শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার মূল দুটি স্তম্ভ হল Hardware ও Software প্রযুক্তি। এই দুটি স্তম্ভ শিক্ষার প্রসার উন্নয়ন ঘটায় এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব পরিবেশ তৈরি করে, শিক্ষণ-শিখনে সাহায্য করে এবং এর ফলে শিক্ষার্থীদের ধারণা স্পষ্টভাবে গড়ে ওঠে।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নীতি নির্দিষ্ট কতকগুলি উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সেগুলি হল-

(১) পর্যাপ্ততার নীতি (Principle of Availability) : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে-কোনাে বিষয় সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

(২) বৈচিত্র্যের নীতি (Principle of Variety) : শিখনের বিষয় সমূহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যের সঙ্গে উপস্থাপন করা যায় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কৌশল দ্বারা।

(৩) উদ্দেশ্য সফলের নীতি : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে কোনাে বিষয়ে উদ্দেশ্য থির রেখে কাজ করা হয়, যা সফলতা আনতে সাহায্য করে।

(৪) ম শিক্ষাগত চাহিদা (Educational Demand) : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যক্তি ও সমাজের শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করে।

(৫) শিক্ষণ ও নির্দেশনা (Teaching & Instruction) : শিক্ষণ ও নির্দেশনার কাজে সহায়তার জন্য মনােবিজ্ঞানসম্মত আচরণমূলক নীতির প্রয়ােগ করা হয়।

(৬) সাশ্রয়ের নীতি (Principle of Economy) : এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শ্রম ও খরচ উভয়ই অনেক সাশ্রয় হয়। কম খরচে কম পরিশ্রমে কর্ম সম্পাদন করা যায়।

(৭) স্বয়ং প্রযুক্তির নীতি (Principle of Self Preparation) : প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিজে নিজেই শিক্ষালাভ করে স্বয়ং শিখন সম্পন্ন করে নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়।

(৮) শিক্ষণ-শিখন মডেল (Teaching Learning Model) : সফটওয়্যার প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভব হয়েছে সাইবারনেটিক মনােবিদ্যা, শিক্ষণ-শিখন তত্ত্ব, শিক্ষণ মডেল, মাইক্রো শিক্ষণ প্রভৃতি।

(৯) সরলতার নীতি (Principle of Simplicity) : শিখনের জন্য অনেক জটিল বিষয়কে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারা সরল করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এইসমস্ত নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে বর্তমানে শিক্ষা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুফল এনেছে।