দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি কর। 

মিজান : কেমন আছ বন্ধু? 

জামান : ভালাে। কোথায় যাচ্ছ? 

মিজান : আমি বাজারে যাচ্ছিলাম, মাছ কিনতে। তােমার সাথে দেখা হয়ে ভালােই হলাে। চলাে এক সাথে যাওয়া যাক। 

জামান : চলাে যাই। কী মাছ কিনবে? 

মিজান : ইলিশ মাছ। মা বললেন যে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে কয়েকটি মাছ কিনে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। 

জামান : হ্যাঁ, পহেলা বৈশাখ আসতে তাে আর বেশি দিন বাকি নেই। 

মিজান : সেজন্য ইলিশের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। এক হালি ইলিশের দাম চার হাজার টাকা।

জামান : মায়ের কাছে শুনেছি, তার ছেলেবেলায় সবচেয়ে বড়াে আকারের পদ্মার ইলিশের দামই ছিল মাত্র ২০০ টাকা। কোনাে বাড়িতে ইলিশ রান্না হলে নাকি অনেক দূর হতে ঘ্রাণ পাওয়া যেত। 

মিজান : আর এখন, মাঝারি আকারের একটি ইলিশের দাম ১০০০ টাকা। ভাবা যায়!

জামান : আমরা হয়তাে কিনছি। কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা কর। ওদের জন্য এটা কতটা কষ্টের ব্যাপার! 

মিজান : শুনেছি, অন্যান্য দেশে জিনিসের দাম সরকার ঠিক করে দেয়। অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়লেও খাবার জিনিসের দাম বাড়ে না। 

জামান : আমাদের দেশেও কিছুদিন আগে সরকার নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যের খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে বাজারে মূল্য তালিকা টাঙানাের নির্দেশ দিয়েছিল। 

মিজান : সঠিক তদারকির অভাবে সেটাও ভেস্তে গেছে। 

জামান : জিনিসের দাম এভাবে বাড়ছে কেন? 

মিজান : চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়া, চাঁদাবাজি, আড়তদার ও মজুতদারদের কারসাজির কারণেই দ্রব্যের দাম হুড়মুড় করে বাড়ছে। 

জামান : সরকারের কঠোর আইনি পদক্ষেপই এগুলাে দূর করতে পারে। 

মিজান : তা পারে। তবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। 

জামান : উৎপাদন যদি বাড়ানাে যায়, সরকারের কঠিন তৎপরতায় যদি নির্বিঘ্নে পণ্য সারা দেশে সরবরাহ করা যায়, তবে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে। 

মিজান : হ্যাঁ, আমিও মনে করি সরকার ও জনগণের মিলিত প্রচেষ্টায়ই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।