বর্তমান শতাব্দীতে কম্পিউটার মানুষের জীবনে এক অপরিহার্য অঙ্গ। শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার এক নতুন দিগন্ত উন্মােচন করে দিয়েছে। কম্পিউটারের ব্যবহার শিক্ষাজগতে এক বিপ্লবের সূচনা করেছে। শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাদি সংরক্ষণ ও তা ছাপার অক্ষরে পরিবেশন কম্পিউটারের একটি অন্যতম কাজ। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণিকক্ষে কম্পিউটার ব্যবহারের উপায় আলােচিত হল –
(১) পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন: শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। বিষয়বস্তু উপাস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার চাপ হ্রাস পায়, শিক্ষার্থীর সামর্থ্য অনুযায়ী অগ্রসর হয়, বিষয়বস্তুর সরলীকরণ সম্ভব হয়।
(২) গতানুগতিক পরিবর্তন : বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে CAL, CAL, CML, CM প্রভৃতি পদ্ধতির প্রচলন হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষণে শিক্ষক-শিক্ষিকা যত বেশি এগুলি প্রয়ােগ করছেন তা গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে শিক্ষাকে আরও সহজ, সরল, আকর্ষণীয় করে তুলছে।
(৩) সমস্যা সমাধান : শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞান আহরণের সময় বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা সমাধান করতে পারে কম্পিউটার, বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা সমাধান মূলক শিখন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যাসমাধানের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ ঘটে।
(৪) গাণিতিক সমাধান : গাণিতিক জটিল সমস্যা তৈরি, তার উপস্থাপন, আগ্রহ বৃদ্ধি করা, দ্রুত নির্ভুল সমাধান পাওয়া, নতুন নতুন সহজ পদ্ধতির প্রয়ােগের মাধ্যমে গণিত শিখন ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্ভব হয়।
(৫) তথ্য সরবরাহ : প্রশ্ন তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া, নম্বর দেওয়া, উত্তর মেলানাে, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত স্কোরের হিসাব করা ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম্পিউটার ব্যবহার করেন।
সুতরাং কম্পিউটার শ্রেণি শিক্ষণ-শিখনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, সরল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করে। বর্তমানে একই কারণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে কম্পিউটারের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Leave a comment