হাসিতে খসিয়া পড়ে, কত মধু-ধার।
লহু লহু হাসে পহুঁ পিরীতির সার।
উত্তর: নির্বাচিত অংশটুকু ‘মধ্যযুগের বাংলা গীতিকবিতা’ সংকলনের চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য জ্ঞানদাসের ‘কৃষ্ণের প্রতি রাধার অনুরাগ’ বিষয়ক পদ থেকে গৃহীত। রাধার দৃষ্টিতে কৃষ্ণের হাসির স্বরূপ তুলে ধরতে গিয়ে কবি এমন বলেছেন।
কৃষ্ণ যেমন রাধাকে দেখে প্রেমে উন্মাতাল হয়েছিল- তেমনি রাধাও কৃষ্ণরূপে বিমুগ্ধ হয়েছিল। কৃষ্ণের অসাধারণ রূপতৃষ্ণা রাধাকেও সকল কাজ থেকে দূরে রেখে কৃষ্ণপ্রেমে মশগুল হয়েছিল। কৃষ্ণকে দেখার পর থেকে রাধা কৃষ্ণপ্রেমে আত্মহারা। কৃষ্ণকে একান্ত নিজের মধ্যেই প্রেতে রাধা উন্মুখ হয়ে থাকে। কৃষ্ণকে দেখার পর থেকেই রাধার মনে অকারণেই এক অনির্বচনীয় ভালোলাগা-ভালোবাসা সারাক্ষণ বিরাজ করে। রাধার দৃষ্টিতে কৃষ্ণের হাসি যেন নিরন্তন মধু ঝরে ঝরে পড়ে। কৃষ্ণের সেই মোহনীয় হাসি রাধাকে এক নতুন প্রেমের দীক্ষা দেয়- যেন জীবাত্মা পরমাত্মার মিলনে ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
সুতরাং সার্বিক বিচারে বলা যায়- কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসা থেকে রাধার মনে সবকিছুই যে এক ভালোবাসার প্লাবন সৃষ্টি করে এবং মিলনের আকুতি জাগায় তা প্রদত্ত পদগুলো প্রকাশিত।
Leave a comment