প্রশ্নঃ ১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের আওতায় একজন ব্যক্তি কখন একটি ঘটনার নোটিশ পেয়েছে বলে বিবেচিত হবে?
When is “a person said to have notice of a fact under the Transfer of Property Act 1882?
উত্তরঃ একজন ব্যক্তি কখন একটি ঘটনার নোটিশ পেয়েছে বলে বিবেচিত হয়। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে যে, একজন লোকের অবগতি আছে বলে বলা যায় যদি সে প্রকৃতপক্ষে কোন ঘটনা জানে বা অবহেলা না করে অনুসন্ধান করলে বা তালিকা করলে তা জানতে পারতো কিন্তু যদি উক্তরূপে অনুসন্ধান বা তালাশ করা তার উচিৎ থাকা সত্ত্বেও সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা করা হতে বিরত থেকে থাকে।
এই ধারার ১নং ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন স্থাবর সম্পত্তির দলিল বাধ্যতামূলকভাবে রেজিষ্ট্রি করার বিধান থাকে এবং তা যদি রেজিষ্ট্রি করা হয়, তবে উক্ত রেজিষ্ট্রেশনই পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার জন্য রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ হতে উক্ত দলিলের অবগতি হবে। যদি সে ইহা বলতে চায় যে, সে উক্ত হস্তান্তর সম্পর্কে জানতো না তবে তাকে সাক্ষ্য দ্বারা তা প্রমাণ করতে হবে। যদি প্রমাণ করতে না পারে তবে তা সে জানতো বলে ধরে নেয়া হবে।
যে রেজিষ্ট্রি অফিসে কোন স্থাবর সম্পত্তির দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েছে সেই সম্পত্তি যদি উক্ত রেজিষ্ট্রি অফিসের জিলায় অবস্থিত না হয় তবে উক্ত রেজিষ্ট্রেশন, রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ হতে উক্ত হস্তান্তরের অবগতি হবে না। যে তারিখে সম্পত্তির এলাকার সাব রেজিষ্টার, রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত উক্ত হস্তান্তরের স্মারকলিপি তার অফিসে ফাইল করেন সেই তারিখ হতে উক্ত রেজিষ্ট্রেশন উক্ত হস্তান্তরের অবগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।
রেজিষ্ট্রেশন আইনের বিধান অনুসারে কোন দলিলের রেজিষ্ট্রেশন সেই লেনদেনের পরোক্ষ নোটিশ কিনা সে বিষয়ে ১৯২৯ সালের সংশোধনী আইনের পূর্বে ভারতের বিভিন্ন হাইকোর্ট বিভিন্ন প্রকার সংঘাতমূলক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। প্রিভি-কাউন্সিল সকল কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, কোন দলিলের রেজিষ্ট্রেশন সেই লেনদেনের অবগতি কিনা তা আইনের প্রশ্ন নয় ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্ন যা প্রত্যেক ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু হস্তান্তর আইন সংশোধনের জন্য গর্বিত বিশেষ কমিটি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, যেহেতু রেজিষ্ট্রেশনের নিয়মকে এদেশে সাধারণভাবে প্রয়োগ করা হয় সেহেতু রেজিষ্ট্রেশনকে লেনদেনের অবগতি না ধরা হলে যে উদ্দেশ্যে দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয় তা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
এই ধারার ২ নং ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন লোক যে কোন স্থাবর সম্পত্তির প্রকৃত দখলে থাকে এবং অন্য কোন লোক যদি উক্ত স্থাবর সম্পত্তি লাভ করে বা উক্ত সম্পত্তিতে কোন অংশ বা স্বার্থ লাভ করে তবে ইহা ধরে নেয়া হবে যে উক্ত দখলকারীর উক্ত স্থাবর সম্পত্তিতে কোন স্বত্ব থেকে থাকলে উক্ত স্বত্ব থাকা সম্পর্কে উক্ত অংশ বা স্বার্থ লাভকারীর অবগতি আছে৷
উদাহরণঃ ক একটি সম্পত্তি খ এর নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। খ এই চুক্তিমূলে ঐ সম্পত্তির দখল নেয়। এরপর ক তা গ এর নিকট বিক্রি করে। গ উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করার সময় খ কোন স্বার্থে তা দখল করে সে বিষয়ে কোন অনুসন্ধান করে নি। এক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তিতে খ এর দখল গ জন্য খ এর স্বার্থ সম্পর্কে অবগতি হিসেবে গণ্য হবে। যদি কোন লোক কোন স্থাবর সম্পত্তির একান্ত দখলে থাকে এবং কোন তৃতীয় পক্ষের নিকট হতে অন্য কোন ক্রেতা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লোকের দখলের ভিত্তি সম্বন্ধে খোঁজ খবর না নেয় তবে এটা ধরে নেয়া হবে যে, সে তা জানতো যেহেতু তা খোঁজ নিলে জানতে পারতো।
এই ধারার ৩নং ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, যদি কোন প্রতিনিধি কোন মালিকের পক্ষে তার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কার্যরত থাকে এবং উক্ত ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উক্তরূপ কার্যরত অবস্থায় ব্যবসায়ের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনা সম্বন্ধে অবগত হয় তবে ইহা ধরে নেয়া হবে যে, উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে সেই মালিকের অবগতি ছিল। যদি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কার্যরত অবস্থায় কোন ঘটনা কোন প্রতিনিধিকে অবগত করানো হয় এবং উক্ত অবগতি যদি সে শঠতামুলকভাবে মালিকের নিকট গোপন না রাখে তবে তার সেই অবগতি মালিকের অবগতি হিসেবে ধরে নেয়া হবে। প্রতিনিধিকে অবগত করানোর অর্থ হচ্ছে মালিককে অবগত করানো। যদি কোন প্রতিনিধি শঠতামূলকভাবে তার অবগতি মালিককে অবহিত না করে তবে উক্ত শঠতায় জড়িত কোন পক্ষ বা উক্ত শঠতা সম্বন্ধে জ্ঞাত কোন লোকের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে মালিকের অবগতি আছে বলে ধরে নেয়া যাবে না।
Leave a comment