আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বিষয়ে একটি সংলাপ লেখ।
লতিফা : আপু, আমি তাে অনেকদিন পর বিদেশ থেকে ফিরলাম । আমি তােমার কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে জানতে চাই। তুমি কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে কিছু জান?
সেলিনা : হ্যা, একুশে ফেব্রুয়ারি হলাে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটি আমাদের দেশে উদ্যাপিত হয় শহিদ দিবস হিসেবে।
লতিফা : দিবসটির ইতিহাস কী?
সেলিনা : এদিন ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ জনের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। বাঙালিরা চেয়েছিল উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা হােক। কিন্তু পাকিস্তানিরা তা মেনে না নেওয়ায় বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করে ।
লতিফা : ভাষা আন্দোলনে কারা শহিদ হন? কীভাবে শহিদ হন?
সেলিনা : সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার শফিউর, আউয়াল, অহিদুল্লাসহ অনেকেই ভাষা আন্দোলনে শহিদ হন। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়।
লতিফা : এটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেল কেন?
সেলিনা : বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষার জন্য যে অতুলনীয় আত্মত্যাগ করেছে তা বিশ্ব ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। তাই জাতিসংঘের ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘােষণা করে।
লতিফা : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস গােটা বিশ্ব কীভাবে পালন করে ?
সেলিনা : এ দিনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলাে তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়। আমাদের মহান ভাষা শহিদদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানায়।
লতিফা : তুমি কীভাবে দিনটি উদ্যাপন কর ?
সেলিনা : আমি একুশের প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি এবং মনে মনে দৃঢ় শপথ নেই যে, আমি আমার মাতৃভাষাকে সবসময় ভালােবাসব। মাতৃভাষায় রচিত সাহিত্যকে ভালােবাসব।
লতিফা : তােমার সাথে কথা বলে আমি অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
সেলিনা : তােমার জানার আগ্রহের জন্য তােমাকেও ধন্যবাদ।
Leave a comment