প্রিয় শফিউর
আমার শুভেচ্ছা নিও। অনেক দিন পর তােমার পত্র পেয়েছি । খুব খুশি হয়েছি। এভাবে মাঝে মাঝে লিখাে আরও ভালাে লাগবে ।
আজ তােমাকে মহানগরীর পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে কিছু লিখতে চাই। একসময় মহানগরী ঢাকাকে তিলােত্তমা হিসেবে গড়ে তােলার কথা বলা হলেও তদনুযায়ী কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। আবার দেখা গেছে, কিছু কাজ করলেও তা নিয়মানুযায়ী করা হয়নি। আজ রাজধানী ঢাকায় জনজট, জলজট, যানজট এখানকার নাগরিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মহানগরীতে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখানে বাতাস, পানি ও শব্দ— তিনটিই দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকার বাতাসে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদার্থ সিসার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। ধুলাবালি, কালাে ধােয়া, জলাবদ্ধতা, খােলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা প্রভৃতি এখানকার বাতাসকে অত্যন্ত দূষিত করেছে। কলকারখানার পরিত্যক্ত বর্জ্য পানি ও বাতাসকে দূষিত করছে। মহানগরীতে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালাে নয় বলে পানি সরবরাহের লাইন ও সুয়ারেজ লাইন মাঝে মাঝে এক হয়ে , পানি দূষণ করে। কলকারখানার শব্দ, উচ্চ শব্দে গান বাজানাে, গাড়ির হর্ন, মাইক, ফটকাবাজি, অলিতে-গলিতে আড্ডাবাজি মারাত্মকভাবে শব্দদূষণ করছে। রাস্তা দখল, ফুটপাত দখল ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং-এর কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
মহানগরীতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা, ছিন্নমূল মানুষ, অপরিকল্পিতভাবে দালানকোঠা নির্মাণ প্রভৃতি কারণেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মহানগরীকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে এ নগরী অচিরেই বসবাসের অযােগ্য হয়ে উঠবে। এজন্য প্রশাসন ও সকল নাগরিককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তবেই মহানগরীর জীবন হবে সুন্দর ও নিরাপদ। বড়ােদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছােটোদের প্রতি স্নেহ জানিয়ে আজ শেষ করছি। ভালাে থেকো।
শুভেচ্ছান্তে
তােমারই বন্ধু
আবির
✱ পেত্র লেখা শেষে খাম এঁকে খামের ওপরে ঠিকানা লিখতে হয়।
Leave a comment