেলা পূর্ণ সাক্ষরতার মর্যাদা পেয়েছে?

হুগলি, মেদিনীপুর, বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া জেলা পূর্ণ সাক্ষরতার মর্যাদা পেয়েছে।

জীবনশৈলী শিক্ষা কবে চালু করা হয়েছিল?

জীবনশৈলী শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গে ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়।

RTI-এর পুরাে অর্থ কী?

Right to Education.

UNESCO-এর পুরাে নাম কী?

UNESCO-এর পুরাে নাম United Nations Educational Scientific and Cultural Organisation.

IGNOU-এর পুরাে নাম কী?

IGNOU-এর পুরাে নাম Indira Gandhi National Open University.

ITI-এর পুরাে নাম কী?

Industrial Training Institute.