ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বন্ধুর সাথে তোমার একটি সংলাপ তৈরি কর।

সােহেল : কেমন আছ তুমি? 

আমি : ভালাে আছি সােহেল। তুমি কেমন আছ? 

সােহেল : ভালাে। তবে খুব ব্যস্ত আছি। ১ মাস হলাে আমি একটি ইংরেজি শেখার কোর্সে ভর্তি হয়েছি। 

আমি: হঠাৎ ইংরেজি শেখার কোর্সে ভর্তি হলে কেন? 

সােহেল : ইংরেজি হলাে আন্তর্জাতিক ভাষা। সারা পৃথিবীতে যােগাযােগের অন্যতম মাধ্যম হলাে ইংরেজি। বর্তমান যুগ ইংরেজির যুগ। তাই এ ভাষায় নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতেই আমি একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছি।

 আমি: বেশ ভালাে একটা উদ্যোগ নিয়েছ। সব জায়গাতেই এমন ইংরেজি ভাষা দরকার হয়। 

সােহেল : হ্যা, বন্ধু । তুমি যদি কোনাে বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতে চাও, তবে তােমার প্রথমেই প্রয়ােজন হবে ইংরেজি পড়া, লেখা, শােনা, ও বলার যােগ্যতা। এছাড়া দেশভ্রমণ, পর্যটক, পর্যটকদের পথ প্রদর্শনকারী, ‘ বৈমানিক, প্রকৌশলী, ডাক্তার সবারই ইংরেজি জানা প্রয়ােজন। 

আমি: এছাড়াও তাে ইংরেজি আরও অনেক কাজে লাগে। 

সােহেল : অবশ্যই। আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের যে বই তাও কমিউনিকেটিভ এপ্রােচ (Communicative Approach) পদ্ধতিতে তৈরি। এখানে আগের মতাে গ্রামার-ট্রান্সলেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে মুখস্ত বিদ্যা জাহির করে পরীক্ষায় ভালাে নম্বর পাওয়ার সুযােগ সীমিত। 

আমি : অর্থাৎ তুমি বলতে চাচ্ছ, যারা ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে চারটি দক্ষতা সমানভাবে রপ্ত করবে তারাই ভালাে করবে। 

সােহেল : ঠিক তাই। এছাড়া ইংরেজি না জানলে তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তুমি পিছিয়ে থাকবে। 

আমি : সেটা কী রকম? 

সােহেল : বিশ্বের তথ্য ভান্ডার হলাে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের প্রায় সব তথ্যই ইংরেজিতে। সারা বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আবিষ্কারের সর্বশেষ তথ্য হতেও বঞ্চিত হবে। 

আমি: তুমি কি ইংরেজি বলতে পার? 

সােহেল : আমি খুব ভালােভাবে ইংরেজি বলতে পারি। বলতে পার নিজের চেষ্টায় বার বার অনুশীলন করে শিখেছি। 

আমি : তােমার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমাকেও ইংরেজি শিখতে হবে । 

সােহেল : হ্যাঁ। সবাইকে শিখতে হবে । 

আমি : যৌক্তিক পরামর্শের জন্য তােমাকে ধন্যবাদ।

সােহেল : তােমাকেও ধন্যবাদ।