ভূমিকাঃ রেজিষ্ট্রেশন আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এটি ১৯০৮ সালের আইন। কোন দলিল রেজিষ্ট্রেশন করা, কোথায় রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে, কে উপস্থাপন করবে ইত্যাদি বিষয় রেজিষ্ট্রেশন আইন দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন আইন সাক্ষ্য আইনকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।
১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইন কেন প্রণয়ন করা হয়েছিল অথবা নিবন্ধন আইনের গুরুত্বঃ কেন রেজিষ্ট্রেশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল তা নিম্নে উল্লেখ করা হলাে-
(১) বিরােধ মীমাংসাঃ কোন সম্পত্তি নিয়ে একাধিক পক্ষের মধ্যে বিরােধ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে এই আইন দ্বারা নিবন্ধনকৃত দলিল উক্ত বিরােধের অবসান করে।
(২) প্রতারণা রােধঃ রেজিষ্ট্রেশন আইনের কারণে প্রতারণা বা জালিয়াতি রােধ করা সম্ভব হয়েছে।
(৩) জাবেদা নকল তৈরিঃ কোন মূল দলিল হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে জাবেদা নকলের মাধ্যমে মূল দলিলের বিবরণ অবগত হওয়া যায়।
(৪) সাক্ষ্য আইনকে পূর্ণতা দানঃ নিবন্ধন আইন দ্বারা সাক্ষ্য আইনকে পূর্ণতা দান করা হয়েছে। কারণ দালিলিক সাক্ষের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই ধরনের সাক্ষ্য প্রমাণ করার প্রয়ােজন হয় না।
(৫) বিভিন্ন বিধানঃ রেজিষ্টার, সাব-রেজিষ্ট্রার, রেজিষ্ট্রেশন ইনঃ জেনারেল ইত্যাদির বিধান এই আইন দ্বারা প্রবর্তন করা হয়েছে।
(৬) মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করাঃ রেজিষ্ট্রেশন আইনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা।
(৭) নোটিশ প্রদানঃ নিবন্ধন আইনের নােটিশ দ্বারা সকলকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, একটি দলিল সম্পাদিত হয়েছে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ এই সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেন না।
উপসংহারঃ দলিল রেজিষ্ট্রি বা নিবন্ধন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন দলিল সম্পাদন হয়ে গেলে যতদিন না উক্ত দলিল রেজিষ্ট্রি হবে ততদিন ঐ সম্পত্তির মালিকানা ক্রেতার উপর প্রতিষ্ঠিত হবে না।
Leave a comment