অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার মূল কথা সকল শিক্ষার্থী-তারা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কিছুটা অক্ষম হলেও সাধারণধর্মী বিদ্যালয়ে পড়াশােনার সুযােগ পাবে। মনে করা হয় শিক্ষার অধিকার সকলের অধিকার। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই সর্বশিক্ষা মিশন’ ৬-১৪ বছর বয়সি সকল শিশুকে বিদ্যালয় অঙ্গনে আনার অঙ্গীকার করেছে। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের সালামানাকায় (৭ থেকে ৯ জুন) বিশেষ শিক্ষার উপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়ㅡ

(১) শিক্ষার মৌলিক অধিকার : শিক্ষা শিশুর মৌলিক অধিকার। একটি নির্দিষ্ট স্তর অবধি শিক্ষা অর্জনে সকল শিশুর সমান অধিকার আছে। শিক্ষা অর্জনে তাকে সবরকম সুবিধা দিতে হবে যাতে সে নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষালাভ করতে পারে।

(২) আগ্রহ ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাদান : বর্তমান শিক্ষা শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা। প্রতিটি শিশুই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, আগ্রহ, চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা পাবে। এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে হবে।

(৩) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু : বিশেষধর্মী শিশুদের বিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার সুযােগ সাধারণ শিশুদের মতােই সুনিশ্চিত করতে হবে। তাদের শিক্ষাদানের জন্য যাবতীয় সুযােগসুবিধা প্রদান করা হবে।

(৪) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সকলের জন্যই কার্যকরী : আমাদের সমাজ স্বাভাবিক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা এই ব্যবধান কমাতে সক্ষম। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রতিটি শিশুকেই সমাজে সমানাধিকার দিতে এবং নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী বাঁচার পথ দেখাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

UNO, UNICEF, WORLD BANK প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক উপকরণ এবং অর্থ সরবরাহের মধ্য দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখনকে নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। ফলে বর্তমান বিশ্বে শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।